প্রবাসীপত্র ডেস্ক: গোটা লন্ডনজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করলেও বাঙালি পাড়ায় সুবিধা করতে পারে নি দাঙ্গাবাজরা। সেখানে ধাওয়া খেয়ে পালাতে হয়েছে তাদের। বাঙালিদের এ তৎপরতার প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ রাজনীতিকরা।
প্রথম দিকে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় দাঙ্গার প্রভাব না পড়লেও ৮ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে দাঙ্গাবাজরা হানা দেয় টাওয়ার হ্যামলেটস বারায়। দাঙ্গাবাজরা বেথনাল গ্রিন রোড ও হোয়াইট চ্যাপেল রোডে ভাংচুর শুরু করে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫টি গাড়ি, ১৫টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দুটি ব্যাংক।
পূর্ব লন্ডনে বাঙালিদের সবচেয়ে বড় ঠিকানা হোয়াইট চ্যাপেলে দাঙ্গাবাজরা ঢোকে সন্ধ্যার একটু আগে। ইফতারের আয়োজন নিয়ে অধিকাংশ বাঙালি যখন ব্যস্ত তখন হুট করে লুটেরারা ঢুকে নেস্ট ওয়েস্ট ব্যাংক, জেডি স্পোর্টস, ফিস্টসহ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে। এরপর দাঙ্গাবাজরা যখন পূর্ব লন্ডন মসজিদের সামনে আসে, তখন শক্ত প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা। এলাকার তরুণরা জড়ো হয়ে একসঙ্গে দাঙ্গাবাজদের ধাওয়ার করলে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বাঙালিদের এ তৎপরতার প্রশংসা করেছেন স্থানীয় রাজনীতিকরা। বেথনাল গ্রিন ও বো আসনের পার্লামেন্ট সদস্য রুশনারা আলী, পপলার লাইম হাউসের পার্লামেন্ট সদস্য জিম ফিটজ প্যাট্রিক, টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র লুৎফর রহমান সবাই এক বাক্যে বলেছেন, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে বাঙালি বংশোদ্ভূত তরুণদের ভূমিকা ছিলো অনন্য।
এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ৬ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট ২০১১ পর্যন্ত অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিলো লন্ডনে। এখন অব্শ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।