আমার দাদা'র কাছে শুনেছি বৃটিশ আমলে হিন্দু জমিদার ও উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের প্রজা নির্যাতনের কথা। নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সঙ্গে পূর্ব বাংলার মুসলমানরাও তখন ছিল অচ্ছুৎ। কোন মুসলমানের ছায়াও যদি তাদের গায়ে পড়তো, তবে তারা গোসল করতো এবং ওই মুসলমানকে চরম শাস্তি দেয়া হতো।
পূর্ব বাংলার মুসলমানদের চৌদ্দ পুরুষের ভাগ্য যে, আজ তারা একটি স্বাধীন দেশে বসবাস করছে যেখানে হিন্দুদের অত্যাচার আর সহ্য করতে হচ্ছে না। কিন্তু এদেশের নিম্নবর্ণের হিন্দুরা কি আদৌ মুক্তি পেয়েছে উচ্চবর্ণের হিন্দুদের হাত থেকে?
উত্তর হচ্ছে, না।
তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ রাজধানীর সূত্রাপুরের গৃহবধু রূপা রাণী। নিজের জীবনের বিনিময়ে রূপা হিন্দুদের বর্ণবাদ প্রথা সম্পর্কে একটি বিশাল প্রশ্ন রেখে গেছে আমাদের সামনে।
রূপার শাশুরি মায়া রাণী সরকার কায়স্থ বর্ণের, আর রূপা নমশূদ্র বর্ণের। এ কারণে তার শাশুরি দীর্ঘদিন তার ওপর শারিরিক নির্যাতন চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে খুন করেছে।
মজার ব্যাপার হলো- ভারতের উচ্চ বর্ণের হিন্দুদের কাছে গেলে কিন্তু আবার এই মায়া রাণী সরকারই অচ্ছুৎ হয়ে যাবেন। সেখানে তিনি হবেন নিম্নবর্ণ।
আজব এই বর্ণপ্রথা। ঘৃণা করি তোমায়। শতধিক তোমাকে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।