ja ব্যক্তিগতভাবে আমি রক্ষণশীলতায় বিশ্বাসী, তাই সবসময় সেক্যুলারিজম আর ওয়েস্টার্নইজেশনের উপর আমার অভিব্যক্তি থাকে রুক্ষ। এই স্বভাবের কারনে অনেক কাছের মানুষেই আমাকে মানুষ হিসেবে পছন্দ করলেও ব্যক্তি হিসেবে পছন্দ করেননা। আর সমাজে আমি সবার কাছে নন্দিত হব এটা অস্বাভাবিক, কারো কাছে নিন্দিতও হতে হবে। আমার এক কাছের মানুষের রেফারেন্সে একজন নারীবাদীর (feminist) ব্লগ পড়তে হল। তার মতে ঐ ব্লগার চমৎকার থিসিস করেছেন।
এখানে আমার মন্তব্য প্রয়োজন। আমি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম গুছিয়ে জবাব দেই। আর জবাব লিখতে গিয়ে এটাই একটা বিশাল থিসিস হয়ে গেছে। তাই ভাবলাম ব্লগে পাবলিশ করি, তাতে সহব্লগারদের সাথেও শেয়ার করা হবে।
বিনীত অনুরোধঃ ইসলামপন্থী অর বিদ্বেষী যাই হন, দয়া করে কেউ গালি দিয়ে মন্তব্য করবেননা।
এটা পরমতসহিষ্ণুতার পরিপন্থী।
রেহনুমা রাখি আপুর পোস্ট লিঙ্কটা আগে দেখে নিন। এখানে
শ্রদ্ধেয় আপু
আমার পোস্টের ভুমিকা যেহেতু দেখেছেন তাই আর বাড়তি ভুমিকা নিষ্প্রয়োজন। সরাসরি আপনার পোস্টের ব্যাপারে আমার অভিমত জানাচ্ছি। ব্যক্তিগতভাবে রক্ষণশীল মানেই নারীবিদ্বেষী নয়, কিন্তু মুক্তমনাদের নারীবাদের কট্টর সমালোচক।
আপনি যদিও প্রত্যক্ষভাবে ইসলামের নাম নিয়ে কথা বলেননি কিন্তু আপনার আলোচনায় উঠে এসেছে আমাদের রক্ষণশীল সমাজ আর ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি, আপনি মডেল/আদর্শ হিসেবে তসলিমা নাসরিন, হুমায়ূন আজাদদেরকে রেখেছেন। এমনকি ইসলামের প্রতি আপনার বিন্দুমাত্র কৃতজ্ঞতাও দেখা যায়নি। তাই আমাকেও ধরে নিতে হচ্ছে আপনি প্রচলিত রক্ষণশীলতা বলতে ইসলামকেই এনেছেন। আপনার উপর আমি ব্যক্তিগতভাবে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই কথাগুলো লিখলাম। আমার সমাজে আমি নারীদেরকে সম্মানিত স্থানেই দেখে আসছি, এখনও নারীদেরকে সম্মান করার চেষ্টা করি।
কিন্তু সম্মানের নামান্তর যদি মুক্তমনাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা হয় তবে আমি মনে করিনা এটা নারীদের কল্যানে কিছু করবে, শুধু তাদেরকে সস্তা বিনোদনের বস্তুতে পরিণত করা ছাড়া।
আপনি যেহেতু পোস্টের আপাদমস্তক ধর্মের/সমাজের জাত উদ্ধার করেছেন তাই আপনার সাথে কথা বলার ভাষা আমাকে ঠিক করার প্রয়োজন হয়েছে কারন আমার ভ্রাতৃপ্রতিম অনুজ তুফুর শেয়ারে ঐ লিঙ্কে গিয়েছি।
অনুমিতিঃ আপনি/আপনারা/আপনাদের বলতে আমি পরবর্তী অংশে মুক্তমনাদের বুঝিয়েছি।
প্রথমেই কথা হচ্ছে যেই নারীমুক্তির কথা আপনি বলছেন তা কিসের অনুপ্রেরণায়!!
পাশ্চাত্য জীবনাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নাকি নিজস্ব প্রণোদনায়!!
