বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যশোরে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সকল আসামিকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ২০ জুলাই মামলাটি খারিজ করেন জেলা জজ আজিজুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত আদেশ রোববার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন ডিএডি মোদাচ্ছের উদ্দিন, নায়েব সুবেদার জারজিদ আলী, মাহবুব আলম, হাবিলদার ফজলুর রহমান, গোলাম, মনোরঞ্জন, তৌফিকুল, জাহিদুল, আসলাম, আমিরুল, নায়েক আমজাদ, ল্যান্সনায়েক আব্দুস সামাদ, ফারুক হোসেন, লুৎফর রহমান, সিপাহী আজাহার আলী, মিন্টু, মহিরুল, জালাল, আমিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান, আমিনুল, নজরুল, আব্দুর রহিম, রুহুল আমিন, হাবিলদার আবুল, শফিকুল, ল্যান্সনায়েক আব্দুল মান্নান, সিপাহী শিপন, ফরহাদ, সাজেদুর রহমান, আরিফ, আবুল হাশেম, মোকাদ্দেস আলী, সিরাজুল ইসলাম, মুজিবর রহমান মতিন, দেলায়ার, খায়রুল, হিরাঙ্গী, রুহুল, রেজাউল ও ল্যান্সনায়েক দেলোয়ার।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহ শুরু করে জওয়ানরা।
এ বিদ্রোহের জের ধরে পরের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি যশোর ঝুমঝুমপুর ২২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা বিদ্রোহ শুরু করে। পরে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক তারা অস্ত্র সমর্পণ করে এবং র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা ২২ রাইফেল ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রন নেয়।
এ ঘটনায় ১৩ মে কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুল কাদের বেগ ডিএডি মোদাচ্ছেরসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার সিআর নম্বর ৪৯৯/০৯। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৪৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।
এরপর ১৪ মে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২২ র্যাইফেল ব্যাটালিয়ন থেকে ৪২ জওয়ানকে আটক করা হয়। ওইদিনই তাদের আদালতে হাজির করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সবুর মিনা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এ মামলটি স্পেশাল আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। সরকারি নির্দেশনায় সর্বশেষ মামলাটি জেলা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়।
এরই মধ্যে চলতি বছর বিদ্রোহের ঘটনায় বিডিআর আইনে দায়ের করা বিভাগীয় মামলায় ৬২ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিশেষ আদালত।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সকলকে সাজা দেয়া হয়।
এদিকে, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা পরিচালনা না করার জন্য গত ৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা স¤প্রতি যশোর আদালতে পাঠানো হয়। গত ২০ জুলাই জেলা জজ আজিজুল ইসলামের আদালতে এ মামলার শুনানী হয়। রাষ্ট্র এ মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নয় বিধায় মামলার সকল আসামিকে দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এরপর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা রোববার কারাগারে পাঠানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।