আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রদ্ধেয় প্রবীণ সাংগাতিক-কলামিষ্ঠ রাহাত খান—তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা তোমায়

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত। শ্রদ্ধেয় প্রবীণ সাংগাতিক-কলামিষ্ঠ রাহাত খান—তীব্র নিন্দা ও ঘৃনা তোমায় কি হনু রে! এই হনু প্রবণতা আমাদের প্রায় সকলের মধ্যে জীবনের কোনো না কোনো পর্বে দেখা দেয়। এই হনু বিষয়টি এক এক জনের জীবনে এক এক পর্যায়ে আসে। এই হনু হওয়া বা হনু হতে চাওয়ার প্রবণতা নানাভাবে দেখা দিলেও মৌলিক বিষয় কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে এক ও অভিন্ন। আর তা হলো-সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে ব্যক্তিবাদের উপর সর্বচ্চ গুরুত্ব আরোপ।

আমার যাকে বলি ব্যক্তিসাতন্ত্র্যবাদীতা। আমি যখন ইউনিভারসিটিতে পড়ি তখন আমার মধ্যে একবার হনু-ভাব দেখা দিয়েছিল। তখন ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলতাম। মনে করতাম আমি যা বুঝি, তা অন্য কেউ বুঝে না। এমনকি শিক্ষকরাও না।

কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পর আমি বুঝলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লার্ক যা জানে-বুঝে তাও আমি জানি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কুকুরের (কারও গায়ে ধাক্কা খায় না) চলা-ফেরার কালচার, আমার কালচারের চেয়ে উন্নত। সেই থেকে মন থেকে হনু হওয়ার প্রবণতা মুছে ফেলেছি। যা-ই হোক এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। আর তা হলো আমাদের দেশের কতিপয় সম্পাদক-কলামিস্টের ভাবখানা সবসময় কি হনু রে—এর মধ্যে থাকে।

তারা সবসময় ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেন। যা ইচ্ছা তা লেখেন। যা ইচ্ছা কা বলেন। তাদের ভাবখানা এমন যে উনিই সবকিছু জানেন। একেবারে সবজান্তা সমসের।

আসলে কোনো বালও জানেন না। যেমন ধরুন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রবীণ সাংগাতিক-কলামিষ্ঠ রাহাত খান। তিনি মাঝে মাঝে এমন ভাব ধরেন যে উনি সকলের উর্ধ্বে। আসলো এমন পরিচয় বহন করতে হলে যে যোগ্যতাটুকু দরকার হয় তা কি তার আছে? নেই। আমরা জানি কে কি করে? কতটুকু অনেস্ট? শ্রমের নিক্তি দিয়ে হিসেব করলে আসল অনেস্টি বের হয়ে আসবে।

এই শালা আজ বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি কলাম লিখেছে--যে কোনো সরকারের আমলেই এরা শুধু বলে_ না। না কেন? এই শিরোনামে। প্রিয় ব্লগার এই দালাল সাংবাদিকের লেখাটি দয়া করে পড়ে দেখুন দালালী কাহাকে বলে??????????? যে কোনো সরকারের আমলেই এরা শুধু বলে_ না। না কেন?: রাহাত খান যে কোনো সরকারের আমলেই এরা শুধু বলে_ না। না কেন? কারণ বিষয়টা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।

কিভাবে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী? বাঃ, সেটা বলার দরকার কি! বিপ্লব মানে তো 'সাম্রাজ্যবাদী' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না রাখা। বিপ্লবের 'পথে কুড়িয়ে পাওয়া'র সংজ্ঞা তো হচ্ছে_ বুর্জোয়া ও পুঁজিবাদী শক্তির বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেওয়া। তা সেটা উন্মাদের আচরণ হোক বা ভুল আদর্শের প্রলাপোক্তিই হোক! কথাগুলো আমি মোটেও মনের আনন্দে লিখছি না। লিখছি দুঃখের সঙ্গে। কষ্টের সঙ্গে।

