আমি একটা বাচ্চা ভুত। খাই দাই ঘুমাই আর মানুষকে ভয় দেখাই। কিন্তু আমি বাচ্চা ভুত তো তাই মানুষ ভয় পায় না। বড় হলে ঠিকমত ভয় দেখাতে পারব! এখন নাহয় ব্লগই লিখি। কিন্তু আমার খালি ঘুম পায়।
আমি আর আমার ফ্রেঞ্চ ফ্ল্যাটমেট কিচেনে বসে দুনিয়ার যার পর নাই বিষয় নিয়ে যখন আলাপ করছি, তখন স্ত্রাস-কান এর প্রসঙ্গ উঠাতেই বেচারার মন খারাপ হয়ে গেল। সে এবং তার পুরো ফ্যামিলিই নাকি এই ভদ্রলোক (!) কে নেক্সট ইলেকশনে ভোট দেওয়ার কথা চিন্তা করছিল। সে যদি গিলটি নাও হয় তবু তার পলিটিকাল ক্যারিয়ার শেষ, এটা নিয়েই কথা হচ্ছিল। এই টপিক নিয়ে যতবারই ঘাটাঘাটি করি আর ততই পুরুষ জাতির উপরে ঘেন্না টা আরো প্রকট হতে থাকে যেন।
৫ বছর আগে যখন এই ভদ্রলোক(!) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হবার জন্য দাড়িয়েছিলেন তখন তার স্ত্রী প্যারিসের এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন যে উনি তার স্বামীর ‘লেডিস ম্যান’ জাতীয় রেপুটেশন নিয়ে বরং প্রাউড! পলিটিক্স এ যে সমস্ত পুরুষ মানুষ আছেন তাদের নাকি একটু আধটু সিডিউস করার ক্ষমতা থাকা খুব ই দরকারী।
স্ত্রীর এই গর্বই কি এই রাজনীতিবিদ কে এসব মহৎ(!) কাজ়ে উৎসাহ দেয় কিনা জানতে পারলে ভাল হত। ভদ্রমহিলা এখন তার স্বামীকে নিয়ে আরো বেশি প্রাউড কিনা জানতে ইচ্ছা করছে। প্রথমে এক জার্নালিস্ট কে ইন্টারভিউ এর সময়ে হেনস্তা করার চেষ্টা আর এরপরে হোটেলের মেইডের উপরে হামলা। পাওয়ারফুল লোকগুলোর চরিত্রের সমস্যাটা একটা কমন ব্যপার যেন।
আইএমএফ এ এই ভদ্রলোকের অবদান যাই হোক না কেন, আইনের চোখে ধুলো দিয়ে নির্দোষ প্রমানিত হলেও (যেটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, মানি ক্যান বাই এভরিথিং!) ফ্রান্সে তার পলিটিকাল ক্যারিয়ার পূর্বের অবস্থায় আসা অসম্ভব, আমার ফ্ল্যাটমেটের মত আর দশজন ফরাসী নাগরিকও তাকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে আর দেখবেনা।
নর্দমার কীটগুলো এটাই ডিজার্ভ করে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।