তার যে কত প্রশ্ন আমাকে ঘিড়ে,
যেন তার সব জানতে হবে।
কোথায় যেন শুনেছে শাড়ী বাংলাদেশের খুব জনপ্রিয় একটা পোষাক।
ব্যাস, ফোন করে আমাকে প্রশ্ন, আমি কখনো শাড়ী পরেছি কি না?
কিভাবে পরতে হয়?
আমাকে কথা বলার কোন সুযোগ না দিয়ে তার শাড়ীর আবদার।
আমি তো হেসেই খুন।
বাতাসে ভেসে আসা যান্ত্রিক শব্দে টের পাই,
ভারী হয়ে আসছে ওপাশের মানবিক কন্ঠ।
হঠাৎ আমার খুব শূন্য লাগে।
তবে কি তার নীল চোখে জলের পলি জমলো?
আমি বুঝাই,
শাড়ী শুধু মেয়েদের পোষাক ছেলেদের না।
এবার সে নিজেই হেসে উঠে।
তার ফরাসী মন বারবার ক্ষমা চেয়েও শান্ত হয় না।
আমি তার হাত ধরে থাকি সবসময়।
রেস্তোরায়,
স্টুডেন্ট ইউনিয়ন হাউসে কফি কিংবা অ্যালকোহলে চুমুক দিতে দিতে,
বরফময় রাস্তায় হাটতে হাটতে,
শপিং মলে মাছ-মাংশ-পাউরুটির হিসাব করার সময়ও বাদ যায়না।
মাঝে মাঝে আরো ঘনিষ্ঠ।
ইউরোপের সংস্কৃতি তাতে বাধা দেয়না কখনো।
তোমার দেশের মানুষ কেমন?
-খুব ভালো।
তোমার দেশের সম্ভাবনা কেমন?
-খুব উজ্জল।
এত বড় জনসংখ্যা সমস্যা না?
-এটাই তো আমাদের প্রধান সম্পদ ও শক্তি।
তাহলে ভালো কিছু শুনিনা কেন তোমাদের নিয়ে?
-কারন আমাদের প্রচার মাধ্যমগুলো সক্রিয় না, উপস্থাপনার অভাব।
সুকৌশলে তাকে বুঝিয়ে দেই।
খুশিতে তার সাদা গালে টোল পরে।
যেন বাংলাদেশ তার জন্মভূমি।
তোমার দেশ বারবার দুর্নিতীতে প্রথম হয় কেন?
আমি কথা খুজে পাইনা।
লজ্জায়, অপমানে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
ব্যাগ খুলে নতুন কেনা চকোলেট বের করে সেটা যে কত সুস্বাদু বুঝাতে শুরু করি আমি।
স্বর্নকেশী বোকা মেয়েটি চকোলেট নিয়ে ব্যাস্ত হয়।
আমার আর উত্তর দিতে হয়না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।