যাদের কথা বলছি, তারা হচ্ছেন তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য। যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক, বিএনপি বা আওয়ামী লীগ, কোনো সরকারকেই তারা বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তেল-গ্যাস চুক্তি করতে দেবেন না। বাংলাদেশে তেল-গ্যাস আহরণে বাপেক্স অবশ্যই দিন দিন একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠছে। তবে মাটির নিচ থেকে কয়লা উত্তোলন কিংবা গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস আহরণের প্রযুক্তিগত সামর্থ্য এবং কারিগরি দক্ষতা অর্জন করা বাপেক্সের পক্ষে এখনো সম্ভব হয়নি, অর্জন করতে আরও দু'তিনটি সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে বলে অনেকে মনে করেন। অনেক বিশেষজ্ঞই তেমনটা মনে করেন।

আরও দু'তিনটি সরকারের মেয়াদ শেষ হলেও বাপেক্স গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস উত্তোলনে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারবে কিনা, তাতে অনেকের মতো আমারও সন্দেহ আছে। একে তো বাপেক্স সরকারি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। কে না জানে, বাংলাদেশের প্রশাসন আকার-অবয়বে বিশাল। বলা যায় হস্তী বা শ্বেতহস্তী। ধীরে ধীরে চলে।

মাইল পেরোতে দুই ঘণ্টা, আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। বাংলাদেশের প্রশাসনের মূল কাজ হচ্ছে যেন, চার লেয়ার, পাঁচ লেয়ারের মধ্যে নিচে-উপরে, উপরে-নিচে ফাইল চালাচালি হওয়া। বেশির ভাগ ফাইল শেষ পর্যন্ত গিয়ে আশ্রয় নেয় স্টিলের আলমিরায় অথবা গাদা হয়ে থাকা ফাইলের স্তূপে। হ্যাঁ, এই ফাইল একদিন না একদিন নিশ্চয়ই সচিব ও মন্ত্রীর কাছে গিয়ে পেঁৗছবে। তবে কবে, কতক্ষণে গিয়ে পেঁৗছবে তা সচিবরা জানেন না, মন্ত্রীরাও জানেন না।

জানেন শুধু সৃষ্টিকর্তা। বস্তুত আল্লাহই একমাত্র ভরসা। বর্তমানে প্রশাসনের যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তার ওপর নির্ভর করা খুব কঠিন। একে তো প্রশাসনের হাতে-পায়ে গেঁটে বাত। প্রায় স্থবির।

শুয়ে থাকতে পারে, বসতে পারে না। কোন রকমে উঠে বসতে পারলে দাঁড়াতে যেন আর পারেই না। এর ওপর গোদের উপর বিষফোঁড়া! স্থবিরতা ও অযোগ্যতার পাশাপাশি ব্রিটিশের রেখে যাওয়া এই 'ঐতিহ্যবাহী' প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এবং বাপেক্স তো এই প্রশাসনেরই অংশ। সেখানেও নেওয়া-নেওয়ির কাজটা একেবারেই যে কম চলে, তা মোটেও নয়। এ জন্যই মনে আশংকা জাগে, দু'তিন সরকারের মেয়াদে, গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণ করার মতো যন্ত্রপাতি বাপেক্সের মিলবে কিনা।

দুর্নীতি থেকে অন্তত অনেকটা ছাড়িয়ে এনে প্রতিষ্ঠানটিকে আলোচ্য কাজের জন্য যোগ্য ও দক্ষ করা যাবে কিনা। ইচ্ছা করলে প্রশাসনকে কার্যকর, সক্রিয় এবং সীমিত মাত্রায় দুর্নীতিমুক্ত করা যায় বৈকি। তবে পরিহাসের মতো শোনায় যে, প্রশাসনিক সংস্কারের ভার প্রতিবারই দেওয়া হয় আমলাদের ওপর। আর কে না জানে, আমলারা আর কিছু না জানুক, যে কোনো কাজে সময় ক্ষেপণ এবং কাজটা ভণ্ডুল করার কায়দাটা খুব ভালোই জানে! কাজেই যুগের পর যুগ যায়। কখনো কখনো সামান্য চুনকাম করা মার্কা প্রশাসনিক সংস্কার হয় বটে, তবে কাজের কাজ কিছুই হয় না, বরং কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হয়।

চলতে অক্ষম এই খেয়ে খেয়ে শুধু পেট মোটা করা এই ঘোড়ার পিঠে চড়েই এডিবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পেঁৗছতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে ৪৫ কোটি টাকার ঘাটতি থাকা এক লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট। ভাবা যায়! দুঃখ হয়। খারাপও লাগে। প্রশাসনিক সংস্কারের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি অনেক বিশেষজ্ঞ-অধ্যাপক বা ম্যানেজমেন্ট গুরু রয়েছেন।

