আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
১৯৪৬ কলকাতা। নুরুল হক বৃটিশ সরকারের খাদ্য বিভাগে চাকরি করেন। দেশ বলতে তার কাছে সমগ্র ভারত বর্ষ।
১৯৬৭ ঢাকা। আমার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
দেশ বলতে তার কাছে পূর্ব-পশ্চিম মিলিয়ে পাকিস্তান।
২০০৭ ঢাকা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। দেশ বলতে আমার কাছে এই বাংলাদেশ।
২০২৭ সাল ।
আমি কোথায়? আমার পরিবার কোথায়? আমাদের কাছে দেশ কতটুকু?
সব কিছু কেমন যেন ঘোলাটে। কেন যেন মনে হয় সব কিছু আবার ভাঙবে, আবার গড়বে। ৫০/৬০ বছর একটা অঞ্চলের ইতিহাসে কিছুই না। চারিদিকে কোথাও স্থায়ী কিছুর আভাস পাচ্ছি না। আজকে পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা হল।
কয়েকদিন আগেই ভারতে হয়েছে। বাংলাদেশে হিজবুত তাহরী ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। বাংলাদেশে যে শাসক বর্তমান, তারা নিজেদেরই শাসনের যোগ্য ভাবছে না।
যারা আসবার অপেক্ষায় তারা কি আগের মত আসতে পারবে?
নাকি শর্তের বোঝা কাঁধে নিয়ে আসবে?
সেই শর্ত আমাদের জন্য কি ভবিষ্যত নিয়ে আসবে?
আমরা কি দেশের কথা চিন্তা করে নিজেদের গড়ব?
জ্ঞানিগুনি যাকেই জিজ্ঞাসা করি সেই বলে আগে নিজেকে গড়। বড় বড় ডিগ্রি নাও।
তারপর অনেক কিছুই করতে পারবে, দেশের জন্য। কিন্তু…..
তখন এই দেশই পাব তো?
নাকি অন্য কোন মানচিত্র?
যদি দেশটাই না থাকে তখন কি পরিচয় থাকবে আমার?
নাকি শুধু পৃথিবীতে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারলেই সন্তুষ্ট হব?
যদি তাই হয়, তবে কেন এই লেখা-পড়া, বড় হবার রেসে দৌড়ানো?
তিন বেলা পেটে খাবার দিতে তো এত কিছু লাগে না। গতর খেটেইতো তিন বেলা খাবার জোটাতে পারতাম। এত স্বপ্ন, এত আশা, এত কিসের জন্য?
কোথাও কোন সমস্যা আছে, যা ধরতে পারছি না। অস্থির লাগছে।
এই রাতে কেউ নাই যে এইসব বলে বিরক্ত করব। তাই ব্লগারদের বিরক্ত করলাম। যদি কিছু বলার থাকে বলতে পারেন নইলে চুপচাপ মাইনাস দিয়ে চলে যান………………
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।