আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নরপিশাচ পরিমল, মিউচুয়াল হোসনে আরাদের নেপথ্যে যারা সমর্থন দিচ্ছে তাদের গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করা হোক

নরপিশাচ পরিমল ও তার সাথে নিয়োগ পাওয়া মোট ৬ কোন্ যোগ্যতায় ভিকারুন্নেসায় নিয়োগ পেল? তারা কি গোপালগঞ্জের অধিবাসী বলেই নজিরবিহীনভাবে একই সাথে ৬ জন একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেল? এসব প্রসঙ্গ যখন আসে তখন সঙ্গতভাবেই এ প্রশ্ন জাগে যে নিয়োগদাতা/মদদতাতারা কারা? আজকের ১৬ জুলাইয়ের একটি দৈনিকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট করা হয়েছে। এর লিঙ্ক হলো: Click This Link "পরিমল জয়ধর যেভাবে চাকরি পেলেন" বলা হয়েছে, সরকার দলীয় প্রভাবশালী মহলের তদবিরে লম্পট শিক্ষক গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার পরিমল জয়ধর ও তার সহযোগীরা ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিয়োগ পরীক্ষায় যিনি প্রথম হয়েছিলেন এবং যারা মেধা তালিকায় প্রথমদিকে ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ............. প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী বলে পরিচিত হোসনে আরাকে অপসারণ না করে দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের ছুটি। নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগেও নানান ছলচাতুরী করা হয়েছে।

এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট রাশেদ খান মেনন এই গুরুতর ঘটনার কোনো প্রতিবাদ বা ব্যবস্থা না নিয়ে নিউইয়র্ক-লণ্ডন সফরে দেশের বাইরে চলে গেছেন। এই "বামপন্থী, সমাজতন্ত্রী, বিপ্লবী" মেনন এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ ভিকারুন্নেসার ছাত্রীদের আন্দোলনকে বলেছেন, "তৃতীয় পক্ষের, অশুভ শক্তির ইন্ধন"-এ অরাজকতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনকে একটি মন্ত্রব্যও করতে শোনা যায়নি ছাত্রী ধর্ষণের ব্যাপারে। মহিলা পরিষদসহ সব মহিলা সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন যাদের সবার আগে এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর কথা, তারাও নিশ্চুপ।

তারানা হালিমের মত গলাবাজরাও নিশ্চুপ। এটা পরিষ্কার যে, কোনো একজনের অঙ্গুলি হেলনে লম্পট পরিমলের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যেমন হয়েছিল "সেঞ্চুরিয়ান ধর্ষক মানিকে"র বেলায়। এই "কোনো একজন" গোস্বা হবেন এজন্যই তারা আজ ধর্ষকের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। একদিন হয়তো আমরা দেখবো এই হোসনে আরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে হজ্বে যাচ্ছে, বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছে।

হোসনে আরা প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী হওয়ার সুবাদে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগও পেয়ে যাবে একসময়। সবই সম্ভব এ দেশে। এর আগের বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় প্রধানমন্ত্রীর এক বান্ধবীর গুণধর পুত্ররা দুই যুবককে হত্যা করে তাদের লাশ বার টুকরা করে ম্যানহোলে ফেলে গুম করেছিল। সেই ঘটনা সারা দেশকে নাড়া দিয়েছিল। আর এবার প্রধামন্ত্রীর আরেক কীর্তিমতী বান্ধবীর কুকর্মে সারা দেশ আবার আলোড়িত হল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.