যদি পাশ্চাত্য আদর্শে বলে থাকেন তবে আপনাকে অনুরোধ করব খেয়াল করে দেখুন আপনার এই সেক্যুলারিস্ট ভাবধারা ঐ পাশ্চাত্যে কতটা গৃহীত!! মধ্যযুগীয় অন্ধকার সময় বলে কিছু লোক ইসলামের স্বর্ণযুগকেই চিহ্নিত করেন অথচ সত্যিকার অর্থে মধ্যযুগে ইউরোপে চার্চ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় ঐ অঞ্চলের মানুষ চরম নিপীড়িত ছিল, এমনকি শাসকগোষ্ঠীও তাদের কাছে ছিল অসহায়। আর তাই ধর্মনির্ভর সেই সময়কেই তাদের ইতিহাসে অন্ধকার যুগ বলা হয়।
একসময় তাদের ঐ অন্ধকার শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে পড়ে যার প্রেক্ষিতে সৃষ্টি হয় ডানপন্থি পুঁজিবাদ আর বামপন্থি সমাজতন্ত্র। তার মধ্যে সমাজতন্ত্র সম্পূর্ণ ধর্মহীন/সেক্যুলার এবং পুঁজিবাদ কিছুটা ধর্মাশ্রয়ী/প্রশ্রয়ী (আপন স্বার্থেই)। অথচ তখন জ্ঞান বিজ্ঞানের পাদপ্রদীপের আলোয় ইসলামী সভ্যতা সারা বিশ্বে অগ্রসরমান। তার উদাহরণ বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন- চিকিৎসা(ইবনে সিনা), রসায়ন(আল জাবের ইবনে হাইয়ান), গনিত(আল খাওয়ারিজমি), দর্শন ও জ্যোতির্বিদ্যা (ইমাম গাজ্জালি) ইত্যাদি ইত্যাদি... ব্যক্তিবর্গের অবিস্মরণীয় ভুমিকা।
সেক্যুলারিজম ইউরোপের সমাজের সমস্যার সমাধান আর তা সম্পূর্ণ স্থান/কাল নির্ভর।
কোনমতেই সেটা ইসলামের পরিপূরক হতে পারেনা। ইউরোপে নারী অধিকার বলে কিছুই ছিলনা, সনাতন ধর্ম তথা ইন্ডিয়ান সমাজেও এখনও নারী অধিকার কর্মক্ষেত্রে কাজের সুযোগ পর্যন্ত। সমাজে তাদের কতটা ভুমিকা আছে তা বিবেচনার দাবীদার। এক সোনিয়া গান্ধী আর মমতা ব্যানারজি উদাহরণ হতে পারে কিন্তু কখনই সেটা বাস্তবতা নয়। তাই ধর্মনিরপেক্ষতা খ্রিস্টান, ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু... অর্থাৎ ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেই বিকল্প হতে পারে।
নারী অধিকার ইসলাম সম্পূর্ণই নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং সেটা সম্পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত। ইসলামী সমাজে নারীর অবস্থান বর্ণনা করতে গিয়ে আপনি রাস্তার অশিক্ষিত অজ্ঞ পশুসম পুরুষকেই পুরুষ সমাজের প্রতিনিধি করেছেন কিন্তু পুরুষ সমাজের অন্তত ৩০% যদি আপনার বর্ণনামাফিক হয় তাহলে সমাজে নারীর অবস্থা কি হত তা বিবেচনার দাবী রাখে। আবার বলছি এই গুটিকয়েক নোংরা মানসিকতার পুরুষ কখনোই ইসলামের দৃষ্টিতে মডেল পুরুষ হতে পারেনা, আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
পাশ্চাত্যে নারীর অবস্থা কেমন?
পুরুষ ফুল স্যুটেড বুটেড আর তার সঙ্গিনী থাই অবদি শর্টস আর টপস/বক্ষ বন্ধনী অথবা বুক খোলা ফ্লোর মাড়ানো গাউন... রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল হাটু অবদি শর্টস আর ঢিলা টিশার্ট পড়ে কোর্টে নামেন সেখানে শারাপোভা, ইভানোবিচ, দিনারা সাফিন, সেরেনা উইলিয়ামস, ভেনাস উইলিয়ামসরা পরেন থাইয়ের উপর আঁটসাঁট শর্টস আর টাইটফিট টপস (কিছু ক্ষেত্রে সম্মিলিত কস্টিউম)। সানিয়া মীর্জা, শারাপোভারা সার্ভের গ্যাপ টাইমে বক্ষ নাচিয়ে বিনোদন না দিলে নাইকি, পিউমা, এডিডাস, রিবক স্পন্সর দেয়না।
এবার আসুন এথলেটিক্সের ট্র্যাকে... পুরুষ ক্রীড়াবিদের পোশাক আর একই ইভেন্টে নারী ক্রীড়াবিদের পোশাক কেমন থাকে!! আসুন জিমন্যাস্টের দিকে, এই জিমন্যাস্টের কি দেখতে লক্ষ লক্ষ মানুষ হা করে বসে থাকে!! মিডিয়ায় জিমন্যাস্টের কোন শট প্রকাশিত হয়!! আপনি হয়ত এখানে বলবেন তারা কোন যৌন উদ্দেশে তাকাচ্ছেনা। তবে আমার এ প্রসঙ্গে কথা বলাই হয়ত বৃথা হবে।
