ভাগ্নের বিলাইদের গল্প আগেও একবার করেছিলাম। তখন কিম নামে এক বিলাইয়ের গল্প বলেছিলাম যাকে সবাই ছেলে বিলাই মনে করত। কিন্তু পরে ঠিকই সে মা হয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে সে একজন গর্বিতা নারী।
আজকে সেই গর্বিতা নারীর সন্তানদের কিছু ছবি দেখাব। প্রথমেই গর্বিতা বিলাইয়ের ছবি।
দেখেই বোঝা যায় বিলাইটা কেমন পাজী টাইপের। কিভাবে ভাব মেরে বসে আছে।
তবে বেশির ভাগ সময় সে শুয়ে শুয়ে কাটায়। ভীষণ আলসে।
তার তিন বংশধর হয়েছে একদম মায়ের মতই দুষ্টু।
তবে ছোটবেলায় এদের মধ্যে আলসেমী ছিল না মোটেই। বরং সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকত বলে ছবি তোলাই মুশকিল ছিল। অনেক চেষ্টার পর কয়েকটা ছবি তুলতে পেরেছি।
তিনটার মধ্যে একটা হয়েছে একেবারে মায়ের মত। স্বাস্থ্যও মায়ের মতই মোটা-কাটা।
এর নাম ভাগ্নে দিয়েছিল পল। আর আমি ডাকতাম মুটকী।
আরেকটা হয়েছে কালো আর বাদামী, খুব বিচ্ছিরি দেখতে। দেখলেই মনে হয় যেন গায়ে কাদা লেগে আছে। কিন্তু আসলে সে ছিল খুবই নরম কোমল।
এর নাম ভাগ্নে দিয়েছিল জন। আমি ডাকতাম কাল্লু।
আরেকজন খুবই দুর্বল। সাইজে বাকী দুইটার একেবারে অর্ধেক। ঠিকমত হাঁটতেও পারত না।
টলতে থাকত। দেখেই মনে হত এক্ষুণি মারা পড়বে। এর নাম ভাগ্নে দিয়েছিল পিটার। আমি ডাকতাম ইন্দুর। ইন্দুরের মতই লাগত দেখে।
তিনজন যখন মায়ের কাছে খাওয়ার জন্য মারামারি করত সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত ইন্দুরটার। তবু মারামারি জারি রাখত ঠিকই।
ওদের মারামারি সামাল দিতে গিয়ে কিম নিজেই হয়রান হয়ে ঘুমিয়ে পড়ত।
বড় বিলাইয়ের কোলে তিনটাকে একসাথে স্থির করে বসিয়ে রাখা খুবই কঠিন একটা কাজ।
কিছুদিন পর দেখি আমাদের ইন্দুর বাবাজী মায়ের যত্নে বেশ সুন্দর স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছেন।
ওদের সবার ঘুমের যার যার পছন্দের জায়গা ছিল। ইন্দুরটার প্রিয় জায়গা ছিল আম্মার বাগানে রাখা বস্তা।
কাল্লু বাবার প্রিয় জায়গা, বাগানে রাখা পুরনো ফোম।
আর মুটকী সবচেয়ে উন্নাসিক। তার প্রিয় ঘুমের জায়গা হল এসির উপরের অংশ।
হবেই না কেন। তাদের মায়ের প্রিয় ঘুমের জায়গা হল ওয়াশিং মেশিন, যেখানে তার তিন সন্তানও যোগ দিত।
এতগুলো ছবি দেখালাম। এবার এদের সর্বশেষ সংবাদ জানিয়ে দিই। কিম কয়েক দফা খাবার চুরি করে খেতে গিয়ে ধরা পেয়ে পিটুনি খেয়ে পালিয়েছে।
ইন্দুরটাও সেই শোকে গৃহত্যাগী বিবাগী হয়েছে। মুটকী বাড়ির বাইরে গিয়ে কিছু একটা খেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। আর কাল্লু এখন সারা পাড়া ঘুরে বেড়ায়, মাঝে মাঝে এসে দর্শন দিয়ে যায়।
সর্বশেষ আপডেট: কাল্লুর সাথে ইন্দুরটাও ফিরে এসেছে। ইন্দুর আর কাল্লু দুই বোন এখন গলা জড়াজড়ি করে বারান্দায় ভাঙা ওয়াশিং মেশিনের ওপর ঘুমিয়ে থাকে।
ভাগ্নের আহ্লাদ পেয়ে দুই বোন গলে গলে পড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।