পরিমল জয় ধর তাঁরই এক ছাত্রীকে বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি যা করেছেন, পরিকল্পিতভাবেই করেছেন। এমনকি সেই ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে অব্যাহতভাবে ব্ল্যাকমেইল করারও চেষ্টা করে গেছেন। একজন শিক্ষকই বটে! কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ছাত্রীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ছাত্রীদের এই অভিযোগের পর আরও ঘটনা। অভিযোগ ওঠে আরও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁরা ছাত্রীদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে অশালীন আচরণ করে গেছেন। ছাত্রীদের একটি স্কুলে এ ধরনের বিষয়ে নজরদারির যে প্রয়োজন রয়েছে, তা মনে হয় কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় ছিল না।
ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, আন্দোলন আর দাবির মুখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জন্য মোট সাতজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাত্রার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে এটা স্পষ্ট, এই সাতজন শিক্ষকই কোনো না কোনোভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কর্তৃপক্ষ সচেতন থাকলে ওই ছাত্রীটিকে হয়তো পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হতো না।
রাজধানীর একটি অভিজাত স্কুলে যৌন নিপীড়নের এ রকম প্রকোপ দেখে ভয় হয় যে, আমাদের সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো কি মেয়েদের জন্য অনিরাপদ হয়ে উঠছে? প্রায়শই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির খবর জনমনকে ভারাক্রান্ত করে। এসব বিবেচনা থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা ও অভিযোগ সেল গঠনের দাবিটি সর্বস্তরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
উচ্চ আদালতও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি কেন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, সে ব্যাপারে রুল জারি করেছিলেন। শিক্ষা ও কর্মস্থলে এ ধরনের নীতিমালা ও অভিযোগ সেল থাকাটাই স্বয়ং একটা রক্ষাকবচ। অভিযোগের নিরপেক্ষ জায়গা থাকলে শিক্ষার্থীরাও নির্ভয়ে অভিযোগ করতে পারবে। তাতে কোণঠাসা থাকবে নিপীড়কমনা পুরুষের অভিলাষ।
তা ছাড়া ,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদরের নামে ছাত্রছাত্রী দের গায়ে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সকল শিক্ষককে অনুরোধ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।