আমেরিকায় প্রতি ৪৫ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিত হন, তাদের মত ব্যক্তিস্বাধীনতার সূতিকাগারে এহেন নারীঅধিকার/নিরাপত্তা আপনার দৃষ্টিতে কেমন লাগে!! আর অনেক প্রবাসী নারীই বর্ণনা দিয়েছেন উনাদের ধর্ম, হিজাব এবং রক্ষণশীল মনোভাবের কারনে সেখানে আলাদা সম্মান, নিরাপত্তা এবং সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।
আপনি বলেছেন একটি মেয়েকে জন্মের পরেই মেয়ে করে তোলা হয়। তাকে পুতুল দেয়া হয় খেলার জন্য যেখানে ছেলেটা পায় খেলনা পিস্তল আর খেলনা গাড়ি।
আপনার এই মন্তব্য আমার মতে মোটেই ইসলামের বিধিসম্মত নয়। কেননা ইসলামে সন্তানকে খেলনা দেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ছেলে সন্তানকে খেলনা পিস্তল দিয়ে কি অপরাধপ্রবনতা সৃষ্টি করা হচ্ছেনা?? ইদানিং এফএম রেডিও দেয়া হচ্ছে, এতে বাচ্ছা কি শিখছে!! এটা কি তার মধ্যে ইভটিজিং প্রবনতা জাগিয়ে তুলছেনা? মেয়েকে পুতুল দেবে কেন!! যেখানে পুত্তলিকা ইসলামে নিষিদ্ধ সেখানে একটা শিশু স্পেসিফিক একটা পুতুলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে এটা সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী। আর আপনাদের পাশ্চাত্যে এই কথা তুলে কি পুতুল প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধাচরণ করবেন?? কিভাবে নিবে পুঁজিবাদী গোষ্ঠী আপনার মতবাদকে!!
আপনার বর্ণনানুযায়ী মেয়েশিশুকেই তার গুপ্তাঙ্গ নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করতে হয়, এটা কি আপনি ইসলাম সম্পর্কে জেনে বলেছেন? আমিতো আমার শিক্ষাজীবনে এধরণের কিছু দেখিনি/কেউ শিখায়নি, যেখানে মেয়ে তার শারীরিক নারীত্ব গোপন রাখবে আর পুরুষ তার শারীরিক পুরুষত্ব দেখিয়ে বেড়াবে!!! আপনি বারবার অশিক্ষিত/কুশিক্ষিত সমাজের দায় ইসলামের/সমাজের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
এখন আসি ব্যক্তি স্বাধীনতায়।
ব্যক্তি স্বাধীনতার দাবীতে ধর্মের বিরোধিতা করছেন, মানুষ ধর্ম ছেড়ে যদি পশুর মত স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করে তবে কেমন হবে আমাদের সমাজ!!!
বনের পশু নিজেদের খাদ্য নিজেরাই সন্ধান করে, আল্লাহ্ তাদের জন্য সেই বাস্তুসংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছেন। যখন মনে ইচ্ছা জাগে তার বিপরীত লিঙ্গের প্রাণীর সাথে মিলিত হয়। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে দুইজন দুইদিকে চলে যায়। আর এখানেও দেখা যায় মর্দা পশুটির আধিপত্য। তাদের মধ্যেও পরিবর্তন দরকার!! মাদী সন্তান প্রসব করে, লালন পালন করে, বনের বৈরি পরিবেশে পুনর্বাসিত হয়েই বাচ্ছা মাকে ত্যাগ করে।
মা আবার তার মত শিকার ধরে খায়, যথারীতি মৌসুম আসলে আবার আরেক মর্দার সাথে মিলন হয়, আবার চক্রাকারে সবকিছুই হয়। একসময় মর্দা মাদী উভয় পশুই মারা যায়, মাটিতে মিশে যায় তাদের দেহ। সন্তান আবার একই চক্রে দেখা যায় তাদের জীবনযাপন করে, কেউ কাউকে চিনেনা, দেখা যায় একই জুটির মর্দা আর মাদী (সহোদর) পশুও মিলিত হয়, তাদেরও একই ধারায় বিচ্ছেদ হয়, এটাই তাদের জীবন।
