শুক্রবার তারা বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
অপরদিকে দেশকে যারা বিশৃঙ্খলার দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আদলি মনসুর।
অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৪ জুলাই শপথ নেয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মনসুর।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এই ভাষণে তিনি মিশরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, “অনেক জটিল পরিস্থির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা।
আমরা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, এর বিপরীতে কিছু মানুষ পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল করার চেষ্টা করছে। তারা রক্তাক্ত পথেই সমাধান চায়। ”
“নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাব,” বলেন তিনি।
৩ জুলাই মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী।
ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুরসির এক বছরের শাসনকালটিও বিভিন্ন কারণে সমালোচিত ছিল।
কিন্তু মুরসির সমর্থক গোষ্ঠী মুসলিম ব্রাদারহুড তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিরোধিতা করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভ্যূত্থানের অভিযোগ আনে। সেনাবাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করে।
এসব প্রতিবাদের সূত্র ধরে সৃষ্ট গোলযোগে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্যসহ ৯১ জন নিহত হয়।
মুরসির ক্ষমতাচ্যুতিতে হতভম্ব মুসলিম ব্রাদারহুড ও এর মিত্ররা সেনাসমর্থিত নতুন অন্তর্বর্তী সরকারকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। তাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে মুসলিম ব্রাদারহুড ও এর মিত্ররা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স নামের জোট গঠন করেছে।
এই জোটের ডাকা শুক্রবারের প্রতিবাদ বিক্ষোভে লাখ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট মনসুরের ভাষণের কয়েক ঘন্টা পর মুসলিম ব্রাদারহুড তথা ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দেয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।