আমি বাধঁনহারা, মৃত্তিকা বুকে, আপন রূপে...........
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহের কুঠিবাড়ী
অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুর শিলাইদহ জমিদারী ক্রয় করে ১৮১৩ সালে তিনি কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিবিন্দ্র নাথ, হেমেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ ঠাকুর বংশের প্রায় সকলেই পদ্মা গড়াই বিধৌত এখানে বসবাস করেন। মূলতঃ জমিদারী কাজকর্ম দেখাশুনার জন্য এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময়ে ঠাকুর পরিবারে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ; নাটোরের পতিসর ও পাবনার শাহজাদপুরে তিনটি জমিদারী ছিল। পারিবারিক আদেশে রবীন্দ্রনাথকে শিলাইদহে জমিদারী পরিচালনার জন্য এসেছিলেন।
রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী
কুষ্টিয়া শহর থেকে আলাউদ্দিন মোড় পর্যন্ত বাসে গিয়ে স্থানীয় যানবাহন রিক্সা-ভ্যান ও নসিমন যোগে যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত্ব ১ কিলোমিটার।
সপ্তাহে প্রতি রবিবার এবং সোমবার বেলা ৩-০০ পর্যমত্ম বন্ধ থাকে। এছাড়া অন্যান্য সব দিন সকাল ১০-০০ টা হতে সন্ধ্যা ৬-০০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
ছেঁউড়িয়াস্থ বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
আধ্যাত্মিক সাধক লালন শাহ’র কুমারখালীর ছেঁউড়িয়াতে আশ্রয় লাভ করেন এবং পরবর্তীকালে ছেঁউড়িয়াতে মৃত্যুর পর তাঁর সমাধি স্থলেই এক মিলন ক্ষেত্র (আখড়া) গড়ে ওঠে।
ফকির লালন শাহের শিষ্য এবং দেশ বিদেশের অগনিত বাউলকুল এই আখড়াতেই বিশেষ তিথিতে সমবেত হয়ে উৎসবে মেতে উঠে। এই মরমী লোককবি নিরক্ষর হয়েও অসংখ্য লোক সংগীত রচনা করেছেন। বাউল দর্শন এখন কেবল দেশে নয়, বিদেশের ভাবুকদেরও কৌতুহলের উদ্রেক ক
রেছে। ১৯৬৩ সালে সেখানে তার বর্তমান মাজারটি নির্মাণ করা হয় এবং তা উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান। ২০০৪ সালে সেখানেই আধুনিক মানের অডিটোরিয়ামসহ একাডেমি ভবন নির্মাণ করা হয়।
লালন শাহর মাজার
· কুষ্টিয় শহর থেকে দুরত্ব প্রায় ৪ কিঃমিঃ। কুষ্টিয়া শহর থেকে গাড়ী, রিক্সা ও ভ্যানে যাওয়া যায়।
· সপ্তাহে প্রতিদিন খোলা থাকে।
· নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ তাইজাল আলী খান। মোবাইল নম্বর- ০১৭১৫-১৩৩৯৩৩
মীর মশাররফ হোসেনের বাসত্মভিটা
বিষাদ সিন্ধুর রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের বাস্ত্তভিটা কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়ায় অবস্থিত।
এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ছোট আকারের একটি লাইব্রেরী আছে। ১৭ অক্টোবর ২০০৮ সালে মীর মশাররফ হোসেনের নামে স্থানীয় সরকার বিভাগের অর্থায়নে ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জেলা পরিষদ কুষ্টিয়া কর্তৃক একটি লাইব্রেরী ও অডিটরিয়াম নির্মান করা হয়।
· কুষ্টিয়া শহর থেকে গাড়ী, বাস ও ভ্যানে যাওয়া যায়। কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত্ব ৬ কিঃমিঃ।
· উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুমারখালী এ স্থানের তত্বাবধানে আছেন।
ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ
কুষ্টিয়া সদর থানার অমত্মর্গত ঝাউদিয়া গ্রামে শাহী মসজিদ মোঘল সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে ঝাউদিয়ার জমিদার শাহ সূফী আহমদ আলী ওরফে আদারী মিয়া নির্মাণ করেন। এটি মোঘল শিল্পকলার এক অপূর্ব নিদর্শন। মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এবং এর চার কোনায় চারটি বড় মিনার আছে। ১৯৮০ সাল থেকে প্রত্নতত্ব বিভাগ এটি সংরক্ষণ করে আসছে।
ঝাউদিয়া শাহী মস্জিদ
· কুষ্টিয়া শহর থেকে সড়ক পথে যাওয়া যাবে।
কুষ্টিয়া শহর থেকে দুরত ২২ কিঃ মিঃ।
· স্থানীয় পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা মসজিদটি পরিচালিত হয়ে থাকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।