তাদের দিয়ে প্রশাসনিক সংস্কারের অবকাঠামো এতদিনে তৈরি করা যেতে পারত। কিন্তু দুই স্বৈরাচার একনায়কের আমলে তো হয়েছে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের মহোৎসব। স্বৈরাচারের এটাই প্রধান কাজ। প্রথমে সংবিধান স্থগিত-বাতিল করে কিংবা গায়ের জোরে মূল সংবিধান তছনছ করে আবার পুরনো শত্রুর প্রেতাত্মাকে সেখানে স্থাপন করে। 'গণতান্ত্রিক' যুগেও দলীয়করণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা এবং রাজনীতিকে 'কবরখানা'র কাছাকাছি কোথাও আটকে রাখা ইত্যাদি কিছু কম হয়নি।

শুধু এক আমলে নয়, সব আমলেই এসব হয়েছে। বড় দুটি দলের সরকার পরিচালনার সময়েও। কোনো দল সরকারে থাকার সময় এসব নিয়ে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করেছে। কোনো দল সরকারে থাকার সময় একটু কম বাড়িবাড়ি করেছে। পার্থক্য বলতে এইটুকু।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এমন দল বাংলাদেশে আছে, যারা ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশ বড়_ এই মূল্যবোধকে এতটুকু সম্মান দেয় না। তাদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়। একনায়কতন্ত্র কি এর চেয়ে খুব বেশি খারাপ? আলোচনা করতে গিয়ে মূল প্রসঙ্গ ছেড়ে বহু দূরে চলে এসেছি। বলছিলাম তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং সেই প্রসঙ্গে বাপেক্সের কথা। সন্দেহ নেই, দেশের অভ্যন্তর ভাগে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি তুলনামূলকভাবে অনেক কম থাকা সত্ত্বেও নতুন কূপ খোঁড়া, গ্যাস অনুসন্ধান এবং গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে বাপেক্সের পারঙ্গমতা ও কৃতিত্ব খাটো করে দেখা যায় না কোনোক্রমেই।

এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজই করেছে বাপেক্স। তবে গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি, কারিগরি দক্ষতা, প্রযুক্তি কিছুই এই মুহূর্তে বাপেক্সের নেই। এ সত্যও অস্বীকার করার উপায় নেই। হয়তো ১০ বছর, ১৫ বছরে আলোচ্য যন্ত্রপাতি, দক্ষতা ও প্রযুক্তির অধিকারী হতে পারবে বাপেক্স। কিন্তু ততদিন বিশ্বে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের চাহিদা কি এখনকার মতো থাকবে? আমাদের কথা নয়, বহু খ্যাতনামা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সাত কিংবা দশ বছরের মধ্যে সৌর-বিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ এবং সমুদ্রের তরঙ্গ-অভিঘাত থেকে আহরিত বিদ্যুতের উৎপাদন এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে, গ্যাস-তেলের চাহিদা হতাশাব্যঞ্জক স্তরে নেমে আসতে পারে।

ঠিক যেমন জ্বালানি ও গ্যাস আবিষ্কারের পর এককালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একমাত্র অবলম্বন কয়লার চাহিদা কমে গিয়েছিল। তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি এ বিষয়টি জানে না, তা আমি কিছুতেই মনে করি না। তারা বিষয়টি জানেন। ভালো করেই জানেন। তবু এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বা বিকল্প কোনো প্রস্তাব কখনোই জাতির কাছে পেশ করা হয় না এবং কোনো বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সরকার (সব আমলেরই) তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের চুক্তি করতে চাইলেই তারা নিন্দা-সমালোচনা এবং বাদ-প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।

শ'পাঁচেক লোক নিয়ে 'কঠিন' আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কেন? ভারী আচানক এবং রহস্যময় তাদের এই ভূমিকা। কেউ বলেন, ওরা ভারতের চর। কেউ বলেন, পাকিস্তানের এজেন্ট। কেউ মনে করেন, দুনিয়ার কোথাও, কোনো দেশেই টিকতে না পারা কমিউনিজমের অবসানজনিত যে হতাশা সেই হতাশা ও নৈরাজ্যেরই প্রতিফলন ঘটে এই কমিটির কাজকর্মে।

