আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাণী ধর্ম

আমি ভাল আছি,আপনারাও ভাল থাকুন আমি ভাল আছি,আপনারাও ভাল থাকুন প্রাণী ধর্ম ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩ শেয়ার করুনঃ 00 [Add to digg] [Add to FURL] [Add to blinklist] [Add to reddit] [Add to Technorati] [Add to YahooMyWeb] [Add to Co.mments] [Add to NewsVine] প্রাণী ধর্ম ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:০৯ মানুষ দাবি করে তারাই শ্রেষ্ঠ! এবং ঈশ্বর তাদের একার অধিকারে! পৃথিবীর আর কোন প্রাণীর জন্য ঈশ্বর মানুষের মতো সদয় নন। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ অবলীলায় হত্যা করছে প্রাণী,ধ্বংস করছে প্রকৃতির ভারসাম্য। বুদ্ধিমত্তা,শক্তি,চাতুরটা,হিংস্রতা যদি হয় শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠী, তাহলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু সেটা যদি না হয় তাহলে আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে--------(চলবে) কীবোর্ডঃ বাংলা ''পবিত্রতা'' অনেক জটিল একটি শব্দ। আমার ধারণা এই শব্দ এবং এর যত সমার্থক অর্থ আছে, এর সব এসেছে ধর্মীয় ভাব ধারা থেকে।

''ধর্ম'' আমাকে ভাবিয়েছে। বহুবিধ কারণে ভাবিয়েছে। প্রথমত ভাবিয়েছে সৎ ও অসৎ কাজের মানদণ্ড দিয়ে। 'ধর্মমত' মানুষকে সৎ কাজ করতে বলেছে। শুধু তা-ই নয় সৎ এবং অসৎ কাজ কি? তার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা দান করেছে।

পৃথিবীর বেশিরভাগ ধর্মেই আমরা ঈশ্বর প্রীতি এবং ভীতি এই দুটি বিষয় লক্ষ্য করে থাকি। 'ঈশ্বর মঙ্গল করেন' এটি হচ্ছে ঈশ্বর প্রীতির মূল কারন। অন্যদিকে 'ঈশ্বর শাস্তি দেন' এটি হচ্ছে ঈশ্বর ভীতির মূল কারন। আবার 'ঈশ্বর পুরস্কৃত করেন' বিষয়টিকে দেখা হয় চরম মহানুভবতা হিসেবে। (চলবে) প্রাণী ধর্ম ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২৮ ঈশ্বর বিশ্বাস ধর্মমতের একটি ভিত্তি।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বিষয়টিকে দেখা যায় তাহলে মোটামুটি এরকম দাড়ায়, ''প্রাচীন কালে মানুষ প্রকৃতির বিরুপতাকে ভয় করত। যার কারণে তারা বিভিন্ন শক্তির পূজা করত। এক সময় বিভিন্ন শক্তিকে পূজার্চনার ধারণা থেকে কিছু মানুষ সরে এল। তারা সর্ব শক্তির একজন নিয়ন্ত্রণ কর্তা /কত্রি (ক্লিব) হিসেবে ঈশ্বর বা সর্বশক্তিমানের ধারণায় অবতীর্ণ হয়। তখন থেকেই আধুনিক একেশ্বরবাদ ধর্মের উৎপত্তি হয়।

যদিও একেশ্বরবাদ ধর্ম গুলোতে খারাপ শক্তির বাহক শয়তান(ডেভিল) হিসেবে একজনকে স্বীকার করা হয়। কিন্তু সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ কর্তা হিসেবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকেই স্বীকার করা হয়'' পৃথিবীতে ধর্ম মানুষকে দিয়েছে গতিশীল নিয়মতায়মতান্ত্রিকতা। ধর্মকে বরাবরই আমি বিজ্ঞান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। ধর্ম হচ্ছে মানুষের অতী প্রাচীনতম সামাজিক বিজ্ঞান। মানুষের বিশৃঙ্খল জীবনকে নিয়মতান্ত্রিকতায় রাখার মূল ভূমিকা ধর্ম পালন করে আসছে সভ্যতার সেই প্রাচীনতম সময় থেকে।

