আমি একা তুমি একা অথচ দুজন পাশাপাশি মাঝখানে যা তা হলো দাবার দান...... চেক দিও না মন্ত্রি যাবে ভালোবেসো না খেলায় হারবে...... রাত ১২.৩০
আমার মোবাইলে কল আসলো। কল রিসিভ করলাম মেয়ে মানুষের কন্ঠ। আজিব জিনিষ আমার কাছে কেনো জানি ভুত ভুত মনে হয়, কেনো মনে হয় সেটা আরেক ঘটনা। তবে কথা হলো মনে হয়।
-হ্যালো
-এই কি করো।
-কে?
-আমি তুমার আমি। আমি আমি আমি গো, তোমাকে হামি খাবো, এই আই লাভ ইউ। কয়েকটা চুকচুক আওয়াজ পাওয়া গেলো।
-আপনি কে সেটা যদি একটু বলতেন, ভালোবাসেন ভালো কথা, উন্নত কথা, জটিল কথা যদিও আমি ভালোভাবে বুঝিনা জিনিষটা আসলে কি। তবে সেটা সমস্যা না, আপনি কে বলুন তো?
-এই আপনি আপনি করবা না একদম না খুন করে ফেলবো, এই আই লাভ ইউ।
ফোনের লাইন কেটে গেলো, আসলে কেটে দিলো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। ভালোবাসবে আবার খুন করে ফেলবে। আমি আমার পাশের বিছানার মালিক আমার ১৪ বছরের সময়কালের বন্ধু কসরু কে ডাকলাম। যে কোন পরিস্তিতিতেই আমি ওর শরনাপন্ন হই, এটা তো জটিল সমস্যা।
ও ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকালো কি বল?
এই আমারে একটা মেয়ে এই মাত্র ফোন করে বলছে আই লাভ ইউ। এখন আমি কি করবো?
সে বললো সকাল হোক ঘুম থেকে উঠে এন এইচ এস এ ফোন করে এপোইনমেন্ট নে যত জলদি হয়।
কেনো?
কথা শেষ করতে দে কথার মাঝে কথা বলিস কেনো? ডক্টর এর কাছে গিয়ে বলবি একটা মেয়ে আমারে রাতে ফোন করে বলছে আই লাভ ইউ!
দূর ডক্টর তো আমারে মেন্টাল রুগী ভাববে।
তো তুই কি মনে করিস তুই ভালো মানুষ।
আর যদি তোর মেন্টাল প্রবলেম নাও থাকে তবু তর ডক্টর দেখানো উচিত একটা মেয়ে ভালোবাসছে এর আগে তোর সিউর হওয়া উচিত তুই পুরো পুরি সুস্থ কীনা।
এখন তর দুইটা পা সামনে বাড়া আমি তোর পায়ে ধরি আমার সকাল ৪.৩০ এ কাজ।
আমি আর ওরে ঘাটালাম না। আবার আমার কুকিরতি মানে ফেইসবুকে এর ওর ছবিতে কমেন্টস করতে বসে গেলাম। সেই সাথে কানে হেডফোন লাগিয়ে উচ্চ মানের রাগ সঙ্গিত শুনছি। কঠিন গান শুনলে মেজাজ কঠিন হয়।
আমার মেজাজ আবার বাচ্ছা বাচ্ছা কালারের, বড়ো মানুষের মতো না।
রাত ২.৩০
আবার আমার মোবাইলে কল বাজছে এবং নাম্বার আননোন। আমি রিসিভ করলাম যেকোন আবস্তাতে থাকি না কেনো ফোন রিসিভ করার আমার সুনাম আছে।
-এই তুমি অনেক পছা একটু ভালো না, এই আই লাভ ইউ, এই তুমি এমন কেনো? এই আই লাভ ইউ।
-জ্বি আপনার কন্ঠ সুন্দর ১০ এ ১০ পাইছেন।
এবার বলেন রুম কয়টা ভাড়া কতো?
-তুমি আমার ভালোবাসাকে ফাজলামী ভাবছো, আমি কিন্তু ঘুমের পিল খাবো। একটা না অনেকগুলো, এই শোন তোমার চোখ এতো সুন্দর কেনো, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। এই আই লাভ ইউ। এই তোমাকে একটা চুমো দিই তোমার চোখে।
- জ্বি চুমো না চুম্বন?
-অসভ্য, ফাজিল, চুম্বন যাও।
খুশি?
-জ্বি দুইটাতেই কোনটাইতো পাওয়া যাবে না।
-এই তুমি আমাকে দূরে ঠেলবে না বলো। কথা দাও আমি কিচ্ছু চাই না শুধু তোমার ছায়া হয়ে থাকতে চাই, আমি কে, দেখতে কেমন, কি করি কিচ্ছু বলবো না তোমাকে তোমার্রও কিছুই জানতে চাইবো না। এই বলো থাকতে দিবে তোমার পাশে না হলে আমি কিন্তু সত্যি সত্যি ঘুমের পিল খাবো অনেকগুলো।
- জ্বি সেটা আপনি চাইলে খেতে পারেন মজার জিনিস আমিও একসময় খেয়েছিলাম কিন্তু কাজ করে না জানেন ।
ঘুমের পিল খেয়ে আমার ঘুম আসে না স্বপ্ন আসে আবিজাবি স্বপ্ন। দাম নাই স্বপ্ন ।
-তুমি আমার পাগলা। আমি তোমার পাগলি হবো। এই আই লাভ ইউ।
আই লাভ ইউ, আই লাভ ইউ ,
আবার ফোন কেঠে গেলো, এই মেয়ে যে কথা বলে তিন বার বলে। তিন মরার চিন, আমি আবার কসরুকে ডাকতেই হলো।
খুব বিরক্তি নিয়ে সে আমার দিকে তাকালো। আমি বললাম ভাই মার কাঠ যাই কর জটিল সমস্যা। মেয়েটা আবার ফোন করছে।
আবার বলছে আই লাভ ইউ। নাম্বার নাই। এখন আমি কি করবো।
সে লাফ দিয়ে উঠলো বিছানা থেকে আমি ভাব্লাম নিশ্চই কোন সমাধান পাইছে। সে সোজা রান্নাঘরে গেলো।
সেখান থেকে ৯টা চাকুর যে বক্স সেটা নিয়ে এলো। আমরা মানুষ দুইজন কিন্তু চাকু চুরি ৯টা। এর মাঝে আমার ৪ টা ওর ৫টা। সবচেয়ে বড়ো চাকুটা হাতে নিলো। নিয়ে বললো আর একটা শব্দ যদি তুই করবি আজকে রাতে, তাহলে।
আমি বলছিলাম কি আমার কথাটা শোন।
সে আমার মোবাইল নিয়ে সুইচ অফ করে দিলো। আর আমাকে বালিশ এ শোয়ে থাকতে বলে চাকুটা আমার ঠিক সামনে নিয়ে বসে রইলো। আমি ভয়ে নয় ভালোলাগায় ঘুমাতে গেলাম। নিরভরতার হাতে যাই থাকুক না কেনো তার সামনে নিশ্চিন্তে বসে থাকা যায়।
নিরভরতার হাত যদি বলে আমি বলছি বিষ কিন্তু তুই খা আমি নিরদিধায় খেতে পারি।
সকাল ১১.৩০
মোবাইল অন করলাম । একটা মেসেজ আসছে। “এই আই লাভ ইউ”, মেসেজে নাম্বার আছে।
আমি এখন খসরুর অপেক্ষায় আছি।
(ঘটনার চরিত্র, সময়কাল কাল্পনিক আমি বাদে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।