আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের আচরণ ও সৌজন্যবোধ

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। মানুষের আচরণ ও সৌজন্যবোধ বাংলাদেশের মানুষের আচরণ কি সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বড্ড বেশী রূঢ় ও রুক্ষ্ণ হয়ে যাচ্ছে না? পথে-ঘাটে অফিস-আদালতে মানুষের আচার-আচরণ দেখে আমার অন্তত তাই মনে হয়েছে। আমরা কি তাহলে কোন দিনই সৌজন্যবোধ আয়ত্ত্ব করতে পারবোনা? আমরা কি সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী হইনি? বাংলাদেশে আগের চেয়ে বর্তমানে শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বেড়েছে উন্ন্ত বিশ্বের সাথে যোগাযোগ।

ফোন-ফ্যাক্স, মোবাইল আর ইন্টারনেট বাড়িয়ে দিয়েছে যোগাযোগ আর প্রাত্যহিক বিনোদনে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন মাত্রা। আর তাই বলতে গেলে সারা বিশ্ব এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। এখন ড্রইং রুমে বসে রিমোট কন্ট্রোলের বোতাম টিপলেই চোখের সামনে চলে আসে উন্নত বিশ্ব আর ওই সব দেশের কালচার। ফলে ওই সব দেশে না গিয়েও তাদের আচার-আচরণ চাল-চলন রীতিনীতি সব কিছু ঘরে বসেই জানা সম্ভব হচ্ছে। একই সাথে আমাদের সুযোগ বাড়ছে উন্নত মানের শিক্ষা শিক্ষা গ্রহণের ।

আমরা ইচ্ছে করলেই ঘরে বসে অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জন করতে পারি। অবশ্যই আমাদেরকে মনে রাখতে হবে শিক্ষা মানে কিছু সার্টিফিে কট অজর্ ন নয়। প্রাচীন যুগের মহা পুরুষেরা যেমন প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতেন ঠিক তেমনটি এখনো তো হতে পারে। শিক্ষা হচ্ছে- মানুষের আচার-আচরণ চিন্তা-চেতনার গঠনমূলক ও উন্নত পরিবর্তন। যে পরিবর্তনের ফলে মানুষ আরো উন্নত মন-মানসিকতার অধিকারী হবে।

আরো বেশী প্রগতিশীল হবে। জীবন যাত্রার মান হবে অনেক বেশী উন্নত। মানবাধিকার হবে সুপ্রতিষ্ঠিত। হত্যা-ধর্ষণ চুরি-রাহাজানি বন্ধ হবে। সুন্দর এক সমাজ প্রতিষ্ঠিতহবে।

কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মানুষরা কি সেটা করতে পারছি ? আমাদের সামনে এই প্রশ্ন আসছে নানা কারণে। আমাদের একটি বড় সমস্যা হচ্ছে, আমরা মানুষকে তার প্রাপ্য যথাযথ সম্মান করতে জানি না। এখানে বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা মানুষকে মূল্যায়ন করছি সে কোন পদে আছে, কিংবা সে কত টাকার মালিক অথবা সে কোন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শাখার সভাপতি কিংবা অন্য কোন পদে বহাল আছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে। এটি একটি বড় ভ্রান্ত ধারণা।

আমরা একজন রিক্সাওয়ালাকে কখনোই “আপনি” করে বলতে পারছিনা। কারণ সে রিক্সা চালায়। আমরা দেখিনা, সে সৎ কিনা, তার নীতি ঠিক আছে কিনা। মানুষের সাথে তার আচরণ কেমন? সে মানুষের টাকা আতœসাৎ করে কিনা? ঐদি না করে তাহলে সে অবশ্যই একজন আদর্শ মানুষ। সে সালাম পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।

তাকে আমরা সম্মান করছিনা। অথচ দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত একজন পয়সাওয়ালা লোককে আমরা “স্যার স্যার” করতে করতে অস্থির হয়ে যাই। আমরা মানুষকে মূল্যায়ন করিনা, মর্যাদা দিইনা। মূল্যায়ন করি তার পদকে, মূল্যায়ন করি তার টাকাকে। এটা আমার মনে হয় এক ধরনের হীন মনমানসিকতার পরিচায়ক।

কোন মানুষই পৃথিবীতে খারাপ হয়ে জন্ম নেয়না। জন্মের সময় প্রতিটি শিশুই থাকে ফুলের মতো নিষ্পাপ। এই নিষ্পাপ শিশুরা এক সময় বড় হয়। বাবা-মা’র সঠিক দিক নির্দেশনার অভাব এবং পরিবেশের করাণে এই নিষ্পাপ শিশুরা এক সময় কেউ কেউ খারাপ হয়ে যায়। কেউ ছিনতাই করে।

কেউবা নেশা করে। আবার কেউ কেউ বিচিত্র ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। কেন এমন হয়? তা কি আমরা কথনো ভেবে দেখি। আমাদের রাষ্ট্র নায়করাও কি কখনো ভাবেন? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.