মানুষ যখন নিজেকে পৃথিবীর অন্য প্রাণীদের চেয়ে আলাদা এবং শ্রেষ্ঠ ভাবা শুরু করল; মানুষের জীবন যাপনে যখন খাবার সংগ্রহ করার পরেও অফুরন্ত সময় চলে আসল। তখন মানুষ নিজেকে/নিজেদের নিয়ে ভাবা শুরু করে এবং জীবন যাপনে গতিশীলতা আনার জন্য বিভিন্নরকম উদ্ভাবনধর্মী কাজ করতে থাকে। তখন থেকেই মূলত মানুষের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা তৈরি হওয়া শুরু করে. মানুষের পোষাক পরিধান এবং শরীরে বিভিন্নরকম গহনা ধারণের চিন্তাটা প্রথম এসেছিল অন্য প্রাণীদের থেকে নিজেকে আলাদা করার জন্য। আবার কখনো শীত বা গরম থেকে বাচার জন্য। অন্যদিকে গহনা হিসেবে হাড়গোড় বিভিন্নরকম পালক পরিধান বা সাজগোছ প্রাণী শিকারে মানুষকে সহায়তা করত।

কারন, প্রাণীরা মানুষের এই সাজগোছকে বিকৃতি মনে করত বা সন্দেহ বা ভয়ের চোখে দেখত। সেই প্রাচীন মানুষরা এখন তাদের কর্ম শক্তিকে বাহুবল থেকে আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে এসেছে। কম্পিউটারের কি প্যাড চাপা থেকে শুরু করে টাচিস্ক্রিন কম্পিউটার আমাদেরকে সেই প্রমাণই দেয়। প্রাণী ধর্ম (পশুত্ব এবং মনুষ্যত্ব) ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩ শেয়ার করুনঃ 00 জেগে ওঠে সেই পশু! যাকে অস্বীকার করে; বধ করে শুরু হয়েছিল মানবের কথিত সভ্যতা। ''পশুত্ব'' কথাটাকে আমরা ''চরম নির্মম'' অর্থে ব্যবহার করতে পছন্দ করি।

''মনুষ্যত্ব'' কথাটাকে আমরা ''পরম মহান'' অর্থে ব্যবহার করে আড়াম বোধ করি। আমার মতে ''সেটাই মহান কর্ম যা সমগ্র উদ্ভিদকুল এবং প্রাণীকুলের জন্য কল্যাণকর''। সেই অর্থে গৌতম বুদ্ধ ছিলেন একজন মহান মানুষ। তিনি উচ্চারন করেছিলেন পৃথিবীর সকল প্রানির জন্য শান্তির বাণী। আহ্‌ কি শান্তিদায়ক সেই বাণী! কি বুদ্ধিদীপ্ত সেই আহবান!! আজ পৃথিবীর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষণে মনে পরে তার সেই প্রাচীন বাণী।

সত্যিকার অর্থে যদি মানব সম্প্রদায় পৃথিবী থেকে এক মুহূর্তে উধাও হয়ে যায়, তাহলে কত শান্তি পাবে সমগ্র প্রাণী ও উদ্ভিদকুল। সমগ্র প্রকৃতি একদিন প্রতিশোধ নিতে পারে চড়ম ভাবে,যা হবে মানুষের কল্পনাতীত। এখন মানুষের সময় এসেছে আরেকবার সমগ্র পৃথিবীর দিকে ভালভাবে তাকানোর; সময় এসেছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ প্রাকৃতিক নিয়মকে বুদ্ধিমত্তার সাথে অনুভব করার। খুব অবাক লাগে যখন দেখি গাছ কেটে ইটের ভাটা জ্বালানো হচ্ছে। যখন দেখি গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে বিলাসবহুল বাড়ি।

অবাক লাগে বিজ্ঞান যখন চড়ম উৎকর্ষতার সাথে আহরণ করছে নতুন নতুন জ্ঞান; তখন কিছু অন্ধ মানুষ আউড়ে যাচ্ছে পুরানো জং ধরা রুপকথার সংলাপ। বলছে এগুলো নাকি বিধাতার বাণী। সমগ্র মানব জাতির আচরণ পর্যালোচনা করলে এ কথা আমরা বলতে পারি যে, এরা বেশির ভাগ অর্থেই কোনোনা কোন ধর্ম দ্বারা তাদের জীবনের মূল বিষয় গুলোকে পরিচালনা করে থাকে। কারণ একটি সমগ্র জীবন সুন্দর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে পরিচালনা করার জন্য আর কোন মোক্ষম বিধান তাদের হাতে নেই। তাই প্রাচীন ধর্ম দ্বারাই তারা আধ্যাত্মিক, শারীরিক, মানসিক, সামাজিক জীবনকে পরিচালনা করার চেষ্টা করে।

(চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।