তোমারে যা দিয়েছিনু-সে তোমারি দান,গ্রহণ করেছ যত-ঋণী তত করেছ আমায় আজ ভীষণ ক্লান্ত;
কোন কবিতার চেষ্টা করব না, কোন ছন্দ ও নয়।
খেয়ে দেয়ে ঘুম দেব।
দরজা চাপিয়ে, জানালা খুলে দিয়ে
বিছানায় সপে দিলাম নিঃশ্বাস সমেত এই শরীর।
চোখ বন্ধ করতেই দেখি, আমার ঘরে
একটা সাপ ঢুকেছে – সবুজ ডোরাকাটা;
ভীত স্বতন্ত্র, দলা পাকিয়ে ভীরু চোখে
তাকিয়ে আছে আমার দিকে,
আমি ছুঁতেই দৌড়ে পালালো;
যাবার আগে দিয়ে গেল শীতল একটা শরীর--
সাপটাকে বিদায় দিয়ে সোজা চলে গেছি মহাসাগরের বুকে,
বরফপিণ্ডের ধাক্কা খেয়ে, টাইটানিক সবে ডুবতে শুরু করেছে।
জ্যাক আর রোজের কিছু দূরে আমিও ডুবছি।
ডুবতে ডুবতে হঠাৎ মনে হল, আর নয় জল পান; কেন নয় দহন!
ইচ্ছে হল, তাই চলে গেলাম পর্বত শিখরে; চলে গেছি ভিসুভিয়াসে!
আর ঘুমন্ত লাভাটা কি মনে করে যেন, ঠিক তখনি জ্বলে উঠল।
ঝলসানো শরীর নিয়ে আমি বড় ক্লান্ত, বড় একা।
কলঙ্ক নিয়ে চাঁদও বড্ড একা; ওর কাছেই বরং যাই,
আমার পদচিহ্ন চাঁদে পড়তে না পড়তেই,
শনির বাহুবলে আমি তলিয়ে গেলাম কৃষ্ণ গহ্বরে!
আমি ক্রমাগত তলিয়ে যাচ্ছি, হঠাৎ তুমি
এসে আমার হাত শক্ত করে ধরলে-
‘’ ভাবনা কি? ভয় কিসে? আমিতো রয়েছি তোমার সাথেই!’’
খুব ভোরে ঘুম ভাঙল।
গতরাত জুড়েই আমার দুঃস্বপ্ন দেখা, এবং
নিরস, ছন্দহীন, ব্যর্থ একটা কবিতার সৃষ্টি হওয়া । ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।