আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রী জাবি কুত্তালীগ ও আপনার গোপালগঞ্জের ভিসির রক্তের খেলা বন্ধ করুন।

জাবিতে যে অনিয়ম ভিসি চালাচ্ছে তা আজকের নিউজটি দেখলে বুঝতে পারবেন। নিউজটি কাল সংবাদ পত্রিকায় আসবে. নিউজটি হচ্ছে... জাবি উপাচার্যের মুক্তির মাত্র একদিন :ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ৭ সাংস্কৃতিক কর্মী :পুড়িয়ে ফেলা প্রতিবাদী মঞ্চ পুন: স্থাপন :শিক্ষদের মুখোমুখি অবস্থান :;সাংস্কৃতিক কর্মী ও ছাত্রলীগের মুখোমুখি অবস্থান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের মুক্তির মাত্র একদিন পরেই তার অনুগত ছাত্রলীগ কর্তৃক গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ সাংস্কৃতিক কর্মী। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ও সাধারণ শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক সমাজ কর্তৃক দীর্ঘ ৩৬ ঘন্টা অবরুদ্ধ হতে মুক্ত হওয়ার মাত্র একদিন পরই এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকাল ৪ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের কর্মীরা টিএসসির কক্ষে নিয়মিত নাট্য চর্চা করতে আসলে অডিটোরিয়ামের সামনে তাদের উপর হামলা চালায় উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম হল শরীফ,সাািকল, স¤্রাট, মিঠুন,লিটন, পিয়াস, স্বাধীন, মাসুদ,সকাল,জনি সহ অর্ধ শতাধিক ক্যাডার।

হামলার সময় ক্যাম্পাসের বাহিরের ক্যাডাররাও ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। আহতরা হলেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি কলি মাহমুদ, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ও খ্যাতমান তরুণ কবি মঈন মুনতাসির কার্তিক, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও ধ্বনির সভাপতি শাকিলা শারমিন, নাট্যকর্মী সুদিপ, রাহাত, অর্ন,সুসান। এদের মধ্যে শাকিলা শারমিন ছাড়া বাকী সবাইকি সাভার এনাম মেডিকেলে জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে কলি মাহমুদ ও মুঈন মুনতাসির কার্তিক অবস্থ্ াআশঙ্কা জনক। এদিকে সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পরলে ঘোটা ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কান্নার রোল পরে যায়।

হামলার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী নির্মম হামলার দৃশ্য দেখে ঘনস্থলেই জ্ঞানশূন্য হয়ে পরে ৪ ছাত্রী। পরে এদেরকে টিএসসির ধ্বনি’র কক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা হয়। হামলার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পরার মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে ছাত্র ইনিয়ন সহ সহ¯্রাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এবং ‘জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট’র ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা হামলাকারীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবী করেন। এদিকে বিক্ষোভ চলা কালে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শোডাউন দিতে থাকে উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগ।

কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে ঘোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে। এদিকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা প্রায় ৩শতাধিক পুলিশ থাকলেও তারা ছিল সম্পূর্ণ নিরভ। তাদের ভূমিকা স্পষ্ট ভাবে উপাচার্যপন্থি শিক্ষক ও ছাত্রলীগের পক্ষে। এ অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে আশুলিয়া থানার ওসি বদরুল আলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমাদেরকে উপাচার্যের বাসভবনের আসপাশে থাকার কথা পুরো ক্যাম্পাসে আমাদের অবস্থান করার কথা নয়। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থানের ঠিক কয়েক মিটার দূরে অবস্থান করে উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।

এ সময় তারা যে ভাবে হোক উপাচার্য বিরোধী শিক্ষক শিক্ষকদের হটাবে বলে বারবার মাইকে ঘোষণা দিতে থাকে। ক্যাম্পাসের এ অবস্থার জন্য তারা বিএনপি-জামাতকে দায়ী করে। তারা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাঁধাগ্রস্থ করার পায়তারা বলে উল্লেখ করে। তবে অবস্থানরত অনেক ছাত্রলীগকর্মী ক্যাম্পাসের বাইর থেকে বাড়া করে আনা বলে ‘সংবাদ’কে জানায় একাধিক শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মিছিলে জোর করে আনা একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী। তাদের বক্তব্য আমদেরকে বিভিন্ন হুমকির মাধ্যম মিছিলে আনা হয়েছে।

