আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের ভেতরে কৃষ্ণবিবর

পারলে নিজেকে ইকারাকাস বানিয়ে ... কথাটা বহুবার শুনেছিঃ "এ বিংশ শতাব্দীতে শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর" মাঝে মাঝে নিজেই বোকা বনে যাই। প্রথমে ছাদ, পরে একফালি পৃথিবী। । এখন শূন্যে ছোড়া একটা ঢিল কেবল। অনেক বড় নক্ষত্র মরে গেলে কৃষ্ণগহ্বর হয়ে যায়, যেখান থেকে আলো পর্যন্ত ফিরে আসতে পারে না।

ভীষণ যন্ত্রণায় যখন ককিয়ে ওঠে ক্যানসার-ভোগী মানুষের আবদ্ধতা, অজ্ঞতা, নিরন্তর মুক্তিহীন মানুষ, এক-ই ভাবে আর্তনাদ করে ওঠে মানুষের ভেতরে বাস করা অন্য মানুষে। পুরনো পৃথিবী ঝলসে ওঠে কাতর সময়ে, আজও পুরনো পথে হেটে চলি নিত্য তাড়নায় একেবারে পাল্টে যাওয়া আলোছায়ার ল্যাম্পপোস্টের। নিরঞ্জনের মত চেঁচিয়ে ওঠে কে যেন- ''মানুষকে মুক্তি দাও, মানুষকে বাঁচতে দাও। '' আমি থমকে যাই আনমনে, অজান্তে, যেন আজন্ম আটকে থাকা কোন প্রায়াশ্চিত্তে। পুরনো বইয়ের দোকানে একটা ছেঁড়া মলাটে চে গুয়েভারার স্কেচ করা প্রতিচ্ছবি, ঘোলা চোখে ফেরীঘাট থেকে ফিরে আসি, বাজারের রাস্তা শেষে যখন উকিল পাড়ার রাস্তার দিকে হেটে চলি শুনতে পাই কে যেন পড়ছে সুকান্তের কবিতা- ''কত গ্রাম, কত পথ যায় সরে সরে, শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে।

'' কিন্তু ভোরে ফুলে ওঠা জোয়ারে ভেসে যায় বাড়ির আঙিনা, চমকে উঠি। দেখলাম- জীবন কত অনিশ্চিত হতে পারে। এখন মানুষের নিত্য ব্যস্ত ভিড়ে ফুটে ওঠে মানুষের চোখে মানুষের করুণ প্রতিচ্ছবি। সংগ্রাম, বিপ্লব, প্রবৃত্তির তাড়না, নিকষ ব্যথা সবকিছুই কেমন এক পলক দেখে কেবল দূরে অনেক দূরে অসহায় ভেসে যাওয়া ভেলাটাকে, নিশ্চিত হারিয়ে যাওয়র পথে শুধুই একটা শোক হয়ে। মাঝে মাঝে একটা প্রশ্ন জাগে- ''তুমি ভাল আছো?'' বিংশ শতাব্দীতে শোকের কোন আয়ু নেই।

প্রতিটি মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু গল্প থাকে। জীবনের অজস্র রন্ধ্র তবু বলে- ''মানুষ এত আশ্চর্য কেন? এত হিংস্র? এত অসহায়?'' কৃষ্ণবিবরে সব হারিয়ে যায় অনায়াসে। তবুও প্রতিটি মানুষেই অন্য মানুষের বেঁচে থাকা, হটাৎ ঝরে পরে কিছু নক্ষত্র মানুষকে ভালবেসে। । -২৫/৬,মেস।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.