২. ব্যক্তির চেতনা একটু হলেও লুপ্ত হয় যখন সে কোন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকে। ১. যদি চতুর্দিক বন্ধ নিরেট পাথরের ভিতরেও কেউ ভাল কাজ করে, তবু সেটার কল্যাণ পৃথিবীতে ছড়াবেই। (এটি হাদিস। ) ০.সাপের মাথা বাদে বাকি পুরোটাই লেজ। সো, লেঞ্জা ইজ কোয়াইট ইম্পসিবল টু হাইড।
প্রশান্তচিত্ত ওই পর্যন্ত আসবে না, যে পর্যন্ত আমাদের অন্তরাত্মা প্রশ্নের পূর্ণতা না পায়। ভুল বললাম, প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণতা পেলে কিছুই হয় না। সত্যদর্শনই একমাত্র প্রশান্তির উপায়। তখন প্রশ্ন আর থাকে না।
অনেক অনেক দিনের আশার একটা লেখা।
তাই ইচ্ছামত, বিস্তৃত করব।
প্রশান্তচিত্ত বা ক্বালবুস সালিম কি এম্নি এম্নি আসে?
আমরা স্বয়ং ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ আ.'র কথাতেই যাই। তিনি বলছেন, প্রভু, তাক্বওয়া তো আছেই। তাক্বওয়া তো তোমার সচেতনতা। সর্বতো তুমি।
সেটাই পূর্ণ ঈমান। আছে। কিন্তু মন শান্ত হতে চায়। দেখতে চায়। তিনি মৃতকে জীবিত করে দেখালেন।
মহান ইব্রাহিম আ.'র হৃদয় প্রশান্ত হলো।
মূসা কালিমুল্লাহ আ. বললেন, প্রভু, তোমাকে না দেখে তো শান্তি পাই না। তিনি আলো দেখালেন। তৃষিত মূসা আ.'র হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ল আমরণ প্রশান্তি।
সাইয়্যিদুনা ঈসা আ.'র জাতি বলল, আরো নিদর্শন চাই।
আপনি সত্য নবী। তিনি মৃতকে জীবিত করলেন। বিইজনিল্লাহ্ ।
রাসূল সাল্লিআলা'র সমকালীনরা আরো স্পষ্ট প্রমাণ চাইলেন। তিনি দ. আঙুলের ইশারায় চন্দ্রবিভাজন করলেন।
শাক্কাল ক্বামারু বি ইশারাতিহি। বিশ্বাসীদের মন পরিতৃপ্ত হল।
তেমনি, নবীরা আর খালিপায়ে উষর ভূমি হাঁটেন না। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর না পেলে আমাদের মন প্রশান্ত হয় না। আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়ে না, আবার আল্লাহ নাকি আমাদের কর্মফল দিবেন?
ঈমানের মাত্র সাতটা প্রধান অঙ্গ।
আরো বহু বহু আছে। তো, সেই সাত প্রধান অঙ্গের দুটা হল,
১. আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্য/ তাক্বদীর।
২. পুনরুত্থান দিবস/বিচার দিবসে বিশ্বাস। ইয়াওমাল আখিরা। বা'সি বা'দাল মাউত।
অথচ আপাতদৃষ্টিতে এই দুটা বিষয় পরস্পর বিপরীত তো বিপরীত, সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। একজন শান্তিপ্রাপ্ত ও সমর্পিতের- অর্থাৎ মুসলিমের জন্য আবশ্যক এই সাতটা বিষয় পরিপূর্ণভাবে জানা।
কিন্তু গাঠনিক মূল বিষয়েই আমাদের অস্পষ্টতা।
ভাগ্য ও কর্মফলের বিষয়টাকে অর্থাৎ আল্লাহ করান ও আমরা করি'র বিস্তৃতিটাকে সংক্ষেপে আনা সম্ভব নয়। আর যত পর্বই লাগুক, সমাপ্তির আগ পর্যন্ত কোন অনুসিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না।
আপাত কথায় বৈপরীত্যও থাকবে।
* প্রশান্তিযাত্রার প্রথম পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাগ্যের সুকঠিন গ্রিপ সম্পর্কে। অবশ্যই এটা সুকঠিনভাবে কুরআন ও হাদিস নির্ভর। কিন্তু ইচ্ছা করে একপেশে।
* হয়ত দ্বিতীয় পর্যায়ে এর উপর নির্ভর করে মারাত্নক সব অনুসিদ্ধান্ত।
কিন্তু চূড়ান্ত নয়।
* তৃতীয় পর্যায়ে একজন সাহাবী, যাঁকে তাবেয়ী বলা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তাঁর সম্পর্কিত হাদীসের আলোচনায়।
* সম্ভবত চতুর্থ পর্যায়ে একজন মহানতম আধাত্ম্যবিদ ও আরো অনেক মহামহিম সূফি কী বলছেন সেই গভীরতায় প্রবেশ করব। পরিচয় পাব সেই দুটা কথিত পথভ্রষ্ট মত বা ফির্কার, যাদের একপক্ষ বলছে, সবই আল্লাহ ঘটায়। অন্যপক্ষ বলছে, আল্লাহ ছেড়ে দিয়েছেন, তাই সবই বান্দা ঘটায়।
*পঞ্চম পর্যায়ে এই বোধের পূর্ণতা আনার চেষ্টা করব স্পেস ও টাইমের সমন্বয়ে। এখানে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে ধরা দিতে পারে। আগমন ঘটতে পারে ত্রিকাল তথা অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত এবং চতুর্মাত্রা তথা প্রথম-দ্বিতীয়-ত্রিমাত্রা আর স্থানকালমাত্রা তথা ফোর্থ ডাইমেনশনের।
প্রতি পর্বে আমরা আলোচনা করব শুধু চলমান পর্বের বিষয় নিয়ে। যাত্রাটা হোক শুরু?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।