সেটা হল ২০০৭ সালে এস.আলম গ্রুপের এক বিশাল কার্গো নদীপথে মাল নিয়ে সেতুর তলদেশ দিয়ে পার হবার সময় কার্গো চালনা কারীর অসাবধানতা বশত সেতুর এক অংশ ভেঙ্গে যায়- তলিয়ে যায় কর্ণফুলীর এই শাখা নদীর গর্ভে- ঠিক সেই সময় থেকে যেন জন জীবন যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে দুপারের মানুষের।
নদী পাড়ে গড়ে ওঠা দালান- হটাত থেমে গেছে যেন সকল উন্নয়ন
দুই পাড়ের সংযোগ কারী এই ছোট্ট সেতুটি যেখানে ছিল দুই এলাকার প্রাণ- সেখানে দুই এলাকার মানুষ কে নদীর এপার থেকে ওপারে পাড় হতে হয় সাম্পান দিয়ে।
দখল বাজ এস.আলম গ্রুপের নদী দখলের নমুনা
২০০০ সালের ও পূর্বেএই সেতু উদ্ভোদন করার আগে এই এলাকার মানুষ যে রকম অনুন্নত জীবন যাপন করতো - এখন প্রায় সেই অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে জীবন মান। অসামান্য এই সেতুর কারনে চট্টগ্রাম শহরে অনেক কল কারখানা সহ ইপিজেড এলাকায় কাজ করতে যেত প্রতিদিন প্রায় ১০০০০ মানুষ। আজ সেখানে প্রতিদিন নদী পাড় হয়ে যেতে হয় ১৫০০০ এর ও অধিক মানুষ কে।
কিন্তু এই সেতু না থাকায় মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় নদী পারাপার কারী সাম্পানের জন্য। এখন প্রায় সময় সাম্পান না পেয়ে কিনবা অপর পার থাকে কোন যানবাহন না পেয়ে অনেক দূর ঘুরতি পথে ঘুরে আস্তে হয় মানুষজন কে। ফলে প্রতিদিনের যাতায়াত খরচ বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
এই সাম্পান ছাড়া এই নদী পারাপাড়ের কোন ঊপায় নেই
এই কোলাগাও এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বার দের কাছে অনেক তদবির করেও এই সেতুর জন্য কোন সুসংবাদ পায়নি এলাকা বাসি। উল্টো মিলেছে এস.আলম গ্রুপের চোখ রাঙ্গানি।
কেঊ কেউ মামলা করে পকেট ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কেউ কেউ জীবনের ভয়ে তুলে নিয়েছে মামলা। এস.আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি কোনো সদুত্তর।
তাই সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দের কাছে বিনীত নিবেদন- এলাকাবাসীর এই দুর্দিনে আপনাদের সদিচ্ছাই পারে এই এলাকার অনেক দিনের চাহিদা এই সেতুর পুনর্নির্মাণ করে এবং সর্বগ্রাসী এস.আলম গ্রুপকে এক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিয়ে এই রকম ভোগকারী ও দখলবাজ গ্রুপ দের ভিত নড়িয়ে দিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
বিনীত
কোলাগাঁও বাসীর পক্ষ থেকে
নষ্ট কবি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।