আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
হাসিনা এই আমলে ভারতকে যে সুবিধা দিল তাকে \"মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি বলা যায়\"। ২০১০ সালের জানুয়ারীতে দিল্লীতে গিয়ে কি কি শর্তে হাসিনা গোপনে ভারতের সাথে চুক্তি করল তা আজও জানা যায়নি। ভারত আমাদের নদীপথ সহ সড়ক, রেল ও সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহার করে কি টোল দিবে তা আমরা জানি না। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ যে ভারত আমাদেরকে কোন প্রকারের টোল দিতে অনিচ্ছুক। টোল দিতে ইচ্ছুক নয় উপরন্ত এর বিকল্প এই দেশের প্রতিষ্ঠিত ওষুধ সেক্টর ও আভ্যন্তরীন টেলিকম ব্যাবসায় বিনিয়োগ করে আমাদের আভ্যন্তরীন আয় লুট করতে চায়।
আমাদের দেশে হাউজিং তথা রিয়াল ষ্টেট সেক্টরে যেখানে বসুন্ধরা, যমুনা, কনকর্ড ইত্যাদি শক্ত প্রতিষ্ঠিত কোম্পানী আছে তা সত্ত্বেও কেন ভারতীয় সাহারা কোম্পানী এখানে বিনিয়োগ করবে? এটা কি মোবাইল ঘড়-বাড়ী যে তা বিদেশে রপ্তানী হবে? বরং এই দেশের ক্রেতাদের থেকে টাকা নিয়ে সেটা ডলারে রুপান্তর করে ভারতে নিয়ে যাবে সুব্রতর সাহারা। এমনিতেই আমাদের রপ্তানী আয়ের চেয়ে আমদানী ব্যায় বেশী তারপরেও হাজার হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অহেতুক ভারতে কেন যাবে? আর বাংলাদেশে সাহারা হাসিনার আত্নীয় শেখ ফাহিমের সাথে মিলে যৌথ বিনিয়োগ ঘোষণার আগেই ভারতীয় ষ্টক এক্সচেঞ্জ এটাকে সেদেশের ক্রেতাদের হতে অবৈধ ভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ দিয়েছে। এটা সেই ২০১১ সালের ঘটনা;
Finally the court verdicts went against Subrata Roy Sahara and his SAHARA GROUP, when on May 12, 2011 the Indian Supreme Court upheld the decision of Securities and Exchange Board of India and rejected the plea of Subrata Roy Sahara and his business enterprise. Meanwhile sensing severe legal consequences, Subrata Roy Sahara changed the name of his company from Sahara India Real Estate Corporation Limited to Sahara Community Services Corporation Limited.
Click This Link
আজকে ভারতের ষ্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সুব্রতর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়াণা জারির জন্য সেই দেশের সুপ্রীম কোর্টে আবেদন করছে;
Click This Link
তারপরেও জেনে শুনে একটা প্রতারক ভারতীয় কোম্পানীকে এই দেশে কি লাভে শেখ ফাহিম গং তথাকথিত বিনিয়োগের সুবিধা দিচ্ছে? ১৯৯৬, ২০১০এ যেহেতু সালমান গং শেয়ারবাজার হতে লুটপাট করে পার পাইছে তাই এখন ভারতের সুব্রত বাবুও একই সুযোগ হাসিনা হতে নিচ্ছে। অথচ ভারতে সহজে পার পাবে না এই সুব্রত ও তার সাহারা কোম্পানী।
আমাদের দেশের বিদ্যুৎ সংকটকে কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে হাসিনার ঘনিষ্ঠ সামিট ও অরিয়ন গ্রুপ কুইক রেন্টালের মাধ্যমে একচিটিয়া সুযোগতো নিচ্ছেই এবার ভারতীয় জাতীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানীকে খুলনার রামপাল কেন্দ্র হতে বিদ্যুৎ বিক্রির লাভের উপর কর হতে ১০ বছর মেয়াদের জন্য ট্যাক্স ফ্রি করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে;
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন (এনটিপিসি) রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া নিজেদের মুনাফার সম্পূর্ণ অংশই বাংলাদেশ সরকারকে কর না দিয়ে দেশে নিতে পারবে। অর্থাৎ, অন্যদের মতো লভ্যাংশের ওপর কোনো কর দিতে হবে না ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানকে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কোম্পানিটিকে এ কর রেয়াত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কোনো বিদেশি কোম্পানিকে এ ধরনের কর রেয়াত দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্রগুলো জানায়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে এ কর রেয়াতই ছিল এনটিপিসির প্রধান শর্ত। এর আগে এনবিআরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয়। পরে সরকারের রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাওয়ার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এনবিআর কর রেয়াতের সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজ-কালের মধ্যেই এনটিপিসিকে চিঠি দিচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রকল্পের বাস্তবায়ন চুক্তি (ইএ) সই করার।
গত বুধবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।
Click This Link
রাজস্ব বোর্ড বাংলাদেশের স্বার্থে কর চাইলেও হাসিনার ভারত বদন্যতায় সেই দেশের এনটিপিসি বড় ধরণের ছাড় দিচ্ছে। হাসিনার কথা হল বাংলাদেশ ও এর জনগণ কি পেল না পেল তার চেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ভারত ও ভারতীয়রা কি পেল।
কয়েকদিন আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা সাফ জানিয়ে দেয় \"আমার উত্তরবঙ্গের মানুষের ক্ষতি করে তিস্তার জল ভাগ করতে পারব না\"। এই খানে মমতার কোন জিজ্ঞাসা ও জরিপেরও দরকার হয়নি ডাইরেক্ট এ্যাকশন।
দিল্লী হাজার চাইলেও মমতার অনড় অবস্থান হতে নড়াতে পারবে না। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা হাজার আপত্তি সত্ত্বেও দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতকে সুবিধা দিতে অস্থির থাকে। এরাই হল স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।