পারলে নিজেকে ইকারাকাস বানিয়ে ... সব কিছুই কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা ঠেকছে।
একটা সময় যখন ঈদের আবেদন ছিল
সারাক্ষন কিসের যেন একটা তাড়া কাজ করতো।
কিন্তু এখন নিজের কাছেই কেমন যেন অসহনীয় লাগছে।
আশে পাশের লোকজন, বন্ধু-বান্ধবদের দেখি ঈদের প্রস্তুতি নিতে।
রাস্তায় মানুষের ভীড় গরুর হাটের মত।
সুন্দরী মেয়েদের তো এখন পোয়া বারো।
হাটতে, চলতে, ফিরতে সে কি রং-সং আড় ভাব তাদের।
ছেলেগুলিও কম যায় না।
দামী হ্যান্ডসেট, দামী ঘড়ি, সানগ্লাস, বাইক কত কি.......
আর এখানে সেখানে টাংকি মারা, ফ্ল্যাট করা।
বাবা-মায়ের সাথে এসেছে কেউ কেউ,
দু-হাত ভর্তি করে কেনাকাটার ব্যাগ।
উঠতি বয়সী কপোত-কপোতি গুলোকে দেখলে চোখ সরতে চায় না।
রাস্তার ভীড় ঠেলে হেটে চলি আর করুন চোখে এসব দেখি।
আমি কেন এমন কোন কিছুতেই সবার মত করে মিলে যেতে পারলাম না?
ঈদের কেনাকাটা তো দুরের কথা,
নিজের দিকে ফিরে চাইতে নিজের কাছেই কেমন যেন লাগে।
এভাবে সব পাল্টে যাবে ভাবিনি কখনো।
একটা উদ্বাস্তুর সাথে নিজের খুব একটা তফাৎ খুজে পাই না।
সেদিন হঠাৎ বোনের বাসায় গিয়ে নিজেকে বড় আয়নায় দেখলাম। -
অবাক হয়ে যাই।
এ কি অবস্থা আমার শরীরের!!!!!!!
যক্ষ্ণা হলে বুঝি এমন ই হয়- সারা গায়ের হাড় ফুটে ওঠে।
খাওয়ার রুচিও খুব খারাপ।
ডাক্তার খুব করে ঝেরেছে অনিয়ম করি বলে।
কিন্তু নিয়ম মত চলতে যে আমার একার পক্ষে সম্ভব না তা উনাকে কেমনে বোঝাই!!!
হয়তো আর দশ জনের মতই মনে হয় বাইরে থেকে দেখে,
কিন্তু ভেতরটা একেবারে ফাঁকা, কাকতাড়ুয়ার মত........
কেউ নেই এসব দেখার, কেউ নেই যার কাছে অভিযোগ করা যায়,
কেউ নেই যাকে বুক চিড়ে ভেতরের কষ্টগুলো উগড়ে দেয়া যায়।
শুধু থেকে থেকে দীর্ঘশ্বাস পড়ে আর বিমূঢ় চোখে আকাশ দেখে যাই।
কোথাও কেউ নেই,
কোন আলো নেই,
কেবলই অন্ধকার আর নিকষ নিগূঢ় অন্ধকার.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।