আজ দৈনিক প্রথম আলোতে 'আদিবাসী প্রশ্নে সরকার দোদুল্যমান অবস্থায়' শীর্ষক সংবাদ ছাপা হয়েছে। সংবাদটিতে রয়েছে 'আদিবাসী' শব্দটি নিয়ে নানা আলোচনা । আমি অবশ্য উক্ত আলোচকদের সাথে কিঞ্চিত ভিন্ন মত পোষণ করি।
অধ্যাপক সেলিম আল দীন তারঁ একাধিক গবেষণায় এবং সৃজনশীল লেখায় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে লঘু নৃ- গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দেশে বসবাসরত বিভিন্ন নৃ- গোষ্ঠীর মধ্যে ,সংখ্যা বিবেচনায় এই বিভাজনের সাথে আমি, একমত।
বাঙ্গালীরা এদেশে গরিষ্ঠ নৃ- গোষ্ঠী কিন্তু বিদেশে লঘিষ্ঠ। আবার নিজ মাতৃভূমিতেও যেমন ভারতের আসামে বাঙ্গালীরা লঘিষ্ঠ নৃ-গোষ্ঠী।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করা যথাযথ না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বা নিউজিল্যান্ডে যে অর্থে রেড ইন্ডিয়ান বা মারইরা আদিবাসী এবং বর্তমান আমেরিকান বা নিউজিল্যান্ডবাসীরা অভিবাসী । বাংলাদেশে ব্যাপারটা তেমন নয়।
বাংলাদেশে বাঙ্গালীরা সুদীর্ঘ কাল ধরেই বসবাস করে আসছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে 'আদিবাসী' বললে বাঙ্গালীদের অভিবাসী জনগোষ্ঠী বলে মানতে হবে। বাস্তবে সত্য এটা নয়।
তবে লঘিষ্ঠ বা গরিষ্ঠ ভেদে নয় বাংলাদেশ সরকারের উচিত সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সাংবিধানিকভাবে সম অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা। সেইসাথে সরকারের উচিত সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠীকে উপজাতি বা আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ না করে লঘু নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করা।
এনজিও সৃষ্ট 'আদিবাসী' শব্দটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে প্রযোজ্য নয় বলে এবং উপজাতি শব্দটি নেতিবাচক বিধায় এ দুটো শব্দ সরকারীভাবে ব্যবহার পরিহার করা উচিত বলে আমি মনে করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।