তারা স্বাধীন, কেউ কাউকে পরোয়া করেনা, শুধু স্বার্থ হাসিলের জন্য সাময়িক দল বাঁধে আবার নিজেদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কোন্দল করে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মুক্তমনা বলুন আর কমিউনিস্ট বলুন, সবাই ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্যই দলবদ্ধ হয় স্বার্থ হাসিল শেষে একজন অন্যজনকে লাথি মারতে কার্পণ্য করেনা।
নারীসঙ্গ বিপ্লবীদেরও প্রয়োজন আছে কিন্তু প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় বন্ধনের মাধ্যমে তারা সেটা গ্রহণ করার পক্ষপাতী নয়। তাই তারা নারীকে ব্যক্তিস্বাধীনতার মন্ত্র শিখিয়ে একেকজন স্বপ্নপুরুষের পার্ট নিচ্ছে। তার উদাহরণ আমাদের আশেপাশেই আছে। হুমায়ূন আহমেদের মত জনপ্রিয় লেখক বিবেকের কপালে উস্টা মেরে নারী জাতির সামনে যেই উদাহরণ রেখেছেন তার পরেও ব্যক্তি স্বাধীনতার ধারনায় বিশ্বাসী মুক্তমনা নারীরা এখনও তার পাঁড় ভক্ত।
বর্তমান বিশ্বে ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মুক্তমনা মানুষের ধারণার সাথে আমার উপরুক্ত বর্ণনায় কি অমিল আছে? ইউরোপে আপনাদের মডেল/আদর্শরা নিজেরাই জানেনা তাদের আগামি বছর কার সাথে কাটবে, নিজেদের বাবা-মা থাকেন ওল্ড হোমে, সন্তান থাকে আবাসিক শিক্ষালয়ে অথবা সারভেন্টের তত্ত্বাবধানে।
তারা বড় হবে আপনাদের আদর্শে, আপনারাও তাদের কাছে কিছু আশা করবেননা, নিজেরা অর্জিত সম্পদ নিয়ে ওল্ড হোমে উঠবেন, সেখানেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনবেন। মৃত্যুর পর হয়ত সংবাদ যাবে সন্তানের কাছে যদি আপনি চান, তারা আপনার সমাধিতে একগোছা ফুল দিয়ে যাবে।
এবার ধরে নিলাম আপনি ইসলামকে এই কাঠগড়ায় দাঁড় তোলেন্নাই।
তবে বলব ইসলামে নারীদেরকে যেই অধিকার দেয়া হয়েছে তা যেই বিশেষ ব্যক্তিমহলের কারনে পর্যুদস্ত হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধাচরণ করুন। ডালের সমস্যার সমাধানে গাছ উপড়ানোর প্রচেষ্টা অবিবেচনাপ্রসূত।
রুগ্ন ডাল কেটে ফেলার কথা বলুন। পাশ্চাত্য সাম্রাজ্যবাদী মিডিয়ার কল্যানে(!) আমাদের সমাজের মানুষের মনে যেরূপ নোংরামি জন্ম নিয়েছে তার সমাধানে উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করুন। নতুনকে স্বাগত জানাতে হবে মানে এই নয় যে সবকিছু গলাদকরন করতে হবে। যা কিছু আমার ধর্মের সাথে সমাজের সাথে সাঙ্ঘরষিক তা আমি কেন গ্রহন করব!! নারীদের প্রতি যেসমস্ত যৌন নির্যাতন হচ্ছে এসব সমাজ থেকে আপনাআপনি সৃষ্টি হয়নি। মিডিয়ার কল্যান আর পুঁজিবাদী অর্থনীতির ফল হচ্ছে আজকের সমাজের বিশৃঙ্খলা।
নাটক সিনেমায় একটা ছেলে একটা মেয়েকে প্রপোজ করলে হাততালি দেব আর বাস্তবে ধিক্কার জানাব, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এখানে ব্যক্তিস্বাধীনতামুখী মনোভাবই এসবের জন্য দায়ী। যারা এরুপ কাজ করে তারা কি মানুষ নয়!! তারাওতো আপনাদের মত বলতে পারে আমার মন চেয়েছে তার সাথে কথা বলি (ক্ষেত্র বিশেষে আরেকটু বেশি কিছু) তাহলে কিভাবে তার ব্যক্তিস্বাধীনতায় বাঁধা সৃষ্টি করবেন? গাছের আগায় পানি না ঢেলে গোড়ায় ঢালতে হবে প্লাস ঢালের পচনে আক্রান্ত ঢালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গাছ কেটে ফেলা সমাধান নয় যখন সেই গাছ ফলবান এবং রোগ ঐ গাছের জন্য অবাঞ্চিত।
ধন্যবাদ।
বর্ণমালায় প্রকাশিত।
প্রাসঙ্গিক কারনেই ফটোটা ঝাপসা করে দিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।