এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই...
মার্কেটিং যুগান্তকারী বইসমূহের লেখক ফিলিপ কটলারের নাম কে না শুনেছে? তার প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং বইটি “বাইবেল অব মার্কেটিং” হিসেবে স্বীকৃত। এটি বিস্ময়কর কোন ঘটনা নয় যে সারাবিশ্বের প্রত্যেক মার্কেটিং গ্রাজুয়েট ফিলিপ কটলারের নাম জানে। কারন সারাবিশ্বের প্রায় সব মার্কেটিং শিক্ষাথীদেরকেই প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং বইটি পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়তে হয়।
মার্কেটিং গুরু কটলার তার বইতে বিশ্বেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সফলতার দৃষ্টান্তসমূহ উল্লেখ করেছেন। অবিশ্বাস্যভাবে বাংলাদেশের মত একটি ছোট্ট দেশের একটি দৃষ্টান্ত ও এই বইয়ে অন্তভুক্ত হয়েছে।
ফিলিপ কটলারের প্রিন্সিপালস অব মার্কেটিং বইয়ের সর্বশেষ ১৩তম সংস্করনের ৭৬ পাতায় একটি কেসস্টাডি “১০০ ভাগ হালাল সাবান” এ বাংলাদেশের নামটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই প্রথম কোন বাংলাদেশী, বিপনন বিশেষজ্ঞ জনাব সৈয়দ আলমগীর এর নাম অন্তর্ভক্ত হলো যিনি যমুনা গ্র“পের পরিচালক ও এসিআই লিঃ এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ কেস স্টাডিটি এমন একটি বইয়ে সংযুক্ত যেটির স্বীকৃতি সারাবিশ্বে সমাদৃত এবং যেটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি গর্বের বিষয়। এই বইটি সারাবিশ্বের অসংখ্য ছাত্রদের মাঝে পড়াবার কারনে জনাব আলমগীর সারাবিশ্বের মাকেৃটিং ও বিজনেস বর্তমান ও ভবিষ্যতের ছাত্র ও ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দেও কাছে পরিচিত হবেন। ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারী তিনি যমুনা গ্র“পে গ্র“প মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি যমুনা গ্র“পের বিদ্যমান নতুন উন্মোচিত পেগাসাস সু, যমনা ওয়েল্ডিং ইলেকট্রনিক্স, এরোমেটিক কসমেটিকস লিঃ, যমনা ডাইং এ্যান্ড নিটিং লিঃ সহ ৭টি কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৮ সালে তিনি ১০০ ভাগ হালাল সাবানের ধারনাটি প্রবর্তন করেন। অ্যারোমেটিক হালাল সাবানটি ১০০ ভাগ ভেজিটেবল ফ্যাট থেকে প্রস্ততকৃত এবং কোন প্রকার পশুচর্বি ছাড়াই তৈরী যা হিন্দু ও মুসলিম ক্রেতাসাধারনের কাছে গৃহীত হয়। অসংখ্য সফলতার মধ্যে তার ১০০ ভাগ হালাল সাবানের প্রস্তাবনাটি সবার কাছে গৃহীত হয় এবং প্রথম বছরেই ১৪ ভাগ মার্কেট শেয়ার দখল করে যেটি আসলেই একটি চমৎকার সাফল্য। অতঃপর অনান্য সাবান প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানগুলিও দাবী করতে থাকে যে তাদের সাবানেও কোন পশুচর্বি নেই।
সৈয়দ আলমগীর জন্মেছেন নেত্রকোনার কেন্দুয়াতে। পড়াশোনা করেছেন কেন্দুয়ার জেএইচসি ইন্সটিটিউশনে। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ১৯৭৫ সালে আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি অতঃপর বিপিআই (বর্তমানে অ্যাভেন্টিস) তে যোগদান করেন এবং বিভিন্ন ব্যবস্থাপকের পদসমূতে অসীন ছিলেন। এরপর তিনি এফএমসিজি সেক্টরেই তার ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারী তিনি যমুনা গ্র“পে গ্র“প মার্কেটিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি যমুনা গ্র“পের বিদ্যমান নতুন উন্মোচিত পেগাসাস সু, যমনা ওয়েল্ডিং ইলেকট্রনিক্স, এরোমেটিক কসমেটিকস লিঃ, যমনা ডাইং এ্যান্ড নিটিং লিঃ সহ ৭টি কোম্পানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। অসংখ্য সফলতার মধ্যে তার ১০০ ভাগ হালাল সাবানের প্রস্তাবনাটি সবার কাছে গৃহীত হয় এবং আসলেই একটি চমৎকার সাফল্য।
ধারনাটির প্রবক্তা সৈয়দ আলমগীর এক আলাপচারিতায় জানাচ্ছিলেন কিভাবে তার মাথায় হালাল সাবানের ধারনাটি আসে। কোন বিষয়টি তাকে হালাল সাবানের ধারনাটি তৈরী করতে সহায়তা করেছে জানতে চাইলে সৈয়দ আলমগীর জানান, প্রথমত প্রয়োজন থেকেই ধারণাটি মাথায় আসে।
গনমানুষের প্রয়োজন, চাহিদা। আমার মনে সব ভালো ধারণাগুলি এই জায়গাটি থেকেই প্রোথিত। তিনি বিশ্বাস করেন বিশ্বাস তৈরী হয় সততা থেকে। বিশ্বাস হলো সম্পর্কের ভিত্তি। অসততা বিশ্বাসকে ভেঙ্গে ফেলে এবং ভোক্তাগনের সাথে সম্পর্কটি তার ভিত্তি হাবায়।
তার আরেকটি অর্জন হচ্ছে এসিআই সাবানের প্রস্তাবনাটি যেটি ২০০৮ সালে “বেস্ট ফুড এ্যান্ড বেভারেজ ব্র্যান্ড” এর স্বীকৃতি লাভ করে। তিনি উল্লেখ করেন এসিআই লবণে মেধাশক্তি বৃদ্বি পায় এবং এসিআই একটি মেধাবী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।
জনাব সৈয়দ আলমগীর একজন পরিপূর্ন মানুষ হতে চেস্টা করেন। জ্ঞান আহরনের প্রতি তার শ্রদ্ধা অপরিসমীম। তিনি বিশ্বাস করেন শুধুমাত্র জ্ঞানই পারে সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে দিতে।
নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে জনাব আলমগীর বলেন, যেকোন আইডিয়াই একটি চমৎকার আইডিয়া এবং জীবন অনেক ছোট একেকটি আইডিয়া প্রমাণের জন্য। সুতরাং চেস্টা করতে দোষ কী!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।