আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
তুলি তার স্বপ্নের কথা একদমই ভুলে গেছে। সারাদিন প্রজাপতির সাথে মেতে থাকে। প্রজাপতির পাখার রং দেখে, এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অনেকক্ষণ। সেদিন রাতে হঠাৎ করে তুলির শরীর খারাপ হলো। তুলির বাবা হাটে ছিলেন তাই তুলির মা তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন, কিন্তু শরীর অনেক খারাপ হবার কারনে তিনি বাধ্য হয়ে তুলির বাবাকে খবর দিলেন।
তুলির বাবা খবর পেয়ে হন্য হয়ে ছুটে আসলেন। তুলির শরীর অনেক খারাপ কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এতরাতে কোথায় নিয়ে যাবে তা বুঝতে না পেরে ভোর হবার অপেক্ষায় তুলির বাবা মা তার উপরে চোখ রাখছিলেন। তুলির ঘুম পাচ্ছে। ঘুমের মধ্য তার বন্ধু পরীর সাথে দেখা।
তুলি অনেক খুশি হলো। কিন্তু আজ পরীর মন খারাপ। কাশবনের এক কোণায় বসে আছে। তুলিকে দেখে খুব একটা খুশি হলোনা। তুলি প্রশ্ন করলো তার কি হয়েছে? পরী তাকে শুধু একটাই অনুরোধ করলো! প্রজাপতিটা ছেড়ে দাও, অনেক কষ্ট পাচ্ছে! তুলি একটু ভয় পেয়ে পিছু পা হতে থাকলো আর বললো এটা আমার প্রজাপতি আমি ছাড়বো না! পরী কিছু না বলে হাওয়ায় মিশে গেল।
স্বপ্নের ঘোরে হঠাৎ তুলির কথা শুনে তার বাবা তা শুনতে চেষ্টা করলেন। যা বুঝলেন তা হলো, এটা তুলির প্রজাপতি, এটা সে ছাড়বে না! তুলির বাবা কিছু বুঝতে না পেরে কান্না শুরু করলেন। সকাল হতেই তুলির শরীর আরো খারাপ হলো। জলদি করে তাকে হাসপাতাল নেয়া হলো। ডাক্তার দেখানোর পর কিছু ওষুধ নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে এলো।
কিছু দিন পর তুলি আবার ঠিক হয়ে গেল। ঠিক হবার পর পরই সে তার প্রজাপতির খোঁজ নিল! বাবাকে প্রশ্ন করে মা'কে প্রশ্ন করে আর তার প্রজাপতি কোথায় খুজে পাচ্ছে না। তার মা তাকে কিছু বললো না, বাবা বললেন প্রজাপতিটা মারা গেছে তাই আমরা প্রজাপতিটা কবর দিয়েছি। একথা শুনে তুলি কান্না জুড়ে দিল। সে কিছুতেই মানবে না।
অনেক কান্নাকাটি করলো। তার বাবা তাকে আরেকটা প্রজাপতি ধরে দেবে বলে আশ্বস্ত করলো।
অনেকদিন হয়ে গেল তুলি তার বাবাকে প্রজাপতি ধরে দেবার বায়না করলো। কিন্তু তার বাবা নানা অজুহাতে তাকে সরিয়ে রাখে...
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।