আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণসংযোগে ব্যস্ত গোপালগঞ্জের তিন আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা

দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার তিনটি আসনে জোট-মহাজোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ দখলের লড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন। কদর বেড়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের। পাশাপাশি ডিজিটাল ব্যানার, পোস্টার ও বিলবোর্ড টাঙিয়ে প্রার্থিতার জানান দিচ্ছেন অনেকে। নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ ও সভা সমাবেশ করছেন।

বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন অনেকে। ঢাকা থেকে বিভিন্ন বিয়ে-শাদী সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য গোপালগঞ্জে আসছেন। প্রত্যেক আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করায় স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিতে এ সমস্যা নেই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায় থেকে তিনটি আসনেই প্রার্থী নির্বাচন চূড়ান্ত করেছে।

গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসনের তিনটি নির্বাচনী আসন। আসনগুলো বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। দেশের অন্যান্য আসনের তুলনায় রাজনৈতিক কারণে গোপালগঞ্জের আসনগুলো একটু ব্যতিক্রম। কারণ গোপালগঞ্জ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান। এলাকার মানুষ মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে।

সে কারণে মানুষ প্রার্থীর বিচার না করে বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় অভ্যস্ত। ভোটার এবার প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টিও বিবেচনা করবেন বলে আলোচনা করছেন।

গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে শেখ হাসিনাকে আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো প্রার্থী নেই।

অন্যান্য দলের এখানে কোনো শক্ত প্রার্থী নেই। বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম জিলানী, বিএনপির সাবেক এমপি লক্ষীকান্ত বলের ছেলে অ্যাডভোকেট চিত্ত বল ও টুঙ্গিপাড়ার মাস্টার আফজাল হোসেন প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ-১ (কাশিয়ানি-মুকসুদপুর) : আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মহব্বতজান চৌধুরী, কাশিয়ানি উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর, জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম, বিএনপির সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএইচ খান মঞ্জু, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন, স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার আলী আজম এলকায় প্রচার গণসংযোগ করছেন।

গোপালগঞ্জ-২ (গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানি) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী হবেন আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান এমপি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি ৩২ বছর ধরে সংসদে এলাকার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক বর্তমান সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম লিয়াকত আলী, জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএইচ খান মঞ্জু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান পিনু। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষক পার্টির সভাপতি আলহাজ সাঈদুর রহমান টেপা গণসংযোগ ও সভা-সমাবেশ করছেন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।