seremos como el Che
আজ ৪ঠা আগষ্ট কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমারের ৮২তম জন্মবার্ষিকী। তিনি কে ছিলেন, কেন বিখ্যাত হয়েছিলেন এইসব কথা সবারই জানা, সেগুলো তাই আর আবার বলছি না। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না যে কিশোর কুমার তার ব্যাক্তিজীবনেও অনেক মজার মানুষ ছিলেন, হাসি-ঠাট্টা করতে ভালবাসতেন। তার অভিনীত ‘চলতি কি নাম গাড়ি’ ছবিতে তার অভিনয়েও সেটার কিছুটা আভাস পাওয়া যায় বলে আমার ধারণা।
আজ অফিসে বসে উইকিপিডিয়া দেখতে দেখতে কিশোর কুমারের এমনই কিছু মজার ঘটনার খোঁজ পেয়ে গেলাম।
তাই ভাবলাম ঘটনাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলে মন্দ হয় না।
ঘটনা ১
একবার কিশোর কুমার জানতে পারলেন যে তার পারিশ্রমিক পুরোটা পরিশোধ করা হয়নি। তিনি মুখের এক পাশ মেকাপ করে শূটিং এ হাজির হলেন। এ নিয়ে পরিচালক প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর দিলেন ‘আধা পায়সা তো আধা মেকাপ’।
ঘটনা ২
‘ভাই ভাই’ ছবির শূটিং এ তিনি অভিনয় করতে রাজী হলেন না কারণ পরিচালক এম ভি রমনের কাছে তিনি পাঁচ হাজার রুপি পেতেন।
অশোক কুমার তাকে ওই দৃশ্যটি করাতে রাজী করালেন। কিন্তু যখন শূ্টিং শুরু হল, তিনি কিছুদূর হাঁটেন, মুখে বলেন ‘পাঁচ হাজার রুপি’, আর একটা করে ডিগবাজী দেন। এভাবে করতে করতে শেষ প্রান্তে পৌঁছে তিনি ষ্টুডিও থেকে বেরিয়ে লাফ দিয়ে গাড়িতে উঠে তার ড্রাইভারকে চালিয়ে চলে যেতে বললেন।
ঘটনা ৩
প্রযোজক আর সি তালওয়ার’কে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তিনি কিশোরের প্রাপ্য না দিলে একদিন ভোরবেলা কিশোর কুমার তার বাড়িতে হাজির হয়ে চীৎকার করে বলতে লাগলেন ‘হেই তালওয়ার, দে দে মেরে আট হাজার’। তালওয়ার সাহেব তার প্রাপ্যটা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন তিনি এই কাজ করেছিলেন।
ঘটনা ৪
তার ওয়ার্ডেন রোডের ফ্ল্যাটের সামনে তিনি ‘কিশোর হইতে সাবধান’ লিখে একটা বোর্ড টাঙ্গিয়ে রেখেছিলেন। একবার প্রযোজক-পরিচালক এইচ এস রাওয়ালী কিশোরের কিছু প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিতে এখানে এসেছিলেন। কিশোর কুমার টাকাটা নিলেন। বিদায় নেবার সময় রাওয়ালী যখন হাত মেলাতে গেলেন, তখন তিনি সেই হাত ধরে তার মুখে নিয়ে একটা কামড় দিয়ে বললেন, ‘তুমি কি সাইনবোর্ডটা দেখতে পাওনা’? রাওয়ালী কিঞ্চিত হেসে দৌড়ের পরে ভেগে গেলেন।
একবার এক রিপোর্টার তাকে নিঃসঙ্গ বলে উল্লেখ করলে তিনি তাকে তার বাগানে নিয়ে যান এবং কিছু গাছের সাথে তার কাছের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পরিচয় করিয়ে দেন।
ঘটনা ৫
প্রযোজক-পরিচালক জি পি সিপ্পির একটা মুভিতে কিশোর কুমারের গান করার কথা ছিল। সিপ্পি যখন তার বাসার দিকে যাচ্ছিলেন, তিনি কিশোর কুমারকে গাড়িতে করে যেতে দেখলেন। তিনি তাকে গাড়ি থামাতে বললে উনি গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে চলে গেলেন। সিপ্পি মাধ ফোর্ট পর্যন্ত তার পিছু করলেন। কিশোর গাড়ি থামালে সিপ্পি তাকে এমন অদ্ভুত আচরণের কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
কিশোর কুমার তাকে না চেনার ভান করে পুলিশ ডাকার হুমকি দিলেন। ফিরে আসা ছাড়া সিপ্পির আর কোন পথ রইল না। পরদিন সকালে কিশোর কুমার যথারীতি রেকর্ডিং এ গেলেন। ভয়ংকর রেগে সিপ্পি তার কাছে গতকালের ব্যাবহারের কারন জানতে চাইলেন। কিশোর কুমার জোর দিয়ে বললেন যে সিপ্পি মনেহয় কোন স্বপ্ন-টপ্ন দেখে থাকবেন, আর তিনি তো গতকাল খান্ডওয়া’তে ছিলেন।
ঘটনা ৬
একবার এক প্রযোজক কোর্টের দারস্থ হলেন যেন কিশোর কুমার পরিচালকের আদেশ মেনে চলেন। এর ফলে, কিশোর কুমার অক্ষরে অক্ষরে সেই পরিচালকের আদেশ পালন করেছিলেন। পরিচালক না বলা পর্যন্ত তিনি গাড়ি থেকে নামতে রাজী হতেন না। মুম্বাইতে একটা গাড়ি চালানোর দৃশ্যের পর তিনি সেই গাড়ি চালিয়ে খান্ডালা পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন, কারণ সেই পরিচালক ‘কাট’ বলতে ভুলে গিয়েছিলেন।
৪ঠা আগষ্ট, ২০১১ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।