বি এন পির কাউন্সিল অধিবেশন আমাকে আশান্বিত করেছে। যারা বলেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন গুনগত পরিবর্তন হচ্ছেনা বি এন পির সফল কাউন্সিল তাদের মনেও প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। আর এই অনুষ্ঠান সফল করতে বি এন পির কৃতিত্ব যতখানি ঠিক ততখানি কৃতিত্ব সরকারের। বিরোধী দলের কাউন্সিল সফল করার জন্যে সরকারের এত আয়োজন আগে কখনও দেখা যায়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সম্মেলনে অংশ গ্রহন, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান সব কিছুতেই সরকারী দলের আন্তরিকতা প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দেশে এধরনের ঘটনা একেবারেই নতুন।
এমনিতেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলির মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা খুব একটা আছে বলে স্বয়ং নেতারাও দাবী করেন না। বাংলাদেশের বড় দুটি' দলের মধ্যে গণতন্ত্র মানে হচ্ছে বিনা শর্তে শীর্ষ নেতৃত্ব আস্থা রাখা। তাই কাউন্সিলে মোটামুটি বক্তৃতা বিবৃতি হয়। আর নেতৃত্ব নির্বাচিত (?) হয় শীর্ষ নেতার ইচ্ছায়।
বি এনপির কাউন্সিলে গঠন তন্ত্রের কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সবই ছিল ইতিবাচক। কারণ এই পরিবর্তনের অন্তর্নিহিত কারন টি তখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত ছিল। বিষয়টি ষ্পস্ট হল তারেক রহমানকে বি এন পি'র সিনিযার ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষনা করার পর। অনেকের ধারণা শুধু এই পদটিকে বৈধতা দেবার জন্যেই এত বড় আয়োজন।
অন্য কথায দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তারেক রহমান কে পূনর্বাসনের কাউন্সিল । দুর্জনেরা যাই ভাবুন বি এন পি'র এই পদক্ষেপ টি প্রমান করে মুখে আমাদের প্রধান বিরোধী দল যত প্রগতি ও নীতির কথা বলুক ভিতরে তারা দুর্নীতি বান্ধব। সরকারী দলের ছোট বড় নেতা সহ দেশের অনেক প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবিও তারেক রহমানকে সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান ঘোষনা করায় বিএনপি'র সমালোচনা করেছেন। আসলে এধরণের । আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে পরোক্ষ ভাবে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এবং জেলের ভয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক কে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।
তারেক কে মহিমান্বিত করার জন্যে কার দল যত দলাদলিই করুক ফলাফলে তেমন কোন ইতর বিশেষ হবেনা কারণ শূণ্য কে যতদ্বারাই গুন করা হোক তার ফলাফল শূণ্যই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।