লিখলাম
পৃথিবীতে প্রতিবছর মুরগীর পালক থেকে প্রায় বিলিওন পাউণ্ড বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞানীরা বর্ণনা করেছেন কেমন করে বর্জ্য স্তূপ থেকে পালক সংগ্রহ করে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক ধরণের প্লাস্টিক তৈরি করা সম্ভব। এধরণের প্লাস্টিকের নাম থার্মোপ্লাস্টিক যা পানিতে দৃঢ় থাকবে এবং এর যান্ত্রিক বৈশিষ্টও থাকবে অটুট।
প্লাস্টিকের অন্যতম প্রধান গ্রুপ থার্মোপ্লাস্টিক,যার মধ্যে নাইলন,পলিথিন,পলিস্টাইরিন,পলিভি
নাইল ক্লোরাইড ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। টুথব্রাশ,বোতল,গাড়ীর বাম্পার থেকে শুরু করে হাজার প্রকার নিত্য ব্যবহার ও শিল্পজাত পণ্য তৈরিতে প্লাস্টিক ব্যবহৃত হচ্ছে।
তাপ দিয়ে তরল থেকে চূরান্ত অবস্থায় এনে শক্ত করা এবং পরে আবার গলিয়ে পনর্গঠন করা যায় বলে এর নাম থার্মোপ্লাস্টিক। পালক থেকে গঠিত অনেক থার্মোপ্লাস্টিক ভেজা অবস্থায় কাজ করতে পারে না,এবং এরা একবার গঠিত হলে আর গলানো যায় না।
উভয় প্লাস্টিকই তেল অথবা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত উপাদান থেকে প্রস্তুত। পেট্রোলিয়ামের সরবরাহ,দাম ও অনুমোদনযোগ্যতার জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক দলই চেষ্টা করছে বিকল্প উপাদান দিয়ে কাজ করতে। কৃষিজ বর্জ্য এবং এরূপ পুনঃনবায়নযোগ্য সম্পদ ব্যবহার করে বায়োপ্লাস্টিক তৈরি করে অধিক অনুমোদনযোগ্য ও প্রকৃতি নির্ভর সমাজ গঠন করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
এক্ষেত্রে মুরগীর পালক এক উৎকৃষ্ট প্রত্যাশা,কারণ তা প্রচুর ও বিনা খরচে পাওয়া যায়। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর মুরগীর পালক থেকে ৩ বিলিওনের পাউণ্ডেরও বেশি বর্জ্য পাওয়া যায়। এই পালকগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে নিম্নস্তরের প্রানীর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে এসব প্রানীদের নানাবিধ অসুখ হয়,এবং প্রচুর পালক অব্যবহৃত থেকে যায়।
মুরগীর পালক প্রধানত কেরাটিন নামক দৃঢ় প্রোটিন থেকে তৈরি হয়,যা চুল,শিং,খুর ও পশমে পাওয়া যায়;প্লাস্টিকে দৃঢ়তা ও স্থায়িত্ব দানে এটি বিশেষ গুরুত্বপুর্ণ।
থার্মোপ্লাস্টিককে পানি-রোধী করার জন্য মুরগীর পালককে রাসায়নিক দ্রব্য,যেমন মিথাইল এ্যাক্রিলেট দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
মিথাইল এ্যাক্রিলেট একটি বর্ণহীন তরল যা নেইল পলিশে পাওয়া যায়। পলিমারকরন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অণুগুলো একটির সাথে অপরটি যুক্ত হয় এবং বৃহৎ চেইন গঠন করে প্লাস্টিক তৈরি করে।
তথ্যসূত্রঃ টেকনোলজি টুডে ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।