সকাল থেকে ক্যাম্পাসে যা ঘটল ‘গতকাল দুপুর ১২টায় জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট’ শুক্রবারে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরী সিন্ডিকেট বৈঠক ও সিন্ডিকেটে গৃহিত সিদ্ধান্তকে বাতিল ঘোষণা এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবীতে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত গুলো হল ১জুনের গ্রিষ্মকালীন বন্ধ আগামী ৫মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এবং ক্যাম্পাসের কোন ভবনের সামনে অবরোধ সমাবেশ করা যাবেনা। এদিকে সমাবেশ চলা কালে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যপন্থি শিক্ষদের উপাচার্যের দাড়োয়ান বলে অভহিত করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করা শতাধিক শিক্ষক স্থান ত্যাগ করে শুক্রবার থেকে অবস্থানরত উপাচার্যের পিছন ফটকে অবস্থান করে। সমাবেশ চলা কালে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষার্থীরা জামাত –শিবিরের আন্দোলন বলে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা কারণে দৈনিক যুগান্তরের একটি কপি পুড়িয়ে ফেলে এবং ঐ ক্যাম্পাস প্রতিনিধির বিচারের পাশাপাশি ক্যাম্পাসে যুগান্তরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এদিকে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চলে গেলে গত শুক্রবার উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগ কর্তৃক পুড়িয়ে ফেলা উপাচার্য প্রত্যাখ্যান মঞ্চটি নতুন করে স্থাপন করে।

তবে এ বার এ মঞ্চের নাম দেওয়া হয় ‘উপাচার্য বিতারণ মঞ্চ’। মঞ্চ স্থাপন শেষে আন্দোলনরত শিক্ষকগণ পুনরায় গত বুধবার থেকে অবরোধ করে রাখা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এদিকে বিকাল ৪টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আন্দোলনরত শিক্ষক সমাজ। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। ঠিক এসময়ই হামলার এ সংবাদ আশে।

সংবাদ কর্মীদের আসার কথা জানতে পেরে হামলা কারীরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তবে ক্যামেরার সামনে সবাই ধরা পড়ে যায়। জামাত শিবিরের অভিযোগের তীব্র নিন্দা শিক্ষক সামজের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাসিম আক্তার হোসাইন বলেন আমার পুরো পরিবার সমাতান্ত্রিক ভাব ধারারা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ছাত্র ইউনিয়নের একজন অন্যতম কর্মী ছিলাম। বর্তমানে আমি তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জাবি শাখার আহ্বায়ক।

আন্দোলনের অন্যতম নেতা অধ্যাপক আতিকুর রহমান ছিলেন ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি। আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট নৃ বিজ্ঞানি অধ্যাপক মানস কুমার চৌধুরী ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জাকসুর সাহিত্য সম্পাদক। আন্দোলনের আরেক নেতা আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সমাজ সেবা সম্পাদক। এ ছাড়াও আন্দোলনের অন্যতম নেতা স্বাধীন সেন, অধ্যাপক নঈম সুলতান, রায়হান রাইন প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। এদিকে আন্দোলনের অগ্র ভাগে নেতৃত্বদান কারী সহযোগী অধ্যাপক নুহু আলম ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

এছাড়াও আন্দোলনের প্রথমে থাকা অধ্যাপক এম এ মতিন, অধ্যাপক সুভাস চন্দ্র দাস, অধ্যাক মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক স্বপন কুমার ধর আওয়ামিলীগের অন্যতম নেতা। এদিকে অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিম, অধ্যাপক এনামুল্যা পারভেজ, শরীফ উদ্দিন বিএনপির শিক্ষক। এছাড়া অধ্যাপক রশীদ হারুণ, সোমা মুমতাজ,গোলাম রাব্বানী, আনিছা পারভিন জলী প্রমুখ শিক্ষকগণ ছাত্র জীবন থেকেই ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে। উল্লেখ্য, এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) উপাচার্যের বাসভবনের প্রধাণ ফটকে আন্দোলনরত শিক্ষক সমাজ, পিছনের ফটকে উপাচার্যপন্থি শিক্ষকগণ, শিক্ষকদের দু’গ্রপের মাঝখানে ছাত্র ইউনিয়ন, সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীনগরের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও তাদের থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে উপাচার্যপন্থি ছাত্রলীগ অবস্থান করছে। তবে যে কোন সময় দূর্ঘটনা বাধার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে এদের মাঝখানে অবস্থানরত পুলিশদের অবধান খুবই হতাশা ব্যঞ্জক। এদিকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভিসিপন্থী ছাত্রলীগ লাইট বন্ধ করে ও পুলিশ সরিয়ে দিয়ে শিক্ষক সমাজ ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের উপর হামলা চালায়। এ সময় শিক্ষক সমাজের মানব প্রাচীরের কারনে বড়ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটলেও তাদের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন শিক্ষক সমাজের আহবায়ক নাসিম আখতার হোসাইন, প্রন্ততত্ত্ব অধ্যাপক সিমা হক এসময় ছবি তুলতে গেলে মাছরাঙ্গা টিভির সাভার প্রতিনিধি জিতুকে গাছউপড়িয়ে সেটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। অন্যদিকে রাত পোনে দশটায় বিকাল চারটায় সাংস্কৃতিক কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবিতে প্রক্টর সুকল্যাণ কুমার কুন্ড বরাবর সাংস্কৃৃতিক জোটের নেতার এক স্বারক লিপি পেশ করেন। ........./..  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.