প্রকৃতি সকল প্রাণীকেই দিয়েছে তার নিজের মত করে আত্মরক্ষার সুযোগ আর দিয়েছে নিজের খাবার যোগার করে নেয়ার উপযুক্ত যগ্যতা। একটি সিংহ বা চিতা যদি নিচেকে বনের মাঝে লুকাতে না পারতো তাহলে কি সে সহজে তার খাদ্য জোগার করতে পারতো? না, পারতো না। আবার একটা প্রজাপতি বা ব্যাঙ যদি নিজেকে ঠিক মত লুকাতে না পারে তাহলে সে সহজেই অন্যের খাদ্যে পরিণত হয়ে যাবে। তাই প্রকৃতি প্রায় প্রতিটি প্রাণীকেই দিয়েছে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়ে লুকিয়ে থাকার একটা আশ্চর্য ক্ষমতা। এটাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ছদ্মবেশ।
দেখুন প্রাণীগুলি কি করে নিজেদেরকে লুকিয়ে ফেলে পরিবেশের সাথে নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে।
১। সবুজ গিরিগিটি
গাছের পাতার সাথে মিশে আছে সবুজ একটি গিরিগিটি।
২। পেঁচা
গাছের শুকনো বাকলের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছে একটি পেঁচা
৩।
ব্যাঙ
ব্যাঙটি মিশে আছে তার পায়ের নিচের দাগগুলির সাথে।
৪। মথ
মথটি বালির সাথে নিজের পাখার রং আর নিজের গায়ের ফুটকুরির সাথে মিশে আছে।
৫। মাকড়সা
মাকড়সাটি ক্যামোফ্লেক্স হিসেবে ব্যাবহার করছে বালি।
৬। পোকা
সবুজ পোকাটি সবুজ পাতার সাথে মিলে গেছে।
৭। গিরিগিটি
গাছের ছালের আর গিরিগিটিটির গায়ের রং ও কারুকাজ ক্যামফ্লেক্স হিসেবে কাজ করছে।
৮।
মাকড়সা ২
এখানেও মাকড়সাটি বলির সাথে নিজেকে কি করে মিশিয়ে নিয়েছে দেখুন।
৯। ব্যাঙ ২
১০। চিতা
চিতাটির গায়ের কালো ফুটকুরি গুলি বনের শুকনো ডাল-পালা আর লতা-পাতার সাথে মিশে আছে।
১১।
প্রজাপতি
এটি প্রজাপতি নাকি শুকনো পাতা?
১২ । বিছা
গাছের পাতার সাথে এমন ভাবে বিছাটা মিশে আছে যে আলাদা করে তাকে দেখায় যায় না।
১৩। সিংহ
শুকনো নলখাগড়া জাতীয় ঘাস বনে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে সিংহটি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।