নাজমুল ইসলাম মকবুল
গোপালগঞ্জের গোপাল পরিমলের অপবিত্রতায় কলুষিত শিক্ষাঙ্গন জাতির জন্য কলঙ্ক তিলক
নাজমুল ইসলাম মকবুল
আমাদের দেশে লাইন ছাড়া নাকি কোন কিছু হয়না। এই লাইন হলো উপর মহলের সাথে লাইন। যার লাইন যতো কিয়ার তার উদ্দেশ্যও ততো দ্রুত হাসিল হতে শুনা যায়। এই লাইন করতে হলে ঠিক জায়গামতো মাল ছাড়তে হয়। উপরমহলে মামা খালু বড়ভাই থাকলে মালের পরিমাণ হয়তো কম লাগে।
কেহ কেহ মামা খালু বড়ভাইকে ব্যবহার করে নিজেও কাড়ি কাড়ি মাল কামাতে শুনা যায়। গত ক’দিন পুর্বে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ভিকারুননিসা নুন স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। যাতে উক্ত স্কুলের সভাপতি ও শিা মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তুখোড় বাম তথা কমিউনিস্ট নেতা মেননেরও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে আসে। আর এই নিয়োগ বাণিজ্যেরই ফসল লম্পট শিক পরিমল জয়ধর বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। মালের গন্ধে বিভোর হয়ে অযোগ্য অদ লম্পট লুটেরা নিম্নরুচির শিক শিকিা নিয়োগ দিতে নিয়োগকর্তাদের বিবেক একটুও নাড়া না দেওয়াটাই স্বাভাবিক।
যারাই মতায় আসে তারাই রাতারাতি মাল কামানোর ধান্দায় বিভিন্ন ফন্দি ফিকির দ্রুত শুরু করে দেয়। তাদের চামচারাও কাড়ি কাড়ি মাল কামিয়ে একটি অংশ বড়কর্তাকে দেয়, এটা দেশের আম পাবলিক সকলেই জানেন। সেজন্য আমাদের দেশ সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকেই যাচ্ছে। এই তলা সিলাই করার প্রয়োজনীয়তা কেহ অনুভব করেন বলে মনে হয়না।
ভিকারুননিসা নুন স্কুল বসুন্ধরা শাখার (দিবা) দশম শ্রেণীর এক হতভাগিনী ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দায়ে নিয়োগ বাণিজ্যেরই ফসল লম্পট শিক পরিমল জয়ধরকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং তার সহযোগী লম্পট শিক বরুণচন্দ্র বর্মণ ও আবুল কালাম আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে বসুন্ধরা শাখার ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক লুৎফুর রহমানকে পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্কুলের সিদ্ধেশ্বরী মূল শাখায় অনুষ্ঠিত গভর্নিংবডির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে বাড্ডা থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার প্রেেিত গত ৬ জুলাই লম্পট শিক পরিমল জয়ধরকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে।
বিভিন্ন পত্র পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিত ছাত্রী গত কয়দিন যাবত বসুন্ধরা শাখার ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক লুৎফুর রহমান এর নিকট বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হোসনে আরা বেগমের নিকটও বিচার চায়।
এর কয়দিন পুর্বে গত ফেব্র“য়ারী মাসে বসুন্ধরা শাখার শিকিারা প্রিন্সিপাল হোসনে আরা বেগমের নিকট এসব শিকের আচরন নিয়ে অভিযোগ করেন। এতে প্রিন্সিপাল শিকিাদের উপর প্তি হন। পরে এসব লম্পট শিকদের বিরুদ্ধে ছাত্রী ও শিকিাদের সঙ্গে অনৈতিক আচরন বাড়তে থাকে। কিন্তু প্রিন্সিপাল সুবিচার না করে উল্টো লম্পটদের মদদ দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। যৌন নিপীড়নের শিকার ছাত্রী প্রিন্সিপাল বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি বলেন মেয়েটি ভালো নয়, পরিমল ভালো।
কিন্তু শিকিারা জানান, প্রিন্সিপালই ভালো নয়। কোন তদন্ত না করে পাশবিক নির্যাতনের শিকার নিজ ছাত্রীকে তিনি কিভাবে খারাপ বলেন। কিন্তু যে নরপশু অমানুষিক কায়দায় নিজ কিশোরী ছাত্রীকে নির্যাতন করলো সেই পশুকে কিভাবে ফেরেশতার সার্টিফিকেট দেন।
