D:\Picnic-2010\503.jpg তারেক মাসুদ ছিলেন একজন প্রগতিশীল চিন্তাবিদ। তিনি এদেশে সুস্থধারার চলচিত্র নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তার এ অবদান আশা করি জাতি স্মরণ রাখবে। স্মরণ রাখা উচিৎ। আর মিশুক মুনির ছিলেন একজন প্রতিভাবান চিত্রগ্রাহক ও চিত্র নির্দেশক।
সবচেয়ে বড় কথা তিনি ছিলেন একজন শহীদের সন্তান। আশা করি তার এ অবদানও জাতি স্মরণ রাখবে। স্মরণ রাখা উচিৎ।
আমাদের জীবন যেমন সত্যি, তেমনি মৃত্যুটাও সত্যি। সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে, এটা সবাইকে মেনে নিতে হয়।
কিন্তু কোনো মৃত্যু যদি অনাকাংখিত হয় সেটা মেনে নেয়া যায় না। আর সেটি যদি হয় সড়ক দূর্ঘটনার মতো কো ঘটনায়, সেটি আরোও দুখঃজনক। আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, আমাদের দেশে সড়ক দূর্ঘটনাগুলো প্রায় প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। এটি যেন আমাদের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এ দূর্ঘটনাগুলো কেন হয় ? আমাদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কি আন্তরিকভাবে খতিয়ে দেখেছে? যদি খতিয়ে দেখে থাকে তাহলে এব্যপারে কি উদ্যেগ নিচ্ছে, জাতি হিসেবে কি আমাদের জানার অধিকার নেই ?
আমাদের দেশে অধিকাংশ সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে থাকে চালকদের অসচতেনতা, মূর্খতা ও অজ্ঞতা অথবা গাড়ী চালনা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার ফলে।
গাড়ী চালকেদর মনে চলন্ত অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতাও সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। অধিকাংশ সময় এক গাড়ীর সাথে অন্য গাড়ী ওভারটেক করতে গিয়েও সড়কদূর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। চালকরা আসলে বুঝতে চান না অথবা বুঝতে চেষ্টা করেন না যে তাঁদের সামান্য ভুলের কারণে একটি পরিবার হারায় অতি আপনজনদের, তাঁদের স্বপ্নের আর জাতি হারায় তাঁদের প্রতিভাবানদের। চালকেদের সচেতনতা সৃষ্টি, গাড়ী চালনার ব্যাপারে তাদের সঠিক জ্ঞান দান কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না?
আমরা আর এমন মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় কোনো প্রতিভাবান লোককে হারাতে চাই না।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।