আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবসান হোক এই নৃশংসতার

Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience আমিনবাজারের বরদেশী গ্রামে শবেবরাতের রাতে ডাকাত সন্দেহে গ্রামবাসীর পিটুনিতে নিহত হয়েছেন ছয় ছাত্র। এই ছয় তরুণকে গ্রামবাসী যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা এককথায় মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। এমন সংঘবদ্ধ নির্মমতা এই সময়ে কিছুতেই কল্পনা করতে পারি না। ওই তরুণেরা উত্তেজিত গ্রামবাসীর কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল; তারা ডাকাত নয়, ছাত্র এই কথাও বলেছিল। তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না, ডাকাতদের যেমন থাকে।

তারা গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়নি, ডাকাতের দল যেমনটি করে থাকে। উত্তেজিত, সংঘবদ্ধ গ্রামবাসীর স্বাভাবিক বিচার-বিবেচনাবোধ কি লুপ্ত হয়েছিল? গ্রামবাসী কি সত্যিই বুঝতে পারেনি যে ওই তরুণেরা ডাকাত নয়। নাকি নেশা করতে গিয়েছিল বলে তরুণদের শাস্তি দিতে পিটুনি শুরু করা হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত প্রাণঘাতী ব্যাপক গণপিটুনিতে রূপান্তরিত হয়েছিল? শুধু এই একটি ঘটনাই নয়; চোর, ছিনতাইকারী, ডাকাত সন্দেহে এবং সত্যিকারের চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার অনেক ঘটনা অতীতে ঘটেছে, মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা; কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের বিপজ্জনক প্রবণতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া কোন পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়।

এটা মেনে নেওয়া যায় না। নেশার ব্যাপারটি সত্য হলে, এই ছয় ছাত্রকে তাদের পরিবার সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারেনি বলেই এভাবে তারা নেশার জগতে পা রাখতে গেছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিতরা নিজেদের কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে হয়তো এই ধরণের ঘটনা ঘটতো না। বিষয়টি সবাইকেই ভেবে দেখতে হবে। এভাবে ছয়টি জীবন ঝরে যেতে পারে না।

এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। পাশাপাশি সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এহেন পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটুক এটাই প্রত্যাশা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।