স্বপ্নেরা রংধনু হয়ে উড়ে বেড়ায় অজানা ঠিকানায়...
ঘটনাঃ শপিং করতে গিয়েছিলাম মার্কেটে। একটা শাড়ির দোকানে ঢুকে উপরের দিকে তাকিয়ে শাড়ি দেখছি। আলতো করে ধাক্কা লাগল কারো সাথে। তাকিয়ে দেখি একটা ছোট্ট মেয়ে,৩/৪বছর বয়সী। সে এই বলে ডেকে উঠল।
আমি আহারে বলে সরি,আপুনি বললাম। আর যেদিকে ধাক্কা দিয়েছি সেদিক টা আদর করে দিলাম। ওর পাশেই দাঁড়ানো ছিল ওর মা আর বড় ভাই। মা শাড়ি দেখছে। ভাই টার বয়স ৫ এর মত হবে।
দেখলাম ভাইটা আমাদের এই দৃশ্য পুরোটাই দেখল। দেখে আমার দিকে ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে রইলো খুব সন্দেহের দ্রিষ্টিতে। তারপর আস্তে করে বোনটার হাত ধরে টেনে তার কাছে নিয়ে দাড় করিয়ে হাত ধরে রাখল!!
খুব হিংসা হল বোনটিকে দেখে।
প্রতিক্রিয়াঃ আমার নিজের একটি বড় ভাই ছিল। আমার জন্মের আগেই সে মারা গিয়েছে।
তাই তার গল্পই শুনেছি কেবল। বাস্তবে দেখিনি। পরিবারে এখন আমি ই সবার বড়। তাই বড় ভাই এর আদর আর শাষন টা কি জিনিস তা বুঝার সামর্থ্য আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেননি। যেইটা দেননি সেইটার অনুভব ক্ষমতা না দিলেও সবচেয়ে ভাল হত।
তাহলে আজকের মত প্রায় সময় ই আমাকে বড় ভাইয়ের আদর,মমতা,শাষন,বারন,ধমক,মার খাওয়ার অভাব অনুভব করতে হত না। একটা পরিবারে বাবা মা সবকিছু,কিন্তু তাদের সাথে সন্তানদের একটা জায়গায় দূরত্ব থেকেই যায়। যেটা বড় ভাই/বোন সবসময় পূরন করে। ছোটরা কখনই অভিভাবকত্ব হীনতায় ভুগে না তাদের জন্যে। কিন্তু আজ আমি মাঝে মাঝেই একা হয়ে যাই।
বড় হওয়ার দায়িত্ব পালন করতে করতে মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ যদি আমার থাকত,যে একটুখানি মানসিক সান্তনা দিবে যখন হতাশ হয়ে যাব,বা অনাহূত বিপদ থেকে বাচিয়ে দিবে কিংবা, যার কাছে খুব আদুরে করে আবদার করতে পারব,মা বাবার বারন এড়িয়ে। সম্পর্ক টা ভীষন রকম মর্মস্পর্শী।
সকল বড় ভাই বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা রইলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।