এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... আজ সকালে র্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিজনেস প্রফেশনালদের সাথে “প্রোফেশনাল সার্টিফায়েড মাস্টারক্লাস ২০১১” নামে একটি সেশন পরিচালনা করেন। এতে তিনি বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় বাজার উল্লেখ করেন ও বাংলাদেশের জন্য উপহার স্বরুপ প্রতিবছর ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং ফোরাম অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে মনোনীত করেন। এটি প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি আন্তর্জাতিক সম্মানসূচক অনুষ্ঠান যা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পন্য পরিচিত ও সম্মানিত হবে।
বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতের বিশেষ ব্যক্তিদের সাথে ডঃ ফিলিপ কটলারের ছয় ঘন্টার দীর্ঘ সেশনটি অনুষ্ঠিত হয়। এই সেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানার মূল চালকগণ যেমন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ অংশ নেন।
ডঃ কটলার তার পরিচালিত সেশনে পন্য ও ভোক্তানির্ভর প্রচলিত মার্কেটিং ধারনা মার্কেটিং ১.০ ও মার্কেটিং ২.০ থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেন পাশাপাশি তিনি মার্কেটিং ৩.০ চর্চার কথা বলেন যেটি বহুমুখী মার্কেটিং চর্চার কথা বলে। মার্কেটিং ৩.০ উদ্ভাবিত হয়েছে দৈন্দন্দিন জীবনের সমস্যার উপর নির্ভর করে। এবং সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে এসব অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতাসমুহ প্রয়োগ করা হবে। ডঃ কটলার সাইবারনেটিক এর উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন যেটি ভোক্তা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীক অংশীদারদের তাৎক্ষনিক মতামতের উপর নির্ভরশীল এবং এ মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন। তিনি এটির চর্চার কথা বলেন যা মার্কেটিং অন্যান্য গতানুগতিক ধারা যেমন বিজ্ঞাপনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী।
ব্যবসায়িক অংশীদার (স্টেকহোল্ডার) দের প্রদত্ত মতামত প্রতিষ্ঠানের লাভ, দৃঢ় উন্নয়ন ও অবদানের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে। কটলার তার আলোচনায় বলেন, ভোক্তামাত্রই বুঝতে সক্ষম হন যে তার ক্রয়ক্ষমতার প্রভাব বিশ্বব্যাপী। এবং সেই মোতাবেক তার ক্রয় আচরন পরিচালিত হয়।
ডঃ কটলার বলেন, ওয়াড অব মাউথ বা মৌখিক পন্যকথন একটি গুরুত্বপুর্ন মার্কেটিং উপাদান। মৌখিক পণ্যকথন হয়তো আপনাকে অনেকদুর নিয়ে যাবে অথবা আপনাকে ধ্বংস করবে।
উদাহরনস্বরুপ, একটি পণ্য যদ্যি সত্যিই খুব ভালো হয় এবং ভোক্তারা যদি এর ব্যাপারে অনেক ভালো ভালো কথা বলেন তবে এর বিক্রয় অনেক বেড়ে যায় এবং লভ্যাংশও যথারীতি বাড়তে থাকে। আপরপক্ষে ভোক্তার অভিব্যক্তি যদি নেতিবাচক হয় তবে এর বিক্রয় পড়ে যায় এবং অতিভালো মানের প্রমোশন ও বিজ্ঞাপনও কাজ করে না।
বাংলাদেশের মত দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি তিনটি জিনিসের উন্নয়নের প্রতি জোর দেন। তা হলো তরুন প্রজন্ম, নারীসমাজ ও ঔষধশিল্প। তরুনসমাজ যেকোন দেশের উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল করে।
নারীর উন্নয়ন দেশের মেরুদন্ডকে শক্ত করে। এবং বাংলাদেশের ঔষধশিল্প সবচাইতে সম্ভাবনাময় হতে পাওে কারন এদেশ থেকে সবচেয়ে কমখরচে দামী ঔষধ উৎপাদন সম্ভব।
ডঃ কটলার বাংলাদেশের মানুষের জন্য উপহার স্বরুপ প্রতিবছল ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং ফোরাম অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে মনোনয়নের ঘোষনা দেন। ওয়ার্ল্ড মাকেটিং ফোরাম হতে যাচ্ছে এমন একটি সমৃদ্ধ আয়োজন যেখানে বিশ্বেও শীষৃস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যক্তিত্বসহ কর্পোরেট বিশ্বেও বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন ব্যক্তিত্বগন বিভিন্ন চলমান চ্যালেন্জ এর মোকাবেলা করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘুমন্ত বাঘ।
তাকে জাগতে হবে এবং জয়ী হতে হবে। তিনি বাংলাদেশের জ্বালানীখাতের প্রসংশা করেন। এটিই তাকে ওয়ার্ল্ড মাকেটিং ফোরাম এর আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে নির্বাচিত করতে অনুপ্রানিত করেছে।
দিনব্যাপী এ সেশনের ডায়মন্ড স্পন্সর গ্রামীনফোন, প্লাটিনাম স্পন্সর এসিআই ও এসএসডি-টেক, ব্যাংকিং পার্টনার ইউসিবি, এয়ালাইন পার্টনার কাতার এয়ারওয়েজ, আইসিটি পার্টনার এক্সপ্রেস সিস্টেমস লিমিটেড, ট্রেনিং পার্টনার ডিএসটিসি, নলেজ পার্টনার ইউল্যাব, স্ট্যাটেজিক পার্টনার আইবিএ এ্যালামনাই এসোসিয়েশন, মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই ও পিআর পার্টনার কনসিটো পিআর। কটলার ইমপ্যাক্টের সাথে যৌথভাবে এটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।