আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শান্তির দেশ নরওয়ে(!)

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর যে কোন দেশে নিরীহ জনগনের হত্যাকান্ড কে মুসলিম উগ্রপন্থীদের দায়ীকরনের একটি প্রবনতা দেখা গেছে। খবরে, পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমে প্রথমে মুসলিম উগ্রপন্থীদের দায়ীকরন করা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন আলোচনা মুলক অনুষ্ঠানে মুসলমানদের সমাজ ব্যবস্থাকে এ ধরনের হত্যাকান্ডের জন্য ভিত্তি তৈরী করে থাকে বলেও সর্ব সাধারনের চিন্তা চেতনাকে সেই দিকে ধাবিত করার প্রয়াস অনবরত চলতে থাকে। পশ্চিম দেশের গণমাধ্যমের মন্ত্র হোলঃ একটি অসত্যকে বার বার প্রচার করা হয়ে থাকলে সাধারন জনগন ঐ অসত্যকেই সত্য বলে মনে করতে থাকেন(কারন ঐ সাধারন জনগন ঐ অসত্য প্রচার ছাড়া আর কিছু চিন্তা করতে পারছে না। নরওয়ের অসলো ও উটোয়াতে ঘটিত নিন্দনিয়, বর্বোরচিত হত্যাকান্ড প্রথমত মনে করে ছিলাম সরাসরি মুসলিম উগ্রপন্থীদের দায়ীকরনের দিকে ঝুকবে। কিন্তু না এইবার লক্ষ করুন আরও চতুরতার সাথে এই সংবাদটি প্রচার করা হচ্ছে।

পুরোপুরি আমিও পড়িনি। কিন্তু যা পড়েছি, তাতেই আমি সংকিত। এইবার পশ্চিমা গণমাধ্যম জানাচ্ছে, পশ্চিমে মুসলিম সম্প্রসারনের বিরুদ্ধে এই জঘন্য হত্যাকারি তার মতবাদ নরওয়ের ন্যয় শান্তিপূর্ণ(?) দেশের জনগনকে জ্ঞ্যাত করনের লক্ষে সংঘটিত করেছে। তার অর্থ এবার মুসলিম উগ্রপন্থীরা দায়ী নয়, পশ্চিমে বসবাসকারী ও অভিবাসনে আগত একেবারে মুসলমানেরাই দায়ী। লক্ষ করুন কতটুকু সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার এর জন্য এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।

এর মানে হচ্ছেঃ ১। পশ্চিমে মুসলমানদের অনাকাঙ্খিত প্রসার হচ্ছে। ২। আর যেহেতু (ধরেই নেয়া হচ্ছে) মুসলমানরা ভাল ধর্মের নয় সুতরাং এই ধর্মালম্বীদের প্রসার ও স্থাপনা রুখতে হবে। কোন বাংলাদেশী গণমাধ্যম, বিশেষ করে টিভি চ্যনেল ইচ্ছে করলেই মাসকে মাস নরওয়ে ভিত্তিক এই মতবাদ নিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে পারেন।

দেখা যাক কে করতে পারেন। কোন বুদ্ধিজীবি সংগঠন এতে অংশ নেন। অন্য দিকে নরওয়ের গ্রামীনফোন এর নিকট আমরা দেশের টেলিফোন সিস্টেম (নিজেরটা ধ্বংস করে)অনেকটা বেচে দিয়েছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।