আমি মানুষ প্রখর রোদ ও অত্যধিক তাপে কোনো জায়গার বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে গেলে ওই স্থানে বাতাসের চাপ কমে যায় এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। এই ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য চারদিকের ঠান্ডা ও ভারী বাতাস মেঘসহ প্রবল বেগে ছুটে আসে এবং ঘুরতে ঘুরতে শূন্যস্থানে প্রবেশ করে। ঘুরতে ঘুরতে ছুটে আসা বাতাসের এই প্রবাহকেই ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন বলে। ঘূর্ণিঝড়ে কেবল বাতাস থাকে না, প্রবল বৃষ্টিপাতও হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা যখন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তখন ঘূর্ণিঝড় হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে| যে সকল সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম সেখানে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয় না| আর স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তাকে কালবৈশাখী ও টর্নেডো বলে।
সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সাধারণত ৩-৭ দিনের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে। আবার অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় সমুদ্রেই দুর্বল হয়ে পড়ে, উপকূলে আঘাত হানে না। সাধারণত বাংলাদেশে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ও আশ্বিন-কার্তিক মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়। অধিকাংশ ঝড়ের সৃষ্টি হয় বঙ্গোপসাগরের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায়। তথ্য- ইত্তেফাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।