আমি চাই, আমার এই আপাত-তিক্ত কথাগুলো ভুল প্রমাণিত হোক। আহ্বান জানাই তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটিকে_ তারা জাতির সামনে দেশের ক্রমবর্ধমান এই গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা কিভাবে, কোন্ উপায়ে মোকাবিলা করা যায় এমন কোনো বিকল্প প্রস্তাব দিন। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে করা চুক্তিতে জাতীয় স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটেছে কোথায়, সেটা বলুক। যদি সেই প্রস্তাব ও বিকল্প ভাবনা বাস্তব আর যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহলে সরকারকে আমরা অবশ্যই বলব, তাদের বিকল্প প্রস্তাবনাকে যথোচিত গুরুত্ব দিতে। সরকার না দিলে গোটা জাতি দেবে।

জাতীয় স্বার্থ বলে কথা। এখানে হানি ঘটলে অবশ্যই দলমত নির্বিশেষে গোটা জাতি রুখে দাঁড়াবে। আর তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি যদি তেমন কোনো বাস্তব যুক্তিসঙ্গত ভিন্ন ধারার প্রস্তাবনা দিতে না পারে, তাহলে তাদের অনুরোধ করব_ দেশের স্বার্থের কথা বলে এসব 'বিপ্লবাত্মক' হাবভাব দেখানো থেকে নিজেদের যেন তারা বিরত রাখেন। আপনারা তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটি তো খুব ভালো জানেন, আমরাও কিছু কিছু জানি। বলশেভিক বিপ্লবের ফসল সেই যে কমিউনিজম, তিনি ৭৬ বছর বয়সে 'দেহপাত' করেছেন।

খোদ রাশিয়া এখন সাইবেরিয়ার দুর্গম অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত পশ্চিমা দেশের সাহায্য নিচ্ছে। চুক্তি করছে। সেই যে মাওবাদী চীন, সেখানে মাওবাদ চির অস্তাচলে গেছে, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বিধানের জন্য চীনারা এখন সেই এককালে গাল দেওয়া 'সাম্রাজ্যবাদী' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই বিলিয়ন বিলিয়নের বাণিজ্য করছে। চীনে যে একদলীয় ব্যবস্থা সেখানে আর যাই থাকুক কমিউনিজম নেই। কমিউনিজম কোথাও নেই।

কিউবা অধুনা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার এবং সম্পর্কোন্নয়নের আকুল চেষ্টায় ব্যাপৃত। উপায় কি! ব্যক্তিকে অস্বীকৃতি জানানো সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি যে লোকসান ছাড়া আর কিছু দেয় না। উত্তর কোরিয়ায় তো কমিউনিজম নয়, কিম 'ডাইনেস্টি' প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিজম, কমিউনিস্ট, বিপ্লবী সমাজতান্ত্রিক ধারণা শুধু টিক আছে আরও কিছু কিছু দেশসহ বাংলাদেশের জনবিচ্ছিন্ন খাপছাড়া দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ক্ষুদ্র একশ্রেণীর নৈরাজ্যবাদীর মধ্যে। সংখ্যায় তারা এতই ক্ষীণ যে, মাইক্রোস্কোপ ছাড়া তাদের দেখা যায় না।

তাদেরই উদ্দেশ করে সবিনয়ে বলছি, পারলে বিদেশিদের সঙ্গে করা তেল-গ্যাসের চুক্তি যে জাতীয় স্বার্থবিরোধী তা কাগজে-কলমে প্রমাণ করুন। না পারলে প্লিজ, ক্ষয়ে যাওয়া, পচে যাওয়া এসব বিপ্লবী চোটপাট দেখাবেন না। বিপ্লব এখন ছুটিতে গেছে। হয়তো চিরদিনের জন্য। মার্কসবাদী-লেলিনবাদী-মাওবাদী বিপ্লব এখন পরলোকে।

আর ফিরে আসার উপায়ও দেখছি না। আমার তো মনে হয় আল-বিদা জানিয়ে চলে যাওয়া মার্কসবাদী বিপ্লব আর ফিরে আসবে না। কবিতার ভাষায় বলি : 'যা যায়, তা যায়, আর ফিরে আসে না। ' লেখক : ভণ্ড কলামিস্ট ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.