আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুমের মধ্যে অশান্তি, ব্লগেও অশান্তি!

বাধ ভাইঙ্গা যায় আওয়াজের ঠেলায়! অনেকদিন আগে একখান খবর পড়ছিলাম পেপারে। গাও গেরামে মাইয়া মানুষের লগে জোরপূর্বক অকাম করতে গিয়া এক মোল্লার নাকি জিনিস কাইটা নিছে! বড়ই খতরনাক খবর আছিলো। কিন্তু খতরনাক খবর পইড়া আমার মেলা হাসি আইছে, আমি একবার হাসতে হাসতে খাট থিকাও পইড়া গেছিলাম। মোল্লার জিনিস কাইটা নেওনের পর তার বাড়ির সামনে নাকি মেলা বসছিলো। গ্রামের সব লোক নাকি দল বাইন্ধা তারে দেখতে আসে প্রতিদিন।

ছোট ছোট বাচ্চার নাকি জিগায়,"মামা, অখন হিস্যু করেন কেমনে?" আর এলাকার মহিলারা টিটকারী মারে। সে নাকি রাগে দুঃখে ঘর ছাড়া। কথা সেইখানে না, সেই মোল্লা অখন বাইচা থাইকা কি করবো, এইটাই আসল কথা। আর তার চেয়ে বড় কথা, অখন তার বিরুদ্ধে কোনো আইন গত ব্যাবস্হা নিয়াও লাভ হইবো না! যেই মাইয়া মানুষ এই কাজখান করছে, তারে একখান পুরস্কারও দেওন যাইতে পারে! গতকাল পাশের রুমের রহিম ভাই সন্ধ্যাটার সময় একখান বিড়ি ধরাইয়া শুরু করলো,"বাড়িআলা কি শয়তানি করে নাকি ডেসকোর লোকজন শয়তানি করে?" আমি কই,"বাড়িআলা শয়তানি করবো কেন? পুরা এলাকাই তো আন্ধার, জানালা দিয়া দেখেন না?" সে একখান বিটকাইলা হাসি দিয়া কয়,"দেখুম কেমনে, আমার খোয়াড়ে তো জানালা নাই!" ঘুম আসতাছে না। আইবো কেমনে, বাড়ির মেহমানের মতো কারেন্ট খালি আগে যাওয়া আসতো কিন্তু ইদানিং তো দেখি কারেন্ট মামা চোরের মতো ফুচকি দেয় তারপর পালায়।

আর দেশের জলবায়ু তো অনেক আগে থিকাই গার্লফ্রেন্ডের মতো কাহিনী শুরু করছে! ঘুম আসে না গরমে। সেই হিসাবে আমার কপাল ভালা হইলেও লাভ হয় না। ইদানিং কারেন্টের মতোন বাতাসও আসে না। চারতলা বিল্ডিং এ থাইকাও বাতাস পাই না। কারেন্ট যখন আসে তখন বাতাস আমার লগে হায় হ্যালো করবার আসে।

কেউ কথা রাখে না, খালি আমি বেকুব তানপুরা নিয়া বইসা আছি! যাই হোউক, রাইতের বেলা বাইর হইয়া একখান হকারের দোকানের সামনে কতগুলা পেপার দেখলাম, কিন্যা দেখলাম কোনো খবর নাই। খালি হরতাল আর খালেদা হাসিনার সতীনের ঝগড়া। যদি এই দুই মহিল সত্যিকার সতিনের ঘর করতো আল্লাহই মালুম কি জানি করতো! ব্লগেও শান্তি পাই না। সকাল সন্ধ্যা এক কাইজ্জা, আল্লাহ আছে আল্লাহ নাই! এই ছাড়া কোনো কথা নাই। সকল ঝগড়ার মূল অংশ এই বিষয়টা থিকাই আইছে! দেশে সমস্যার আকাল নাই, কারেন্ট নাই, বাতাস নাই, শান্তি নাই, চাকরী নাই, বয়স নাই, বৌও নাই! পয়দা হওনের পর থিকা সেই যে অশান্তিতে পড়ছি, অখনও শান্তি পাইলাম না! ব্লগে ভাবছিলাম লেখমু, অখনও সেফ হইনাই।

কিন্তু ভাবলাম আমার লেখা প্রথম পাতায় আইলে দেখা যাইবো "আমি ভাত খাই" এই কথা লেইখা পোস্ট দিলে দেখা যাইবো এইখানেও মাইনষে সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প খুইজা আমার খাওনটা মাটি করবো! আপাতত ক্যাচালের দরকার নাই, একখান চাকরী চাই। কেমনে পাই সেইটা একটু জানতে চাই! সময়টা ভালা না, দিনকাল সুবিধার না! কারো মনে শান্তি নাই, আপাতত টিউশনী কইরা পেট চালাই! বাসায় ফোন করার টাকাও নাই! দুই বেলা খাইলে এক বেলা বাদ রাখি! টাকা পয়সা খরচা করতে বড়ই সমস্যা! আল্লাহ রহম করো! গরীবের দিলে শান্তি দাও! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।