বাংলাদেশে অধুনা অতি হাস্যকর নাম দিয়ে একটি এসলামি দলের জন্ম হয়েছে। বলাই বাহুল্য দলটির জন্ম এক বিটকেলে ঐতিহাসিক মুহূর্তে---
আমরা যখন মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণিত ব্যাক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের দাবীতে দল মত পথ নির্বিশেষে সবাই রাজপথে নেমেছি, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগী শহীদদের রক্তঋণ আদায়ে মরিয়া--সেই পটভূমিতে একজন কুখ্যাত রাজাকার এর ফাঁসীর রায় ঘোষিত হলে তার অনুসারীরা সারা বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর মাতম শুরু করে। তাদের সাবেক চরিত্র অনুযায়ী তারা হিন্দুদের ঘরবাড়ী, উপাসনালয় জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিতে থাকে, ফাঁসীর দাবী চাওয়ায় স্বধর্মী তরুণের জিভ কেটে, চোখ উপড়ে নিয়ে হত্যা করে, প্রজাতন্ত্রের শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পিটিয়ে শুইয়ে দেয় রাস্তায়, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে, দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা ধ্বংস করতে শুরু করে যেনো দেশটি তাদের নয়--বাস্তবতা হল এই দেশ সত্যি আর পাকিস্তানের নয় তবু তারা নিজেদেরকে এখনো পাকিস্তানের নাগরিক মনে করে আনন্দ পায়। আমাদের পতাকা পোড়ায়, মুক্তিযুদ্ধের সৃতিসৌধগুলো ভাংতে থাকে তাদের একজন মেশিনম্যান সাঈদির মুক্তির জন্য।
এইপর্বে জামাতিরা দুর্বৃত্ত হিসেবে জনমনে আবারও প্রতিষ্ঠিত হয় --রাজাকারদের যে অত্যাচার এই প্রজন্ম দেখেনি তারই লাইভ চলচিত্র দেখে তারা।
ফলে নাম ভাঁড়িয়ে জামাত তার পকেট থেকে একের পর এক দল বের করতে থাকে। বোতল বদলে দিলেও ভিতরের পানীয় আমরা ঠিকই চিনি আর জানি সব শেয়ালের রা যে এক।
বাঙ্গালীরে ভোদাই পেয়েছে যেনো! হাসি পায়। আমরা এই সব হেফাজতে ইসলামীর বড় ছাগল, ছোট ছানাদেরও খুব ভাল করে চিনি। আল্লাহর ধর্ম হেফাজতের দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন এই মোনাফেকের দল ভুলে গেছে সুরা আল ফীল এ বর্ণিত ইতিহাসের কথা।
ভুলে গেছে আব্রাহার ৬০ হাজার সৈন্য আর হাজার তিনেক হস্তিবাহিনীকে আবাবিল পাখী দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। হাহাহা। হেফাজতে রাজাকারেরা কত বড় মোনাফেক দেখুন! সারা দুনিয়া বেছে বেছে আল্লাহ যেনো তাদেরকেই ইসলাম রক্ষার ঠিকাদারী দিয়েছেন ।
কাল বিবিসি তে দেখলাম হেফাজতে ইসলাম এর একজন নেতা সাক্ষাৎকারে বলছেন--"বোলোগারদের" বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন কারণ তারা সব নাস্তিক। সব ব্লগার কি নাস্তিক? আর যদি নাস্তিক হয়ও--পবিত্র কোরানের কোথায় আছে সব নাস্তিক মেরে দুনিয়া সাফা করে ফেলতে হবে? নাস্তিক মারলেই কি শহীদ হওয়া যায়? কোন কিতাবে এই কথা লেখা আছে? এখন তো মনে হচ্ছে শান্তির ধর্মের এই বিকৃতির জন্য এদের বিরুদ্ধেই ওলামা মাশায়েখদের মাঠে নামা উচিত।
এদের হাত থেকেই ধর্ম্ম বাঁচানো জরুরী। সে এটাও স্বীকার করেছে যে সে নিজের চোখে এসব ব্লগ দেখেনি, পড়েও নি অথচ শহীদ হবার জন্য ৩১৩ জনের স্কোয়াড ঘোষনা করেছে। বুঝে দেখুন তারা কজন যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচাতে কত শত তরুণের মগজ ধোলাই করেছে যারা বুঝে না বুঝে "শহীদ" হবার জন্য মরিয়া। আরে বেয়াক্কল--শহীদ হওয়া এতো সোজা নয়
যাহোক! হেফাজতে ইসলাম এর চরিত্র ক্রমশঃ উন্মোচিত হতে শুরু করেছে, আমরা এখন অনেকটাই দেখতে পাচ্ছি এদের পিছনের খেলোয়ারদের, সামনে আপনারাও আরো দেখবেন। সত্যের জয় চিরদিন হয়েছে, ওরা একাত্তরে দেখেছে---ওদের শিক্ষা হয়নি।
আমরা এবার শেষ শিক্ষাটি দিতে তাই দিয়ে দেব।
এই দেশ আফগানী তালেবানের নয়, পাকিস্তানের নয়। এই দেশ আমাদের আপামর বাঙ্গালীর। জয় বাংলা !! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।