কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়
আমাদের দেশের বর্তমান রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি দেখে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। গ্রামের এক বৃদ্ধ দাদা তার তিন নাতিকে নিয়ে এক বাড়ীতে দাওয়াত খেতে যাবার আগে নাতিদের উদ্দেশ্যে উপদেশ দিলেন, তোমরা ওখানে গিয়ে কোন রকম দুষ্টুমি করবে না। আমি যা যা করি, যেখানে বসি যেভাবে বসি ঠিক সেভাবেই সব কিছু করবে। মনে রাখবে কোন রকম বেয়াদবি করবে না। নাতিরা দাদার কথায় সায় দিয়ে তার সাথে উক্ত বাড়িতে গেল।
দাদাকে বসতে দেয়া হলো। পাশাপাশি নাতিরাও বসল। এক নাতি লক্ষ্য করল দাদার লু্ঙ্গি অসর্তকতাবশতঃ উপরে উঠে গিয়ে দাদার অন্ডকোষ বেড়িয়ে পড়েছে। নাতি মনে করল এভাবেই হয়তো বসতে হবে। কোন সমস্যা নেই।
সঙ্গে সঙ্গে সে দাদার মতোই কাপড় তুলে বসল। তাকে দেখে অন্য দু'জনও একই রকম করে বসল। এর মধ্যে আমন্ত্রণকারী বাড়ির মালিক এসে দেখেন অবস্থা তো বেগতিক! তিনি হাসবেন না কাদবেন বুঝে উঠার আগেই দাদা বসা থেকে উঠে গিয়ে বাড়ীর কর্তার সাথে কুশল বিনিময় ও করমর্দন করল। এ যাত্রায় রক্ষা পেল তাদের মান সম্ভ্রম।
আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের অবস্থা হয়েছে উক্ত দাদা নাতিদের মতোই।
প্রতিদিন দুর্নীতির দায়ে আকটকৃত আসামী (রাজনীতিবিদ) ছাড়া পাচ্ছে তাতে কোন সমস্যা নেই। সমস্যা হলো যখন তারকে মুক্তি পেল। যথাযথ আইনগত ভাবে সে মুক্তি পেল। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নন আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী। তিনি ঠিক নেত্রীর মতো স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলে বসলেন, দেশে কোন আইন নেই, আদালত নেই, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দুর্নীতিবাজ যদি ছাড়া পেয়ে যায় তবে অন্যদের আটক রেখে লাভ কি? সুন্দর কথা।
এর মধ্যে তো মেযর মহিউদ্দিন, কামরান এরাও ছাড়া পেয়েছে, ছাড়া পেয়েছে নাসিম (যে একাধারে স্বরাষ্ট্র ও ডাক ও টেলি. মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী) তার কোন দুর্নীতি ছিল না। আওয়ামীলীগ হলে দুর্নীতিবাজ হয় না। দুর্নীতি বাজ হয় অন্য কোন দল করলে।
অবাক হওয়ার ব্যাপার হলো কেন্দ্রীয় নেতারা যখন লুঙ্গি তুলে অন্ডকোষ দেখায় তখন যে কোন দর্শক মাত্র লজ্জা পান। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও একই সুরে জিগির তোলে।
লুঙ্গি তুলে দেখানোতে তারা লজ্জা পাওয়া তো দুরের কথা আরও বেহায়া হয়ে যায় তাদের বক্তব্যে। দেশ নাকি অকার্যকর হয়ে যাচ্ছে। সেই একই বুলি। উক্ত নেতারা দেশকে অকার্যকর দেখতেই ভালবাসে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।