আসল কথা হলো থলের বিড়াল এখন বেরিয়ে আসা শুরু হয়েছে। নিয়োগ বাণিজ্যের পুরো মাল একজনে ভন করা সম্ভব নয় তাই তারা ভাগ বাটোয়ারা করেই নেয়াটা স্বাভাবিক।
আর এই মাল খেয়ে টাল হয়ে প্রিন্সিপাল বেচারী মহিলা হয়েও আপন ছাত্রীর পাশবিক নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা শুনেও বিবেকে একটুও নাড়া দেয় নাই। বিবেক বিক্রি হয়ে যায় মালের কাছে। এছাড়া লম্পট পরিমলের বাড়ী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় হওয়ায় নাকি তার খুটির জোর বড়ই মজবুত। বিশেষ জেলার অধিবাসী হওয়ার কারনে নিজ ছাত্রীদের পাশবিক নির্যাতন করার শক্তি ও সাহস নাকি সে পেয়েছে। শুধু একটি মেয়ে নয় আরও ছাত্রী ও শিকিাদের নাকি ওই পাষন্ড বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেছে যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে।
যখন মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতন শুরু করে দেয় এবং ছাত্রীদের দেয়ালে পিট ঠেকে যায় তখনই ছাত্রীরা ও তাদের অভিভাবকরা তুমুল আন্দোলন শুরু করলেন, বিােভ মিছিল শুরু করলেন, শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধানকে অবরুদ্ধ করলেন, প্রিন্সিপাল হোসনে আরা বেগমের অপসারন দাবী করলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এগিয়ে আসলো, তখনই চাপে পড়ে কর্তৃপরে টনক নড়লো এবং ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হলো।
পত্র পত্রিকায় ছাঁপা হওয়া নির্যাতিতা ছাত্রীর কর্র্তৃপ বরাবরে বিচার চেয়ে করা লিখিত আবেদনপত্র পড়লে অশ্র“ সংবরণ করা সম্ভব হয়না। কিন্তু ওই ডাইনী মহিলা প্রিন্সিপালের মনে এতটুকু দাগ কাটতে পারেনি সেই আবেদনপত্র। এদেরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কতো টাকার বিনিময়ে লম্পটদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, প্রাইভেট পড়ানোর টাকার অংশ কারা করা ভন করে তা বের করা অসম্ভবের কিছু নয়। অপরাধীরাও কতো টাকা ঘুষ বা সম্মানী দিয়ে চাকরিতে ঢুকেছে তাও বের করা অসাধ্য নয়।
বিচার প্রার্থী ছাত্রী ও শিকিাদের এরা কেন হুমকী দিলো তাও বের করা অসাধ্য নয়। কিন্তু থলের বিড়াল বেরিয়ে যাওয়ার ভয়ে যদি আসল রহস্য উদঘাটন করা না হয় তাহলে পবিত্র শিাঙ্গণগুলো এমন দুঃখজনকভাবে অপবিত্র হলে এর দায়ভার নেবে কে?
সময় এসেছে এসব লম্পটদের খুটির জোর কোথায় তা বের করতে হবে। সময় এসেছে মোটা অংকের ঘুষের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে টপ টু বটম পর্যন্ত অযোগ্য অদ লোকদের চাকরি দিয়ে ভকদের রক কারা বানায় তা ভেবে দেখার। সময় এসেছে বালিকা স্কুল ও মহিলা কলেজসমুহে শতভাগ শিকিা নিয়োগ না দিয়ে নিজের পকেট ভারি করে লম্পট শিকদের নিয়োগ দিয়ে কোমলমতি কিশোরিদের জীবন নিয়ে আর কতোকাল খেলা করা হবে তা ভেবে দেখার । দেশের উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ মাদরাসা যেগুলোতে ছেলেরা লেখাপড়া করে সেগুলোতে ত্রিশভাগ মহিলা শিকিা নিয়েগের বাধ্যবাধকতা আজ প্রশ্লের সম্মুখীন এবং হাস্যকর।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় এসব শিকিারা নিগৃহীত হন যা কোনটা পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয় আবার বেশির ভাগ ঘটনাই মান ইজ্জতের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ না করে নীরবে তা হজম করেন। কোথাও কোথাও আত্মহত্যার ঘটনাও শুনা যায়। উচ্চ বিদ্যালয় কলেজ মাদরাসা যেগুলোতে পুরুষরা পড়ে সেখানে মহিলা কোটাপ্রথা বাদ দিয়ে মহিলা শিকিাদেরকে মহিলা কলেজ, বালিকা স্কুলে, মহিলা মাদরাসায় শতভাগ নিয়োগ দিলে এই সমস্যাটা দেখা দিতো না বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।