সীমাহীন পথে ছুটে চলা নদীতে সাঁতার কাটি আমার অবারিত স্বপ্নের বৈতরনি নিয়ে .......... মুঘল স্থাপত্য গুলো সব সময় ই আমার মন ভাল করে দেয়, খুব কাছা কাছি ছুয়ে এক ধরনের বিশালত্ব অনুভব করা যায় । অসাধারন কারুকার্য মণ্ডিত নকশা ,সব সময় ই এর প্রতি আমার প্রধান আকর্ষণ ।
সম্রাট শাহজাহান কে পত্নী প্রেমী র সাথে সাথে একজন স্থাপত্য প্রেমী ও বলা চলে ...।
অমর কৃতি তাজমহল, লাল কেল্লা তেমনি আর একটি " দিল্লী জামা মসজিদ "
ভারতের বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিখ্যাত দিল্লি জামা মসজিদ। ১৬৫০ সালে সম্রাট শাহজাহান নির্মিত এ মসজিদে একসঙ্গে ২৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
৮০ মিটার দৈর্ঘ্য, ২৭ মিটার প্রস্ত ও ৪১ মিটার উঁচু মিনারের মসজিদটি তৈরি করা হয় লাল ও সাদা বেলে পাথরে।
উত্তর গেট এ অবস্থিত সংরক্ষণাগার এ ,অনেক দুষ্প্রাপ্য ইসলামী সংগ্রহ রয়েছে , যার মাঝে অন্যতম হচ্ছে " হরিন এর চামড়ায় লিখিত কুরআন ।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে , নির্মিত এই মসজিদ টি , দিল্লি তে শাজাহানাবাদ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় । ৬ হাজার শ্রমিক এর উদয়াস্থ পরিশ্রম আর ১০ লাখ রুপী ব্যয়ে।
মিম্বার ব্যাতিত বাকি তিন দিকে বিশাল তিন প্রবেশ পথ রয়েছে এতে ।
মসজিদ এর চতুর পার্শে জুরে চার দিকে চারটি বিশাল আয়াত ক্ষেত্রের দৃষ্টিনন্দন চত্বর
এক জুম্মাবারে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা বন্ধু পরিবার সাথে জামা মসজিদ এ জুম্মা র নামাজ আদায় এর নিয়ত ছিল , কিন্তু পুরানো দিল্লি র জ্যাম এ নামাজ শেষ হবার পর পেরেছিলাম উপস্থিত হতে । মাঝে রয়েছে আজু করার বিশাল পানির ব্যবস্থা।
নিজেদের মত নামাজ আদায় করে নিলাম । এই যায়গায় ,প্রচণ্ড গরমে ও এখানে বেশ চমৎকার সুবাতাস ছিল ।
ঘুরাঘুরির পালায় ,সবসময় এর মত আমাকে নকশাগুলো আকর্ষণ করল।
শুক্রবার করে প্রধান মিনার এ ৩০ রুপি দর্শনীর বিনিময়ে চড়ার ব্যবস্থা রয়েছে
বাচ্চা পার্টি রেডি , আমিও । কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা এত সরু পথ যে এক আমিতেই দরজার কাজ হয়ে যায় সেখানে যারা নিচে নেমে আসছিলেন তাদের জন্য উপর থেকে লম্ফ ছাড়া গতি নেই ।
সুউচ্চ মিনার এর শিখর থেকে দিল্লি দেখার অনুভূতি এক্কেবারেই অন্য রকম ছিল ।
মসজিদ এর শহর এর আমার কাছে উপমহাদেশ এর বিখ্যাত মসজিদ শুধু মাত্র এই সুউচ্চ মিনার ভ্রমন এর কারনে ই স্মরণীয় হয়ে থাকবে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।