একটি কাক কেমন করে সাদা হয়ে গেল। আবার এক টুকরো সাদা মেঘ কেমন করে কালো হয়ে গেল।
আমার লেখা সর্বশেষ গল্প
গল্পটি এখানেও পড়তে পারেন আবার লিংকও দিয়ে দিলাম।
এক টুকরো মেঘ। ধবধবে সাদা।
একদিন খুব নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। কোথায়? কে জানে? মেঘেরা কখন কোথায় যায়, কেউ কি জানে?
আর যাচ্ছিল একটা কাক। মিশমিশে কালো। কোথায় যাচ্ছিল? ছানাদের কাছে। ছানারা ছিল কাঠ বাদাম গাছে।
কাকের ঠোঁটে খাবার। এক টুকরো রুটি। বড্ড তাড়াহুড়ো কাকটার। ছানারা যে ডাকছে। তাড়াহুড়োয় খেয়ালই করেনি সামনে সাদা মেঘ।
ব্যস। কালো কাক ঢুকে পড়ল সাদা মেঘের ভিতর। তারপর?
তারপর খুব অবাক ব্যাপার ঘটল।
খানিক পর সাদা, না সাদা নয় কালো মেঘের ভিতর থেকে বেরিয়ে এলো কালো, না কালো নয়, সাদা একটা কাক। ধবধবে সাদা কাক।
বেরিয়েই ওর খুব ডাকতে ইচ্ছে করল, ক্বা ক্বা ক্বা।
কিন্তু বেচার কাক! ডাকতেও পারল না। কেন বলতো? কেন আবার? ডাকতে গেলেই ওর ঠোট থেকে রুটির টুকরোটা পড়ে যাবে না? ছানাগুলোর যে তখন না খেয়ে থাকতে হবে। কাজেই আর হাঁক-ডাক না করে কাকটা উড়ে গেল ছানাদের কাছে। মেলে ধরল রুটির টুকরো।
ছানাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল রুটির টুকরোটি নিয়ে।
আর কালো মেঘ?
কালো মেঘটার কী ভীষণ মন খারাপ যে হলো। ছিল সাদা হয়ে গেল কালো। মন খারাপ তো হবেই। নচ্ছার কালো কাকটা কেন যে মেঘের ভিতর ঢুকেছিল! এখন?
এখন আর কী।
সাদা মেঘটা কালো হয়েই উড়তে লাগল। উড়তে উড়তে গিয়ে হোঁচট খেল নবনিলদের বাড়ির ছাদের দেয়ালে। ওদের বাড়িটা চারতলা কি না। ওই চারতলাই ডিঙোতে পারল না কালো মেঘ। আসলে কালো হওয়ার পর থেকেই বেশ ভারি হয়ে গেল ও।
বাতাসে আর ভেসে থাকতে পারল না। ঝুর ঝুর করে ঝরে পড়লÑবৃষ্টি হয়ে। একটুখানি বৃষ্টি। নবনিলদের চারতলা বাড়ির ছাদের পুরোটাও ভিজল না। খানিকপরে রোদে শুকিয়েও গেল বৃষ্টির পানি।
আর কী অবাক! বৃষ্টি শুকিয়ে যেতেই সেই যে সাদা কাক, আবার কালো হয়ে গেল। একেবারে মিশমিশে কালো।
ওই অবাক ব্যাপারটা ঘটে গেল অল্প সময়ের মধ্যে। যারা দেখেছে কেবল তারাই জানে। আর যারা দেখেনি, তারা কি জানে?
জানবে।
এই গল্পটা পড়লেই জানবে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।