আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি বহাল রাখতে উদ্যোগী ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চলমান ভারত সফরেও জিএসপি নিয়ে আলোচনা গুরুত্ব পাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ আগামী ৩১ জুলাই শেষ হচ্ছে।
ভারতকে আর এ সুবিধা না দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনে আলোচনার মধ্যেই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে জিএসপির মেয়াদ নবায়নের আহ্বান জানান ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা।
অন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার মতৈক্য অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র জিএসপির আওতায় প্রায় পাঁচ হাজার পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা দেয়। আর এ সুবিধার আওতায় ২০১১ সালে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয় ভরত।


ওই বছর শুল্কমুক্ত সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৩৭০ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করে ভারত।
ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে শ্রমিক স্বার্থ, বিশেষ করে নারীদের কল্যাণে জিএসপি সুবিধা বহাল রাখা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন আনন্দ শর্মা।
গত অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানি ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানির পরিমাণ ৪ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ছয়শ’ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা দেশটির মোট রপ্তানির ১২ শতাংশ।
জিএসপি সুবিধা নবায়ন না হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় সব পণ্যে পুরোমাত্রায় আমদানি শুল্ক দিতে হবে।


কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের রপ্তানি বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারতীয় পণ্যের আমদানি খরচ বাড়লে তার দামও বেড়ে যাবে এবং তা হবে ব্যবসায়ীদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা।   
কারখানার কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত না করার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। এই সুবিধা ফিরে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশকে একটি রূপরেখাও দিয়েছে ওয়াশিংটন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.