এটিএম বুথ থেতে টাকা তুলতে সাবধান। গতকাল ব্র্যাক ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ থেকে ১৭ হাজার টাকা তুলেছিলেন এক ভদ্রলোক। ১৫টি ১০০০ টাকার নোট এবং ৪টি ৫০০ টাকার নোট। তারপর এই টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন মেটলাইফ অ্যালিকো (জীবন বীমা)'র অফিসে। ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে উত্তোলনকৃত টাকায় সেখানে তার বীমা পলিসির প্রিমিয়াম জমা দিতে গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা উক্ত টাকায় ১০০০ টাকার ১টি নোটকে জাল বলে শনাক্ত করেন।
কিন্তু এসময় উক্ত ভদ্রলোক অসহায় এবং বিব্রত বোধ করেন। কারন তার কাছে ঐ সময় আর কোন টাকা ছিল না, যা দিয়ে বীমার প্রিমিয়াম জমা দিবেন। তাছাড়া জাল টাকা বহন করার দায়টাও তার উপর বর্তেছে। তাই এটিএম থেকে টাকা তোলার স্লিপটা দেখিয়ে উক্ত কর্মকর্তার কাছে বিনয় স্বীকার করে বলেন, এখন আমি কি করতে পারি? কারণ ব্যাংক থেকে ক্যাশ তোলতে গেলে অনেক সময় জাল টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়। আর সাথে সাথে তা শনাক্ত করা না গেলে ব্যাংক কর্মকর্তারা সে টাকার দায় গ্রাহকের উপরেই চাপায়।
আর এটিএম বুথে তো কোন ব্যাংকের কর্মকর্তা থাকে না। তাহলে আমরা এভাবে বুথ থেকে জাল টাকা পেলে কার কাছে অভিযোগ করব? কিংবা কিভাবে এর প্রতিকার করব?
না উক্ত ভদ্রলোকের এ প্রশ্নের উত্তর অ্যালিকোর ওই কর্মকর্তার জানা নেই। তাই তিনি কিছু করতেও পারেননি। অতএব নতুন করে টাকা এনেই প্রিমিয়ামের টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে ওই ভদ্রলোককে।
অতএব সাধু সাবধান!!! যারা এটিএম কার্ড পকেটে নিয়ে মনের আনন্দে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিতে পেরে গর্ব বোধ করে বেড়াচ্ছেন, তারা এখন একটু সাবধান হোন।
তানাহলে নিজের পরিশ্রমের টাকা এটিএম থেকে তুলে,নকল টাকা বহনের দায়ে শ্রীগরেও যেতে হতে পারে!!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।