আমি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রাক্তন এক জন ছাত্রী। ২০০৪ সালে এই কলেজ থেকে পাশ করি। সেই সময় অধ্যক্ষা হামিদা আলীকে যাতে আমাদের স্কুল থেকে বরখাস্ত না করে সেই জন্য আমরা অনেক আন্দোলন করেছিলাম। তার পরও আমরা হামিদা আলী আপাকে আমাদের স্কুলে রাখতে পারি নাই। এখন আমাদের এক ছোট বোন -এর জন্য আমরা আন্দোলন করছি।
তার উপর অত্যাচার হওয়ায় আমরা মর্মাহত। আমাদের ভিকারুননিসার সুনাম দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হামিদা আলী আপার পর কেউ -ই শক্ত হাতে প্রশাসন-এর কাজ সামলাতে পারছে না।
বর্তমান অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম স্কুলটির সুনাম ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কিছু বিতর্কিত লোককে স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পরিমল জয়ধর। হোসনে আরা বেগম যখন প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান, তার প্রথম স্কুল বিরোধী কর্মকান্ডটি ছিল স্কুলের নাম পরিবর্তন ও স্কুলের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করা। তার এই চেষ্টাটি ব্যর্থ হয়ে যায় প্রবল আন্দোলন এর মুখে। আমরা চাই না কোন বাহিরের মানুষ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ হয়ে বসুক। হোসনে আরা অবিলম্বে পদত্যাগ করবে এটা এখন সকলের দাবী।
বর্বর পরিমল জয়ধর-এর উচিত শাস্তি হবে-এটা এখন সকলেরই প্রত্যাশা।
শিক্ষক দ্বারা লান্ছিত হওয়া-এটা শুধুমাত্র ভিএনসি-এর ব্যাপার না। এটা একটা গুরুতর সমস্যা। পরিমলের উল্ল্যেখযোগ্য শাস্তি হওয়া দরকার যাতে নতুন করে কোন পরিমল তৈরী না হয়। তাই এখন আমাদের একটাই দাবীঃ
পরিমল-এর শাস্তি আর হোসনে আরা বেগম এর পদত্যাগ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।