প্রথম আলোর" আলোকিত ঈদ ফ্যাশন নামের সাম্প্রতিক একটি প্রতিযোগিতায় উপরের এই ড্রেসটি শিশু বিভাগে ৩য় স্থান পায়। আমার প্রশ্ন বিচারকদের প্রতি, কোন বিবেচনায় এই পোশাক ৩য় স্থান পেল? নাকি শেষ পর্যন্ত বাচ্চাদের নিয়েও বানিজ্যিকীকরন শুরু করলেন "প্রথম আলো"?
গতকাল এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে তার অফিসে গেলাম বিকালবেলায় । তার জন্য সেখানে অপেক্ষা সূত্রে বসে থাকা্র সময় প্রথম আলো পত্রিকা দেখছিলাম। সাধারণত প্রথম আলো অনলাইনে দেখা হয়। আর অনলাইনে পত্রিকা পড়ার একটা সমস্যা অনেক কিছুই চোখ এড়িয়ে যায়।
যাহোক শিরোনামে আসি। একটি প্রজেক্টের কাজে ইদানিং মার্কেটে যাওয়া হচ্ছে। যদিও মার্কেট বা শপিংমল আমার কাছে বিরক্তিকর এবং বাজে জায়গার মধ্যে এক নাম্বার পজিশনে আছে। তো সেখানে গিয়ে বড়দের বিভিন্ন উদ্ভট ডিজাইনের পোশাক চোখে পড়ার পাশাপাশি সবচেয়ে আতংক লেগেছে শিশুদের কিছু পোশাক দেখে। এবং আরো আতংকিত হয়েছি যখন জেনেছি এসব বেশিরভাগ দেশীয় ডিজাইনাররা ডিজাইন করেছে।
এসব পোশাক যেমন অরুচিকর তেমনি শিশু মনে বিরুপ প্রভাব সৃস্টিতে সহায়ক। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে বোধহয়, অনেক আগে পড়েছি। এমন হবে মনে হয়,
"কাঁচায় না নোয়ালে বাশ
পাকলে করে ঠাশ ঠাশ"।
এখন আমরা নিজেরাই আমাদের শিশুদের তাদের কাঁচা বয়সে এমন পোশাকে অভ্যস্ত করে তুলছি যে বড় হলে তারা আর আমাদের আয়ত্বে থাকছেনা। তারা তখন ঠাশ ঠাশ পোশাক ছাড়া কিছু পরতে চায়না।
যখন বড় হয় তখন তারা আমাদের কৃস্টি কালচার এর সাথে সামঞ্জস্য পোশাক পড়তে অনীহা দেখায় ছোটকালের এমন অভ্যস্ততার কারণে। তখন আমরা হয়ত তাদের দোষারোপ করি। কিন্তু মনে রাখতে হবে ছোটকালেই এসব পোশাকের সাথে আমরাই তাদের অভ্যস্ত করেছি। সুতরাং আচার আচরণ এর শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সন্তানদের ছোটকাল থেকে পোশাকের ব্যাপারেও রুচিশীল ভাবে গড়ে তোলা উচিত। আর সেসব তথাকথিত ফ্যাশন ডিজাইনারদের জন্য একদলা হতাশা আর ক্ষোভ যারা এমন উদ্ভট এবং আমাদের কৃস্টি কালচার এর সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ চুরি করা এসব ডিজাইনের পোশাক বাজারে ছেড়ে আমাদের শিশু এবং অভিভাবকদের বিভ্রান্ত করছে।
পরিশেষে আমার ঈদ বাজারে দেশী পোশাক নিয়ে লেখায় করা প্রিয় ব্লগার "আকাশ_পাগলা" মন্তব্যের সাথে আবারো একমত জানিয়ে বলি, "রুচিসম্মত" কথাটা কোন দোকানের ড্রেস তা না, কে পড়ছে তার উপর নির্ভর করে। আর শিশুদের ক্ষেত্রে তার বাবা মার রুচি প্রকাশ পায়। "
এসব রুচিশীল পোশাক নাকি আমি আরুচিশীল গ্রাম্য মানুষ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।