অপ্রয়োজনে অনেক কথা বলে যাই, কিন্তু বলা হয়না আরো অনেক বেশী কথা- অনেক আপন মানুষদেরকে। তাইতো, এই খোলা চিঠি। হয়তো কারোর চোখে পরবে কোনদিন, যখন আমি থাকবোনা..... বিগত কয়েক সরকারের আমল ,আমি দেখেছি। শুনেছি সব কিছু।
বিগত দুই বিএনপির সময়ই - সংবাদপত্রে কেবল হিন্দুর দোকানে লুটপাট (চাদপুরের একটি বাজার পুরিয়ে দেয়া নিয়ে আলোচিত হয়েছিল )।
হিন্দু বিধবার জমিদখল (সাতক্ষিরার এক এমপির সম্পর্কে অনেক লেখালেখি হয়েছিল)। হিন্দু বেশ কটি মেয়ে লান্চ্ছিত। অভিযোগ ছিল - সংখ্যা লঘুরা বন্চিত হচ্ছিল চাকুরি পাওয়া থেকে। অপর পক্ষে- শিবিরের হামলা-দৌড়াত্ব (সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল)। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা (শিবিরের ক্যাডার দ্বারা) -গোড়া মুসলমানদের অত্যাচারের কাহিনীর রমরমা অবস্থ্যা।
গত বারের আওয়ামী লীগের সময়ে- সব চাকুরিতে সংখ্যা লঘু নিয়োগের আধিক্য । হিন্দু সমাজের দাপট। হিন্দুরা সব ভারতে পাচার করে দিল আরো কত কি।
সব আমলেই কেবল "সাম্প্রদায়িকতা" - "সংখ্যা লঘু" কে কেন দায়ী করা হয়।
বিএনপির সময় হলে - শিবির আর আওয়ামী লীগের সময়ে - হিন্দু! সমস্যাটা সাম্প্রদায়িক না-পুরুষদের- নারীদের! মানুষদের! হিন্দুরও না- হুজুদেরওনা!
ধর্ষন কেবল হিন্দু শিক্ষক করেনি।
করেছে একজন মানুষ। একজন বাংলাদেশী। সারা বছর যে হাজার হাজার মেয়ে - পারিবারিক অত্যাচারে মারা যায়? এটাতো কোন দলের না- সাম্প্রদায়িক না । সমস্যাটাকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ঠেলে দিয়ে - সংখ্যা লঘু অনেক অসাধারন মানুষকে অপমান করা ঠিকনা। যেমন ঠিকনা শিবিরের কর্মকান্ডের দায় সব মুসলমানদের।
সংখ্যা লঘু - সাম্প্রদায়িকতাকে দায়ী না করে - মানুষ হিসেবে আমরা- "বাংলাদেশীরা " কতটা ছোট মনের- কতটা নিন্ম শ্রেনীর তাই চিন্হত করি। তাতে অন্তত এই অধঃপতন থেকে রক্ষা পাবে দেশটা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।