সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার বানানো জন্মদিন তার হীনমন্যতার নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
তার স্বীয় দলের মধ্যে তার বানানো এই জন্মদিন পালনে অনেকে নিরুৎসাহী হলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে আসেনি। যথারীতি আগের বছরগুলোর মতোই চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে গুলশান অফিসে কেক কাটা হয়েছে । বিদেশে বসবাসকারী খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান মায়ের জন্মদিন পালন করতে পারছেন না মায়ের সাথে। ওয়ান-ইলেভেনের পর ২০০৮ সালের জন্মদিনেও দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান খালেদা জিয়ার কাছে ছিলেন না।
পৃথক পৃথকভাবে তারা কারাগারে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য এবারও দুই ছেলে বাইরে আছেন। কথিত আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ দিবেসে জাতী যখন শোক প্রকাশ করবে তখন শোক দিবেসের আবহকে ম্লান করার জন্য ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট আজকের এই দিনে ফেনীর ফুলগাজী গ্রামের এক খালেদা জিয়া জন্মগ্রহণ করেন বলে দাবী করা হয়। যদিও তার আরও একাধিক জন্ম গ্রহণের কথা উল্লেখ আছে।
যেমনঃ
(১) ১৯৬১ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার নথিপত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।
(২) বিয়ের কাবিননামায় (সেটি নিশ্চয়ই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবিত থাকা অবস্খায়) জন্ম তারিখ দেখানো হয়েছে ১৯৪৭ সালের ৯ আগস্ট।
(৩) ১৯৭৮ সালের ১ এপ্রিল পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে গিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ১৯৪৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস উল্লেখ করেছেন তবে কোন তারিখ দেন নি।
(৪) গত ২৯ নভেম্বর ভোটার তথ্য ফরমে জন্ম তারিখ উল্লেখ করেছেন ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট।
প্রমাণপত্রঃ
তার এই বারে বারে জন্ম নেওয়টা ইতিহাসের কলঙ্ক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন না করতে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তার দলের সাবেক সাংসদ অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান।
তিনি ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালনকে অশালীন, অসৌজন্যমূলক বলে অভিহিত করেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, ''দল ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এখন থেকে ১৫ অগাস্ট তথাকথিত জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এই জন্মদিন পালন নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায়ভার জন্মদিন পালনকারীকেই বহন করতে হবে। '' তার পরেও এই জন্মদিন পালন বাঙ্গালী জাতির কাছে একটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।