অনেক বিতর্কের ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজ আরও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক থেকে রেহাই পেল। ইয়ান বেল ‘রান আউট’ হয়ে গেলেও ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বদান্যতায় তিনি জীবন ফিরে পান। বেলের আউটের ঘটনাটি ক্রিকেটের আইনে সঠিক হলেও ইংলিশ খেলোয়াড়দের কাছে সেটি ছিল ‘অ্যাগেইনস্ট দ্য স্পিরিট’। সে কারণে, ইংলিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় খেলোয়াড়েরা বেলের আউটের দাবি প্রত্যাহার করে নেন। আর এতেই দারুণ খুশি হয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি।
আইসিসির ভাষায় ভারতীয় দলের এ বদান্যতা আসলেই ‘বিশেষ কিছু’।
প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন বক্তব্যই তুলে ধরেছে আইসিসি।
গতকাল চা-বিরতির ঠিক আগের বলে বেলকে রান আউট দেওয়া হয়। এর আগে সেই বলে সতীর্থ এউইন মরগানের একটি শট চার হয়েছে কি না, সেটা দেখছিলেন বেল। কিন্তু ভারতীয় ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনে বল থামিয়ে তা ছুড়ে দেন ফিল্ডার অভিনক মুকুন্দের হাতে।
মুকুন্দ যখন বেল ফেলে দেন, ইয়ান বেল তখন ক্রিজের অনেক বাইরেই। ক্রিকেটের সাধারণ আইনে এটি আউট হলেও ‘নৈতিক’তার দিক দিয়ে এটি কতটা ঠিক সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। প্রথমে ‘স্পিরিটে’র প্রসঙ্গ তুলে আম্পায়াররা ধোনিকে এই আউটের দাবি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানালেও তাতে রাজি হননি ভারতীয় অধিনায়ক। পরে ড্রেসিং রুমে ইংলিশ অধিনায়ক ও কোচের অনুরোধে তা মেনে নেন ধোনি।
হারুন লরগাত বলেছেন, ‘অবশ্যই দারুণ একটি ব্যাপার হয়ে গেল ট্রেন্টব্রিজে।
এতে অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে পুরো ভারতীয় দলকেই। সেই সঙ্গে অভিনন্দন জানাই ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে ও আম্পায়ার দ্বয়কে, তাঁরা খুব চমত্কারভাবেই একটি জটিল পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। ’
এদিকে ভারতীয় দলের এ সৌজন্য বোধের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাবেক ক্রিকেটাররাও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, মাইকেল আথারটন, শেন ওয়ার্ন ও মাইকেল ভন।
সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক আথারটন বলেছেন, এটি ভারতীয়দের ‘মহানুভবতা’।
তিনি একই সঙ্গে অবশ্য পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বেলেরও সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, তারও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।
মাইকেল ভন বলেছেন, ‘ধোনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। আমি ধোনির জায়গায় থাকলেও একই সিদ্ধান্তই নিতাম। ’
সর্বশেষ খবর ঃ ভারত 288 এবং 2/0 (ব্যাটিং করছে)
ইংল্যান্ডঃ 221/10 এবং 544/10
ভারতের টার্গেটঃ 478
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।